আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর এই প্রশ্ন গুলো এডিট করলাম আগের লেখাটাই একটু ভুল ছিল। দয়া করে একটু ভালোভাবে লেখাটা পড়বেন আর উত্তরটা আমাকে একটু ভালোভাবে বুঝিয়ে বলবেন,,আমি খুব সমস্যায় পড়ে গেছি কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না  দ্বিতীয় বার প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত
পারিবারিক অশান্তির কারণে প্রথমে স্ত্রী খোলা তালাক নিয়েছিল । খোলা তালাক নেবার তিন মাসের মধ্যে তালাক এর নিয়ম না জেনেই  ভুল করে ওই  স্বামী sms করে আবার ওই স্ত্রীকে দুবার তালাক বলেছিল। কিছুদিন পর সেই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর কাছে ফিরতে চাইলো। তারপর এক মুফতির কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে তিন তালাক হয়ে গেছে  এখন ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হারাম হয়ে গেছে ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হালাল হবে না। ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে হবে এবং সেই নতুন স্বামী যদি ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই তালাক দেই তারপর ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হালাল হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো :-
1)আমার স্ত্রী আমার কাছেই ফিরে আসতে চাইছে ও আমাকে বলছে যে :-আমাকে যা করতে হয় আমি করবো কিন্তু আমি তোমার কাছেই যাবো আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে স্বামী বলে মানতে পারবো না।আমার স্ত্রীর মুখ থেকে এই সব কথা শোনার পর আমি খুব সমস্যায় পড়ে যায় আমি কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না,আমি ইউটিউব এ এই সমন্ধে ভিডিও দেখতে থাকি কেউ কেউ বলছে হালালা হারাম আবার কেউ কেউ বলছে কোনো মুসলিম ভাইয়ের উপকার করতে এই কাজ করলে হারাম হবে না তবে জোড় করে বা পয়সার লোভ দেখিয়ে বা ওই স্ত্রীকে জোড় করিয়ে চাপ দিয়ে এই কাজ করা যাবে না, কেউ যদি মন থেকে উপকারের উদ্দেশ্যে এই কাজ করে আর ওই স্ত্রীও যদি রাজি থাকে তাহলে আল্লাহর লানত হবে না,ইউটিউব থেকে এই সব কথা শোনার পর আমি আমার একটা বন্ধুকে সব ঘটনা খুলে বললাম আমার মুখে সব কথা শোনার পর সেই বন্ধুটা আমাকে সে নিজেই মন থেকে বললো যে :- তুই যখন এমন সমস্যায় পড়ে গেছিস দরকার হয় আমি বিয়ে করবো যদি তুই আর তোর বউ রাজি থাকিস তারপর সহবাস করে  আমি তালাক দিয়ে দোবো তারপর ইদ্দত পার হয়ে গেলে তুই বিয়ে করে নিবি,,আমি আমার স্ত্রীকে জোড় করিনি আমি আমার স্ত্রীকে সব সময় বলছি যে তুমি অন্য জায়গায় বিয়ে করে নাও ওই নতুন স্বামী আমার থেকেও তো ভালো হতে পারে একবার বিয়ে করেই দেখনা কী হয়। কিন্তু সে যদি তোমাকে জ্বালা যন্ত্রণা করে বা সে যদি নামাজ কুরআন না পড়ে বা তার যদি চরিত্র খারাপ হয় তাহলে তুমি তালাক নিয়ে নেবে ,,আর আমার বন্ধুকেও কোনরকম জোড় বা টাকার লোভ দেখায়নি আর আমি এটাও বলিনি যে তুই আমার বউকে হালাল করার জন্য বিয়ে কর ও নিজে থেকেই আমার সংসারটা ফিরিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে সে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করতে চাইছে,আর আমার স্ত্রীও এতে রাজি, এইরকম পরিস্থিতিতে যদি আমার ওই বন্ধু  আমার স্ত্রীকে এই উদ্দেশ্যে বিয়ে করে যে আমার জন্য হালাল করে দেবে তাহলে এই বিয়েটা কী শুদ্ধ হবে? বন্ধু তালাক দেবার পর আমার জন্য ওই স্ত্রী হালাল হবে কী? এই কাজটা করলে আমরা তিনজন কী গুনহাগারী হবো ? এই গুনহার কারণে আমরা কী জাহান্নামী হয়ে যাবো??
