আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,236 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
edited by
আমার এক বন্ধুর এক প্রশ্ন সরাসরি তুলে ধরছি।

আসসালামু আলাইকুম। আমরা জানি আল্লাহ তায়ালা নিজে কুরআন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।কিন্তু " বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" কুরআনের অংশ কিনা এ নিয়ে ইখতিলাফ আছে।এটা কেন হলো?এটা কি আল্লাহর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে না?একটু বুঝিয়ে বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন,
إنا نحن نزلنا الذكر وإنا له لحافظون 
‘নিশ্চয় আমিই কুরআন নাজিল করেছি আর আমিই তা হেফাজত করব।’
 (সূরা হিজর)

এটাই একমাত্র আসমানী কিতাব যার হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজে গ্রহণ করেছেন। এটা আসমানী ওয়াদা। আর কুরআনের ঘোষণা হল,
ان الله لا يخلف الميعاد
‘আল্লাহ কখনও ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।’ (সূরা আলে ইমরান)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর কিতাব হেফাজতের বিস্ময়কর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ফলে কুরআনের শব্দ সংরক্ষিত, অর্থ সংরক্ষিত, লিখনপদ্ধতি সংরক্ষিত, কুরআনের আমলিরূপ সংরক্ষিত, যে ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে ভাষা সংরক্ষিত, এর পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতা সংরক্ষিত, যে মহান ব্যক্তিত্বের ওপর তা অবর্তীণ হয়েছিল তাঁর জীবনচরিত সংরক্ষিত, এমনকি যাদেরকে সম্বোধন করে তা অবতীর্ণ হয় তাদের জীবনেতিহাস পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে। মোটকথা, আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীম হেফাজতের জন্য যত উপায় হতে পারে সকল উপায়ে তা সংরক্ষিত হয়েছে। এভাবে এই পবিত্র কিতাব সর্বদিক থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত হয়ে গেছে। 
.
★★'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' কুরআনের একটি আয়াত এ বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই। সূরা আন-নামলে এভাবে উদ্ধৃত রয়েছে- 'এই চিঠি সুলায়মানের নিকট থেকে এসেছে এবং তা দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্ তা'আলার নামে শুরু করা হয়েছে।'


কিন্তু 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সূরা ফাতিহাসহ অন্যান্য সূরার অংশ কিনা? - এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন মত রয়েছে। নিম্নে তা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হলো-

ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ এবং মদীনা, বসরা ও শামের ফুকাহায়ে কেরামদের মতে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সূরা ফাতিহা ও অন্যান্য সূরার অংশ নয়। শুধু বরকত লাভের উদ্দেশ্যে ও দু'সূরার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করার জন্য তা নাযিল করা হয়েছে।
 তবে এটি সূরা নামলের আয়াত এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।

ইমাম শাফেয়ী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহিমাহুল্লাহ এবং মক্কা ও কুফার কারীগণের অভিমত হলো 'বিসমিল্লাহি..' সূরা ফাতিহার অংশ। এজন্য তারা সালাতে সশব্দে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' পড়তেন।
.
★★যেহেতু সকলেই একমত যে এটা কুরআনের অংশ,তাই এটা বলা যাবেনা যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...