আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু উস্তাদ,,,,,,,

আমার সন্তানের বয়স বর্তমানে সাত মাস চলতেছে। আমার সন্তান হবার পর থেকে আমার হায়েজ অনিয়মিত। এর জন্য আমি অনেক মহিলা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি জানি ইসলামী শরীয়া মোতাবেক আমি ইস্তেহাযার রোগী। আমার ব্যাপারটা এমন আমি ওষুধ খেলে ভালো থাকি । ওষুধ দুই থেকে তিনদিন গ্যাপ দিলে আবার রক্ত পড়া শুরু হয়। আমার 14 দিন আগে তিন দিনের মতো হায়েজ ছিল । আমার ভুলবশত ওষুধ কয় বেলা যেনো মিস গিয়েছিল। এখন গতকাল এবং আজকে আমার রোজা রত অবস্থায় কালো কালো ব্লাড এর মতন কিছু রক্ত এসেছে কিন্তু প্রবাহিত হয় নি অর্থাৎ ফোটা ফোটা। আজকের সন্ধ্যার পর থেকে এই রক্তের ফোঁটা গুলো মনে হচ্ছে একটু বেশি বেড়েছে। অর্থাৎ টিসু দিয়ে পরীক্ষা করলে ব্লাড পাওয়া যায় তবে খুব বেশি না কিংবা গড়িয়ে পড়ার মতন না।

১. আমার এই দুইটি রোজা কি সঠিক হয়েছে অর্থাৎ এ দুইটি রোজা কি শরীয়া মোতাবেক হয়েছে কিনা?

২. এখন আমার কি করনীয়? যেহেতু আমি জানি হায়েযের রক্ত কালচে বর্ণের হয় এখন আমার ঠিক সেরকমই রক্ত যাচ্ছে অর্থাৎ আগের মতন লাল রক্ত নয়। এখন এক্ষেত্রে ফোটা ফোটা রক্ত গেলে কি আমি রোজা রাখতে পারব নাকি পারবোনা?
দয়া করে প্রশ্নের উত্তরটি দ্রুত দেবার অনুরোধ করছি। কারন আমি এই মাসআলার উপর নির্ভর করে কালকের রোজাটি থাকবো। ‌ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু উস্তাদ ।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার আগের হায়েজ আর এই হায়েজের মাঝে গ্যাপ ছিলো ১৪ দিন।
তার মানে ১০ এপ্রিল আপনার ১৫ তম দিন ছিলো।
সুতরাং এই দিন যেহেতু ইস্তেহাজা ছিলো,তাই এই দিনের রোযা হয়েছে।

১১ এপ্রিল যেহেতু আপনার আগের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পর হিসেব করে ১৬ তম দিন হয়,তাই এদিনের উক্ত ব্লাড যদি আপনার নুন্যতম তিন দিন (১১.১২.১৩ এপ্রিল) পাওয়া যায়,তাহলে এট হায়েজ হবে।
নতুবা নয়।
,
হায়েজ হলে রোযা হবেনা,আর হায়েজ না হয়ে ইস্তেহাজা হলে রোযা শুদ্ধ  হবে।

এখন আপনার যদি ধারনা হয় যে নুন্যতম  ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই ধরনের ব্লাড আসবেই,তাহলে আপনি রোযা রাখবেননা।

(০২)
হায়েজের রক্ত, স্পষ্ট ব্যাতিত যাহা বের হবে, সব গুলিকেই শামিল করে।
চাই তাহা ফোটা ফোটা হোক,চাই তাহা স্পষ্ট সাদা ব্যাতিত  ভিন্ন যেকোনো কালারের হোক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...