আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in সাওম (Fasting) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।

গলার কাছে লবণাক্ত অনুভূত হয় যেমনটি হয় রক্ত বের হলে কিন্তু থুথু তে কিছু পাওয়া যায়না কয়েকবার দেখার পর ও। গলার কাছেই আটকে থাকে। মুখে অনুভূত হয়না গলার ভিতরের দিকেও অনুভূত হয়না। এমনটি হলে কি রোজা ভেঙে যাবে? পরে এই অনুভূতি চলে গেছে।

1 Answer

0 votes
by (64,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযার কোনো ক্ষতি হয়না।

আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

 

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

 

রোযা অবস্থায় মুখে খাবার চলে আসলে সেটি ফেলে দিতে হবে। অনিচ্ছায় সেটি গিলে ফেললে রোযার কোনো সমস্যা হয়না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদি সামান্যও খাবার হয়,ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

 

সুতরাং রোজা রাখার পর, হঠাৎ মুখে খাবার চলে আসলে এবং তা সাথে সাথে গিলে ফেললে দেখতে হবে যে এটি কি সে ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেছে নাকি অনিচ্ছা??

 

ইচ্ছাকৃতভাবে হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা। আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/15882/  

 

অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (মুখ ভরে হলেও) রোযা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও রোযা ভাঙ্গবে না। -জামে তিরমিযী হাদীস: ৭২০; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

 

শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

 

আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/15628/  

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু গলার কাছে হালকা লবণাক্ত অনুভূত হয়, যা সাধারাণত মাঝে মধ্যে সবারই হয়ে থাকে এবং এতে খাবার একেবারে মুখে চলে আসে না। বরং এটা কোনো খাবারই নয়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এই অনুভূতির কারণে আপনার রোজার কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হবে না ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 222 views
0 votes
1 answer 262 views
0 votes
1 answer 287 views
...