2)আমাকে একজন মুফতি বলেছে যে তোমার পরিচিতি কেউ যদি তোমাদের ঘটনা শুনে তোমার ওই স্ত্রীকে এই নিয়তে বিয়ে করে যে সে বিয়ে করবে নিজের জন্যই এবং তার মনে মনে এই নিয়ত থাকবে যে সহবাস করার পর ওই স্ত্রীকে সে জিজ্ঞেস করবে যে তার সাথে ও সংসার করতে রাজি নাকি??যদি ওই স্ত্রী সংসার করতে রাজি হয় তাহলে ওর সাথেই সংসার করবে কিন্তু যদি ওই স্ত্রী সংসার করতে না চাই তাহলে সে তালাক দিয়ে দেবে।আর ওই স্ত্রীরও মনে মনে এই নিয়ত থাকবে যে দ্বিতীয় স্বামী যদি ওকে তালাক দিতে না চাই তাহলে প্রথম স্বামীকে ভুলে গিয়ে ওই দ্বিতীয় স্বামীর সাথেই সংসার করবে।আর ওই নতুন স্বামীকেও যদি ওই স্ত্রীর পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই স্ত্রীকে যদি ওই নতুন স্বামী তালাক দেই তাহলে ওই নতুন স্বামীও গুনহাগারি হয়ে যাবে তাই, দুজনের কাউকেও জোড় করা যাবে না কারণ মনের নিয়ত যখন তখন চেঞ্জ হতে পারে যে যা করবে সে মন থেকেই করবে।একটা মুফতির মুখে এইসব কথা শোনার পর আমি আমার বন্ধু ও আমার স্ত্রীকে ওই মুফতির কথা গুলো বললাম আমার বন্ধু ও আমার স্ত্রী  এই সব শুনে ওরা বললো ঠিক আছে আমরা এতেও রাজি,, এই মত অবস্থায়,, এই নিয়তে আমার ওই বন্ধু আমার ওই সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করলে সেই বিয়ে কী জায়েজ হবে? এই বিয়ে কী শুদ্ধ হবে?নাকি এই বিয়ে বাতিল হবে??আর বিয়ের পর সে যদি তালাক দিয়ে দেয় ওই স্ত্রী ইদ্দত শেষে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে??আর এই অবস্থায় কেউ গুনহাগরি হবে নাকি??আর এই গুনাহর কারণে আমরা কী জাহান্নামী হয়ে যাবো?আর যেহেতু আমিই মুফতির মুখে কথা গুলো শোনার পর ওদেরকে বলছি আর ওরা এতেও রাজি হচ্ছে  সেহেতু এটা কী চুক্তি করা হচ্ছে আমিই তো সব উপায় গুলো বলে দিচ্ছি এটা কী প্ল্যান করে করা হচ্ছে??
3)আমার স্ত্রী আমার কাছে খুব কাঁদছে আর বলছে আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও আমি বললাম আমিও নিরুপায় আমি যা করেছি অজান্তে ভুল করেছি আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিতে পারবো না তিন তালাক হয়ে গেছে আর সম্ভব নয় তুমি অন্য জায়গায় বিয়ে করো তারপর সেই স্বামীর সাথে সহবাস করবে সহবাস করা হয়ে গেলে তাকে তুমি যদি ভালবাসতে না পারো বা ওকে স্বামী বলে মানতে না পারো তাহলে ওই স্বামীর কাছে আমাদের সব ঘটনা বলবে এবং ওই স্বামীকে জোড় জবরদসতি না করে,, চাপ সৃষ্টি না করে ওই স্বামীকে তালাক দেবার জন্য বলবে,, ও যদি তালাক দিয়ে দেই তাহলে খুব ভালো আর তালাক না দিলে কিছু করার নেই,,।এই মত অবস্থায় ওই স্ত্রী যদি সেচ্ছাই বিয়ে করে এবং তার নতুন স্বামীর সাথে সহবাস করার পর ওই স্ত্রী ওই নতুন স্বামীকে যদি বলে- আমি পুরোনো স্বামীকে এখনো ভালোবাসি আমি আমার পুরাতন স্বামীর কাছে ফিরতে চাই, তুমি যদি আমাকে তালাক দাও তাহলে আমি আমার পুরোনো স্বামীকে ফিরে পাবো,, আমার পুরোনো সংসার ফিরে পাবো,,কিন্তু তুমি যদি আমাকে তালাক না দাও তাহলে তোমাকেই স্বামী বলে মানবো তোমার সব দায়িত্ব পালন করবো। তোমাকে তালাক দেবার জন্য জোর করে বাধ্য করছি না বা কোনোদিন তোমাকে তালাক দেবার জন্য জোড়  করবোও না কিন্তু তুমি যদি চাও আমাকে তালাক দিতে পারো,আমার পুরোনো সংসার ফিরিয়ে দিতে পারো এর বদলে তুমি যদি বিয়েতে যে টাকা খরচা হয়েছে আমার কাছ থেকে নিতে চাও আমি দোবো তোমার ক্ষতি আমি হতে দোবো না।এইভাবে কোনরকম জোড় না করে যদি ওই নতুন স্বামীকে ওই স্ত্রী তালাক দেবার জন্য বলে  তাহলে কী ওই স্ত্রীর গুনহা হবে?