জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সাহরী খাওয়া সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً
“তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে।” (বুখারি ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেন:
السُّحَوُرُ كُلَّهُ بَرَكَةٌ فَلَا تَدَعُوهُ, وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُم جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ, فَإِنَّ اللَّهَ –عَزَّ وَجَلَّ- وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى المُتَسَحِّرِينَ
“সেহরি খাওয়ায় বরকত রয়েছে। তাই তা তোমরা ছেড়ে দিয়ো না। এক ঢোক পানি দ্বারা হলেও সেহরি করে নাও। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও ফেরেশতাগণ সেহরিতে অংশ গ্রহণকারীদের জন্য দোয়া করে থাকেন।” (মুসনাদে আহমদ)
তিনি আরও বলেন:
ﺗَﺴَﺤَّﺮُﻭْﺍ ﻭُﻟَﻮْ ﺑِﺠُﺮْﻋَﺔٍ ﻣِﻦْ ﻣَﺎﺀٍ
“সেহরি গ্রহণ করো যদিও এক ঢোক পানি দিয়েও হয়।” (সহিহ ইবনে হিব্বান)
তিনি আরও বলেন,
ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﺑَﺮَﻛَﺔٌ ﺃَﻋْﻄَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﺇِﻳَّﺎﻫَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﺪَﻋُﻮْﻩُ
“‘নিশ্চয় সেহরি বরকত পূর্ণ যা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বিশেষভাবে দান করেছেন। অতএব তোমরা তা পরিত্যাগ করো না।” ( সহিহ নাসাঈ হা/২১৬১)
অন্য হাদিসে এসেছে:
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ
আমর ইবনুল আস রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমাদের এবং আহলে কিতাব (ইহুদি-খৃষ্টানদের) রোজার মধ্যে পার্থক্য হল, সেহরি খাওয়া।” (অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা খাই।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সাহরী খাওয়া সুন্নাত।
কেহ যদি সাহরী না খায়,তবুও তার রোযা হয়ে যাবে।
সাহরী শেষ রাতের খাবারকে বলা হয়।
রাত ১১ টায় পানাহার করলে এতে সাহরীর সুন্নাত আদায় হবেনা।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শেষ রাতেও যেহেতু পানি পানের কথা উল্লেখ রয়েছে,সুতরাং এই পানি পান সাহরী বলে গন্য।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সাহরী হয়ে যাবে।
(০২)
যে যেদেশে আছে,সে সেদেশের বেজোর রাত হিসেব করবে।
বেজোর রাতেই শবে কদর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা হাদীস শরীফে পাওয়া যায়।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামবলেছেন: “রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেলাইলাতুল ক্দর অনুসন্ধান কর।”[সহীহ বুখারী (২০১৭) ও সহীহমুসলিম (১১৬৯),
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
ইখলাছের সাথে কোনো আমল করলে সেই আমলের সওয়াবকে আল্লাহ তা’আলা ১০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারেন। এটা রমজানের সাথে নির্দিষ্ট নয়, বরং যে কোনো সময় আল্লাহ তা’আলা ঐ সওয়াব দিতে পারেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
আপনি তাদেরকে ধারাবাহিক ভাবে বুঝিয়েই যাবেন।
আপনি যদি বড় ছেলে হোন,আর আপনার বাবা যদি বেঁচে না থাকে,তাহলে আপনি তাদেরকে প্রেশার দিবেন।
আপনার বাবা জীবিত থাকলে আপনি যে তাদেরকে বুঝিয়েছেন,এতে আপনি দায়িত্বমুক্ত হবেন।