আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
اسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১. ফাতিমা রাযি. কে কি "মা" সম্বোধন করা যাবে? যেহেতু উম্মুল মু'মিনিনদের কন্যা সমতুল্য তিনি?

২. আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম মেয়ে সন্তানের ডায়পার বাবাকে চেইঞ্জ না করাতে৷ কারণ, যদিও হুরমত সাব্যস্ত হবেনা কিন্তু মেয়ে সন্তানের লজ্জাস্থান যেকোন পুরুষ মানুষের দৃষ্টিগোচর হোক এটা কিছুটা অসামঞ্জস্য লাগে আমার কাছে বিধায় বলেছিলাম৷ এখন একজন জিজ্ঞাসা করলো তাহলে ছেলে বাচ্চারও তো ডায়পার মা চেইঞ্জ করে দিচ্ছে! এক্ষেত্রে বলেছি, মায়ের দুধ যেমন তার হক্ব, মা শিশুপুত্রের ডায়পারও চেইঞ্জ করতে পারেন৷ আমি মূলত বলেছি একটা মেয়ে সন্তানের শরীরের গায়রতের প্রেক্ষিতে৷ আমার এই গায়রতবোধ কি শরীয়তের ঊর্ধ্বে বা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়েছে?

৩. বিষয়টা কি ডাবল সন্ডার্ড হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (58,860 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

শিশুর পোশাক নিয়ে ভ্রান্তি:

তিন-চার বছর বয়সী শিশুর উপর সতরের বিষয় নেই ঠিকই, কিন্তু এজন্য প্রয়োজন ছাড়াও তাদেরকে উলঙ্গ করে রাখতে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে। হাঁ, এক-দেড় বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এতে তেমন একটা দোষ নেই। কিন্তু এর চেয়ে বেশি বয়সী বাচ্চার প্রয়োজন ছাড়া সতর খুলে রাখা ঠিক নয়।

 

আর বাচ্চার বয়স চার বা তার বেশি হলে তার সামনে ও পিছনের সতরের অংশ ঢেকে রাখা জরুরি। এ বয়সের পরও তাদেরকে সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন রাখা গুনাহ।

 

এরপর বাচ্চার শারীরিক গড়ন স্পষ্ট হয়ে উঠছে এমন বয়সে উপনীত হলে সতরসহ আশপাশের অঙ্গ যথা উরু ইত্যাদি ঢেকে রাখা জরুরি। এবয়স থেকেই বাচ্চাকে পূর্ণ পোশাক যথা পায়জামা পরানো ভালো। যেন সাত বছর থেকেই পূর্ণ পোশাকে শিশু অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর নয়-দশ বছর থেকে বাচ্চার সতর বালেগদের মতোই, একই হুকুম।

 

আজকাল ৬-৭ বছর বয়সী বাচ্চাদেরকে হাফপ্যান্ট পরানো হয়, যা আদৌ সমীচীন নয়। আর ৯-১০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে তো হাফপ্যান্ট পরানো নাজায়েয। -রদ্দুল মুহতার ১/৪০৭-৪০৮; ইলাউস্ সুনান ২/১৭১-১৭২

 

জন্মের দিন থেকেই শিশুকে পূর্ণ পোশাক পরানো:

কোনো কোনো মা-বোন অধিক উত্তম মনে করে নবজাতককেও পূর্ণ পোশাক পরান। যেমন- ছেলে হলে পায়জামা, আর মেয়ে হলে ফুল হাতা জামা ও পায়জামা পরিয়ে থাকেন। আসলে এ বয়সেও এই পূর্ণ পোশাক পরিধান করানো বাচ্চার জন্য নিঃসন্দেহে কষ্টের কারণ। আর এটি বিড়ম্বনাকরও বটে। শরীয়তের কোনো দলীলে এ বয়সেই পূর্ণ পোশাক পরানো উত্তম হওয়াটা প্রমাণিত নয়। বরং শিশুর আরাম ও মায়ের কম কষ্ট উভয়টি বিবেচনায় আনলে অন্তত এবয়সে পূর্ণ পোশাক না পরানোই উত্তম বিবেচিত হয়। হাঁ, শিশুর জন্য পূর্ণ পোশাক কষ্টকর নয় এমন বয়স থেকে পূর্ণ পোশাক পরানোটা উত্তম। (কপি-মাসিক আল কাউসার)

 

https://ifatwa.info/3347/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

মাশব্দটি অনেক সময়ই সম্মানসূচকভাবে ব্যবহৃত করা হয়। মা সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তাই আমরা অনেক সময়ই বলে থাকি, উক্ত মহিলা আমার মায়ের মত। এর মানে তিনি আমার আসল মা হয়ে যান না। বরং এটি সম্মান বুঝানোর জন্য বলে থাকি। এটাই আমাদের সমাজের রীতি।

,

হযরত ফাতিমা রাঃ কেও আমাদের দেশের মানুষ সম্মান প্রদর্শন হিসেবে মা বলে থাকেন। এতেও কোন সমস্যা নেই।

,

উল্লেখ্য যে  ফাতেমা রাঃ কে মা ফাতেমা বলে ডাকা শীয়াদের আকীদার মধ্যে পড়ে না।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১.
হযরত ফাতিমা রাঃ কে আমাদের দেশের মানুষ সম্মান প্রদর্শন হিসেবে মা বলে থাকেন। এতে কোন সমস্যা নেই।

২. একেবারে ছোট বাচ্চাদের যেহেতু সতরের বিষয়টা নেই। তাই ছোট বাচ্চা মেয়ে ও ছেলে উভয়কে পিতা ডায়পার পরিয়ে দিতে পারবে।  তেমনী ভাবে মাও ছোট বাচ্চা মেয়ে ও ছেলে উভয়কে ডায়পার পরিয়ে দিতে পারবে।  এতে কোনো সমস্যা নেই।  তবে একটা বিষয় এখানে লক্ষণীয় যে, একেবারে ছোট বাচ্চার সতর অন্য কেউ দেখে ফেলবে বলে তাকে পরিপূর্ণ পোষাক বা ডায়পার পরিয়ে দেওয়া যা নিঃসন্দেহে বাচ্চার কষ্টের কারণ হয়। এমনটা করা নিঃসন্দেহে বাড়া বাড়ি এবং শিশুকে কষ্ট দেওয়া হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...