আর এই সব কথা শোনার পর দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দিলে দ্বিতীয় স্বামীর গুনহা হবে নাকি??তালাক এর পর  ইদ্দত শেষে ওই স্ত্রী আমার জন্য মানে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে কী??কিন্তু যেহেতু ও বলছে আমি অন্য কাউকে স্বামী বলে মানতে পারবো না সেহেতু আমি ওকে এই কথা গুলো বলতে বলছি আমি কী এই কথা গুলো বলার জন্য গুনহাগারি হবো? কিন্তু আমার স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছি না এই কথা গুলো বলার জন্য ও অন্য কাউকে স্বামী বলে মানতে পারবে না আর ও আমার কাছেই আসতে চাইছে তাই ওকে এই কথা গুলো বলতে বলেছি এটার জন্য আমার কী কোনো গুনহা হবে? উক্ত কাজ করলে আমরা কী জাহান্নামী হয়ে যাবো??
4) আমি শুনেছি কোনো স্ত্রী যদি বিনা কারণে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাই তাহলে সেই মহিলা জান্নাতের গন্ধও পাইনা,,কিন্তু প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাবার উদ্দেশ্যে ওই স্ত্রী দ্বিতীয় স্বামীর কাছে তালাক চাইছে আর তাছাড়া ওর সমস্ত ভালোবাসা সেই প্রথম স্বামীর জন্যই আছে সে দ্বিতীয় স্বামীকে মানতে পারবে না শুধু বাধ্য হয়ে সে দ্বিতীয় বিয়ে করছে এটা কী তালাক চাওয়ার কোনো কারণ হতে পারেনা??কিন্তু যেহেতু ভুলবশত তিন তালাক হয়ে গেছে এই ক্ষেত্রে ওই মহিলা পুরোনো স্বামীকেই সে স্বামী হিসাবে পেতে চাই ও অন্য কাউকে স্বামী হিসাবে মানতেও পারবে না আর যতক্ষণ না ও অন্য স্বামী গ্রহণ করছে ততক্ষন পুরোনো স্বামীর জন্যও হালাল হবে না,, তাই পুরোনো স্বামীকে পাবার জন্য সে সেচ্ছাই বিয়ে করবে এবং নতুন স্বামীকে জোর জবরদসতিমূলক চাপ সৃষ্টি না করেই ভালো করে বুঝিয়ে নতুন স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাইবে এবং সেই নতুন স্বামীর যা যা খরচা হয়েছে সব দিয়ে দেবে তাহলেও ঐ স্ত্রী কী গুনহাগারি হবে??আর যদি গুণহা হয় তাহলে কী সে জাহান্নামী হয়ে যাবে?? ওই স্ত্রী মনে মনে এটাও নিয়ত করছে যে ওই নতুন স্বামী তালাক না দিতে চাইলে ওর সাথেই সংসার করবে,,তাহলেও গুণনা হবে??
5) এখন আমার স্ত্রী এই নিয়তে বিয়ে করতে চাইছে যে সে আমার জন্য হালাল হবে এবং এই নিয়তও করছে যে সে সহবাস করার পর ওই নতুন স্বামীকে জোড় জবরদ্তিমূলক চাপ সৃষ্টি করবে না বরং ও ভালো ভাবে বুঝিয়ে ওই নতুন স্বামীকে তালাক দেবার জন্য বলবে। যদি নতুন স্বামী তালাক দিয়ে দেই তাহলে ও আবার তার প্রথম স্বামীকে ফিরে পাবে এবং যদি ওই নতুন স্বামী তালাক দিতে রাজি না হয় তাহলে ওই নতুন স্বামীর সাথেই সংসার করবে নতুন স্বামীকে ভালোবাসার চেষ্টা করবে এবং পুরাতন স্বামীকে ভুলে যাবার চেষ্টা করবে যদিও তার কাছে পুরোনো স্বামীকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় তবুও চেষ্টা করবে। উক্ত নিয়তে ওই স্ত্রী বিয়ে করলে সেই বিয়ে কী শুদ্ধ হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে??এই ভাবে তালাক চাইলেও কী ওই স্ত্রী গুনহাগার হবে?আর ওই স্ত্রী তালাক চাওয়াতে দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দিলে দ্বিতীয় স্বামীর গুনহা হবে নাকি??তালাক এর পর  ইদ্দত শেষে ওই স্ত্রী আমার জন্য মানে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে কী??আর যদি গুণহা হয় তাহলে কী সে জাহান্নামী হয়ে যাবে??
