بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/16099/ নং ফাতওয়াত উল্লেখ করা হয়েছে
যে, একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন করুক না কেন, এবং যে উদ্দেশ্যেই জমা করুক না কেন, বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ
তার নিকট থাকে, তাহলে তার
উপর জাকাত ফরয হবে।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ
رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ
حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে
কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا
زَكَاةَ عَلَيْهِ، حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ»
হযরত ইবনে
উমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- বৎসরের মধ্যখানে অর্জিত সম্পদে জাকাত আসবেনা
যতক্ষণ না মালিকের পূর্ণ সম্পত্তির একবৎসর পূর্ণ হবে।(জামে তিরমিযি-৬৩১)
বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/638
যাকাত ইসলামের
মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি।নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয।
যাকাতের
নেসাব- ৭.৫ তুলা
স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।
যাকাতের
নেসাব-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের
নেসাবঃ৭. ৫ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.
৫ভড়ি।
এখানে একটি
জিনিষ লক্ষণীয় যে,কারো কাছে
শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে।অন্যথায়
যাকাত আসবে না।তবে হ্যা যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা যদি এভাবে থাকে যে,কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য সামান্য
বাকী। তাহলে এক্ষেত্রে যেটা বেশী সেটারই নেসাব পূর্ণ করা হবে।যেমন কারো কাছে স্বর্ণ
৭. ৫ভড়ির চেয়ে সামান্য কম, তাহলে এমতাবস্থায়
রূপা দ্বারা স্বর্ণের নেসাবকে পূর্ণ করা হবে।
টাকা এবং
মালের নেসাবঃ
টাকা এবং
মালকে রূপার সাথে সংযুক্ত করে রূপার নেসাব হিসেবেই ধরা হবে। তথা কারো কাছে ৫২. ৫ভড়ি
সমমূল্যে র টাকা বা ব্যবসায়িক পণ্য থাকলে তার উপর যাকাত আসবে।
এক্ষেত্রে
স্বর্ণকে মানঢন্ড হিসেবে ধরা হবে না।সোনা রূপার বিক্রয়মূল্য র উপরই যাকাত আসে।
বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/121
মালে নামীতে
যাকাত আসে।
মালে নামী
বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা (২)রুপা (৩)ব্যবসার মাল (৪)গবাদি
পশু
এগোলো কে
যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই
বাড়ুক।
মালে গায়রে
নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর
সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
বিস্তারিত
দেখতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে আপনার ব্যাংকে জামানো টাকার পরিমাণ যদি ৫২.৫০ তোলা রুপার সমমান হয়
তাহলে আপনার জন্য ফরজ্ । বিয়ের জন্য জমানো টাকা/গহনার উপর যাকাত আসবে।
তবে শর্ত হলো অবশ্য ৪০ ভাগের
এক ভাগ যাকাত দিতে হবে এবং অবশ্যই উক্ত টাকার উপর এক বছর অতিক্রম হতে হবে।
তবে কেউ চাইলে বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেও যাকাত দিতে পারবে।