উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন,
إنا نحن نزلنا الذكر وإنا له لحافظون
‘নিশ্চয় আমিই কুরআন নাজিল করেছি আর আমিই তা হেফাজত করব।’
(সূরা হিজর)
এটাই একমাত্র আসমানী কিতাব যার হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজে গ্রহণ করেছেন। এটা আসমানী ওয়াদা। আর কুরআনের ঘোষণা হল,
ان الله لا يخلف الميعاد
‘আল্লাহ কখনও ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।’ (সূরা আলে ইমরান)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর কিতাব হেফাজতের বিস্ময়কর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ফলে কুরআনের শব্দ সংরক্ষিত, অর্থ সংরক্ষিত, লিখনপদ্ধতি সংরক্ষিত, কুরআনের আমলিরূপ সংরক্ষিত, যে ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে ভাষা সংরক্ষিত, এর পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতা সংরক্ষিত, যে মহান ব্যক্তিত্বের ওপর তা অবর্তীণ হয়েছিল তাঁর জীবনচরিত সংরক্ষিত, এমনকি যাদেরকে সম্বোধন করে তা অবতীর্ণ হয় তাদের জীবনেতিহাস পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে। মোটকথা, আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীম হেফাজতের জন্য যত উপায় হতে পারে সকল উপায়ে তা সংরক্ষিত হয়েছে। এভাবে এই পবিত্র কিতাব সর্বদিক থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত হয়ে গেছে।
.
★★'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' কুরআনের একটি আয়াত এ বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই। সূরা আন-নামলে এভাবে উদ্ধৃত রয়েছে- 'এই চিঠি সুলায়মানের নিকট থেকে এসেছে এবং তা দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্ তা'আলার নামে শুরু করা হয়েছে।'
কিন্তু 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সূরা ফাতিহাসহ অন্যান্য সূরার অংশ কিনা? - এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন মত রয়েছে। নিম্নে তা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হলো-
ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ এবং মদীনা, বসরা ও শামের ফুকাহায়ে কেরামদের মতে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সূরা ফাতিহা ও অন্যান্য সূরার অংশ নয়। শুধু বরকত লাভের উদ্দেশ্যে ও দু'সূরার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করার জন্য তা নাযিল করা হয়েছে।
তবে এটি সূরা নামলের আয়াত এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।
ইমাম শাফেয়ী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহিমাহুল্লাহ এবং মক্কা ও কুফার কারীগণের অভিমত হলো 'বিসমিল্লাহি..' সূরা ফাতিহার অংশ। এজন্য তারা সালাতে সশব্দে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' পড়তেন।
.
★★যেহেতু সকলেই একমত যে এটা কুরআনের অংশ,তাই এটা বলা যাবেনা যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু হয়েছে।