6)ওই স্ত্রী আর বিয়ে করতে চাইছে না প্রথম স্বামীর কাছেই যেতে চাইছে কিন্তু এটা তো আর সম্ভব নয় এখন ওই স্বামী অনেক করে বুঝিয়েছে অন্য জায়গায় বিয়ে করার জন্য এবং ওই প্রথম স্বামী ওই স্ত্রীকে বলেছে তুমি বিয়ে করো তারপর যদি দ্বিতীয় স্বামী  মরে যায় অথবা সে যদি সেচ্ছায় তোমাকে তালাক দেয় তাহলে আমি তোমাকে আবার বিয়ে করে নব,, কিন্তু তুমি যেনো ওই দ্বিতীয় স্বামীকে জ্বালাতন করবে না ওই নতুন স্বামীকে ভালোবাসার চেষ্টা করবে,, কোনোদিনও জোর করে স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাইবে না,,যদি দ্বিতীয় স্বামী কোনো কারণবশত  তোমার মনের কষ্ট বুঝতে পারে এবং যদি সে তোমাকে তালাক দেই তাহলে আমি তোমাকে ফিরিয়ে নব আমি তোমাকে আবার বিয়ে করবো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো,আমি এখন বিয়ে করবো না তোমার ফিরে আসার অপেক্ষা করবো। যদি তুমি দ্বিতীয় স্বামীর কাছে সুখী হয়ে যাও তাহলে আমি খুশি হয়ে যাবো আমার কাছে আর ফিরে আসতে হবে না। তুমি সুখী হবার পর আমি বিয়ে করবো,এইসব কথা বলার পর সেই স্ত্রী রাজি হয়েছে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে।কিন্তু ওই স্ত্রী বলছে তার প্রথম স্বামীকে সে ভুলতে পারবে না।এইমত অবস্থায় প্রথম স্বামী মনে মনে একটা প্ল্যান করেছে আর এই প্ল্যানটা ওই স্ত্রী জানেনা ওই প্ল্যানটা প্রথম স্বামীর মনেই আছে আর প্ল্যানটা হচ্ছে যে আগে ওই স্ত্রী সেচ্ছাই বিয়ে করুক বিয়ে হয়ে যাবার পাঁচদিন পর ওই প্রথম স্বামী দ্বিতীয় স্বামীর কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলবে এবং ওই দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দেবার জন্য বলবে কিন্তু কোনো রকম জোড় জবরদস্তি করে বা ভয় দেখিয়ে নয় স্বাভাবিক ভাবেই বলবে । দরকার হয় ওই প্রথম স্বামী নিজের শরীরের  ক্ষতি করবে এমন ক্ষতি করবে যেটা  মারাত্মক কিছু নয় ওই হালকার মধ্যে হয়তো আট দশদিন না খেয়ে থাকবে না খেলে শরীর দূর্বল হয়ে যাবে দিয়ে সেলাইন এর বোতল হাতে লাগিয়ে নিয়ে মিথ্যা কিছু ডাক্তারি রিপোর্ট নিয়ে ওই দ্বিতীয় স্বামীকে বলবে আমি আমার এই স্ত্রীকে এখনও ভালোবাসি আর ও আমাকে ভালোবাসে ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে দয়া করে আপনি ওকে তালাক দিয়ে দেন আপনি  তালাক না দিলে আমাদের দুজনার জীবনটা শেষ হয়ে যাবে আপনি আমাদের ওপর দয়া করুন আমাদের সংসারটা ফিরিয়ে দিন আমাদের পুরোনো ভালোবাসা ফিরিয়ে দিন আমার স্ত্রীকে আপনি ভিক্ষা দিন আপনার বিয়েতে যা টাকা খরচ হয়েছে আমি সব দিয়ে দবো যদি বেশিকিছু চান তাহলেও আমি দব কিন্তু আপনি ওই স্ত্রীকে তালাক দেন আপনি তালাক দিলে আমরা আবার একসাথে সংসার করতে পারবো আপনাকে জোড় করছি না কিন্তু এই দুটো জীবনের কথা ভেবে আপনি ছেড়ে দিন আপনার হাতে পায়ে ধরি এইসব কথা শোনার পর দ্বিতীয় স্বামী যদি ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই তালাক দিয়ে দেই বা কিছু টাকা নিয়ে তালাক দেই তাহলে কী কারো পাপ বা কেউ কী গুনহাগার হবে??আর এইমতো অবস্থায় যদি দ্বিতীয় স্বামী ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয় তাহলে ঐ প্রথম স্বামীর জন্য ওই স্ত্রী হালাল হবে কী??
7) আমি ও আমার স্ত্রী যাতে জাহান্নামী না হয়ে যায় এবং আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত যেনো না হয়ে যায়।যে কাজ টা করলে আমার জন্য সঠিক হবে আপনারা বলে দেন,,নাহলে আমার জীবন টা এলো মেলো হয়ে যাচ্ছে,,আমি আমার স্ত্রীকেও ছাড়তে পারছি না আর আমার স্ত্রীও আমাকে ছাড়তে পারছে না,,আর আমরা দুজন মহান আল্লাহ ও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরোধী কোনো কাজ করতেও চাই না,,আর আমারা দুজন দুজনকে ফিরে পেতে চাইছি,,,এখন আমাদের করণীয় কী??আসলে পরিবারের কিছু মানুষ ও গ্রামের কিছু মানুষরূপী শয়তান আমাদের সংসারটা ভেঙে দিল

