আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম!
আমি এই রমজানে খতম দেওয়ার উদ্দেশ্যে কুরআান তেলাওয়াত করা শুরু করেছিলাম তৃতীয় রমজান থেকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অধিক তেলাওয়াত করতে পারছিনা! যার ফলে ভয় হচ্ছে হয়তো খতম দিতে পারবনা(যদিও চেষ্টা থাকবে দেওয়ার)! তাই, আমার প্রশ্ন যদি আমি খতম দিতে না পারি তা কী পরবর্তী রমজানে দিতে হবে? না রমজান পরবর্তী মাসগুলোতে দিতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রমজানে কুরআন খতম দেওয়া ওয়াজিব বা ফরয নয় বরং সুন্নত।আপনি যদি রজমানে খতম দিতে না পারেন, তাহলে রমজান পরবর্তী মাসে দিবেন।পরিবর্তী রমজানে কেন খতম দিবেন?

https://www.ifatwa.info/14035 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «لَمْ يَفْقَهْ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالدَّارِمِيُّ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি তিন দিনের কম সময়ে কোরআন পড়লো, সে কুরআন বুঝেনি।
(সুনানু তিরমিযি-২৯৪৯, সুনানু আবি-দাউদ-১৩৯০, সুনানু ইবনি মা'জা-১৩৪৭,মিশকাত-২২০১)

উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় মিশকাতের টিকায় আহমদ আলী সাহরানপুরী (হানাফি) রাহ লিখেন,জনসাধারণের জন্য তিন দিনের কম কুরআন খতম করা মাকরুহে তানযিহি ( অপছন্দনীয়) । এবং ৪০দিনের ভিতর কুরআন খতম না দেয়া মাকরুহে তানযিহি।(মিশকাতুল মাসাবিহ-হিন্দি নুসখা)

ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻲ ﺃﻗﻞ ﻣﻦ ﺛﻼﺙ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺪﺍﻭﻣﺔ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻓﺄﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻷﻭﻗﺎﺕ ﺍﻟﻤﻔﻀﻠﺔ ﻛﺸﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺧﺼﻮﺻﺎً ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﻳﻄﻠﺐ ﻓﻴﻬﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ، ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻷﻣﺎﻛﻦ ﺍﻟﻤﻔﻀﻠﺔ ﻛﻤﻜﺔ ﻟﻤﻦ ﺩﺧﻠﻬﺎ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻫﻠﻬﺎ ﻓﻴﺴﺘﺤﺐ ﺍﻹﻛﺜﺎﺭ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺗﻼﻭﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺍﻏﺘﻨﺎﻣﺎً ﻟﻠﺰﻣﺎﻥ ﻭﺍﻟﻤﻜﺎﻥ ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺇﺳﺤﺎﻕ ﻭﻏﻴﺮﻫﻤﺎ ﻣﻦ ﺍﻷﺋﻤﺔ ، ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻳﺪﻝ ﻋﻤﻞ ﻏﻴﺮﻫﻢ ﻛﻤﺎ ﺳﺒﻖ ﺫﻛﺮﻩ .
" ﻟﻄﺎﺋﻒ ﺍﻟﻤﻌﺎﺭﻑ " ( ﺹ 171 ) .
মর্মার্থ- অনেক বুজুর্গানে কেরাম তিন দিনের কম সময়েও সারা কুরআনকে খতম দিয়েছেন বলে বর্ণনায় পাওয়া যায়, এটা মূলত বিশেষ বিশেষ দিনে বুজুর্গানে কেরাম করেছেন। অর্থাৎ এমন দিনে বা রাত্রে যখন বেশী বেশী ইবাদত করা মুস্তাহাব। সাধারণত তিনদিনের কম সময়ে কুরআন খতম না হওয়াই কাম্য । এবং চল্লিশ দিনের বেশী কুরআনে খতম ছাড়া অতিবাহিত করা মাকরুহ। এখানে বিধান হারাম নয়।  (শেষ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...