ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “বায়তুল্লাহ্কে তাওয়াফ করা নামাযতুল্য; তবে তোমরা তাওয়াফের মধ্যে কথা বলতে পার।”[সুনানে তিরমিযি (৯৬০), আলবানী ‘ইরওয়াউল গালিল’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
২। সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফ করতে চাইতেন তখন তিনি ওযু করে নিতেন।” আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম তো বলেছেন: “তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জের কার্যাবলি শিখে নাও।”[সহিহ মুসলিম (১২৯৭)]
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কা'বা তাওয়াফের মুহূর্তে যদি অজু ভেঙ্গে যায়, তাহলে অজু করে পূনরায় তাওয়াফ শুরু করতে হবে।সাফা মারওয়ার মধ্যে সাঈ (চক্কর) করতে গিয়ে অজু ভেঙ্গে গেলে কোনো সমস্যা নাই।বরং তখন সাঈ কে পূর্ণ করা হবে।
কেননা সাঈ এর জন্য ওযু শর্ত নয়। এটি চার মাযহাবের ইমাম আবু হানিফা, মালেক, শাফেয়ি ও আহমাদের অভিমত। বরং হায়েযগ্রস্ত নারীর জন্যেও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা জায়েয। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম হায়েযগ্রস্ত নারীকে তাওয়াফ ছাড়া অন্য কিছু হতে বাধা দেননি। আয়েশা (রাঃ) হায়েযগ্রস্ত হলে তিনি তাকে বলেছেন: “একজন হাজী যা যা করে তুমিও তা তা কর; কিন্তু তুমি পবিত্র হওয়া অবধি তাওয়াফ করবে না।”[আল-মুগনী (৫/২৪৬)]