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَيْسٍ الأَوْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَرْوَانَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُمْ وَهُوَ قَوْلُ الْفُقَهَاءِ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ بْنَ مُعَاذٍ يَذْكُرُ عَنْ وَكِيعٍ أَنَّهُ قَالَ بِهَذَا وَقَالَ يَنْبَغِي أَنْ يُرْمَى بِهَذَا الْبَابِ مِنْ قَوْلِ أَصْحَابِ الرَّأْىِ . قَالَ جَارُودٌ قَالَ وَكِيعٌ وَقَالَ سُفْيَانُ إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ لِيُحَلِّلَهَا ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُمْسِكَهَا فَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُمْسِكَهَا حَتَّى يَتَزَوَّجَهَا بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ .

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে লোক হিলা করে এবং যে লোকের জন্য হিলা করা হয় উভয়কেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন।

— সহীহ।
নাসায়ী ৩৪১৬, তিরমিযী ১১১৯, ১১২০, আবূ দাউদ২০৭৬, ইবনু মাজাহ ১৯৩৫, আহমাদ ৪২৭১, ৪২৯৬, দারেমী ২২৫৮।

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবু কাইস আল-আওদীর নাম আবদুর রাহমান, পিতা সারওয়ান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে একাধিক সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

এ হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের মধ্যে উমার ইবনুল খাত্তাব, উসমান ইবনু আফফান, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) প্রমুখ সাহাবী মত দিয়েছেন। এই মত ফিকহবিদ তাবিঈদেরও। একই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনু মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও। ওয়াকীও একইরকম মত দিয়েছেন এবং বলেছেন, এই বিষয়ে আহলুর রায়ের মত ছুড়ে ফেলে দেয়া কর্তব্য। ওয়াকী বলেন, সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, হিলার উদ্দশ্যে কোন নারীকে কোন লোক বিয়ে করার পর তাকে নিজের বিবাহধীনে রাখতে চাইলে তা জায়িয নয়। নতুনভাবে এই মহিলার সাথে তার বিয়ে হতে হবে।
(তিরমিজি ১১২০)

(১.২.৩.৬)
হ্যাঁ এটি প্ল্যান করা হচ্ছে।
এই ছুরতে আপনি এবং ২য় স্বামী উভয়েই লা'নত প্রাপ্ত হবেন।
তবে এই ২য় বিবাহে সহবাস হলে তালাকের পর ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনি সেই স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবেন।
এটি জায়েজ আছে। 

উক্ত হিলার কারনে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। 
    
আরো জানুনঃ  

(৪.৫)
স্ত্রী তালাক চাইলে তার গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
আল্লাহ তায়ালা মাফ করলে জাহান্নামে যেতে হবেনা।

(০৭)
কোনো রকম প্যান ছাড়াই স্ত্রী অন্যত্রে বিবাহ বসবে।
এরপর ঠিকভাবে সেই স্বামীকে মেনে নিয়ে ঘর সংসার সে করবে।
,
২য় স্বামীকে তালাক প্রদান করার ব্যাপারে কেহই কিছু বলবেনা।
এমনিতেই সেই স্বামী কোনোদিন যদি তালাক দেয়,তাহলে সেই স্ত্রীকে আপনি ইদ্দতের পর বিবাহ করবেন।

★আরেকটি পন্থাঃ
২য় বিবাহ করার সময় নিকাহনামার ১৮ নং ধারায় স্বামী জেনে শুনে সেখানে দেশিয় আইন মেনে স্ত্রীকে শর্তহীন তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিবে।

সেখানে "হ্যাঁ" লিখবে।
,
এরপর স্ত্রী সহবাস হওয়ার পর নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনার সাথে বিবাহ বসবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...