আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
2,685 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
Assalamualaikum
amar ai question ans dile amar jonno upokar hoto,ami ai question ans janar jonno subida moto kaoke pacchi nah,plz help me,

ami chilam babar bari,amar husband sathe 2019 april 14 tarikh jogra kore,amake uni tk diye chilo mobile kinte,ami mobile kinechi,kintu bishash koreni, uni vebe chilo amar kase tk ache,but ami bar bar bolechilam amar kase kono tk nei, uni rager mathay ak talak dey mobile sms kore,ami short kore likhchi than 17 tarikh fire jai husband bari songsha korar jonno,

2. ami chilam babar bashay,2019 June 9 tarikh avar amoni akta sily jinish nie jogra hoa, amar husband rag beshi tai oi obostha sms kore ak talak dey,pore uni nijer vul buje firiye nite chay,july 14 tarikh ami husband bashay fire jai thakar jonno.

3.ami chilam baba barite, tk nie avaro problem hoa tao 1000tk ,rager mathay talak dey 2020 February 14 tarikh.amar tokhon hayej /period obostha chilo,

akhon question holo 3 number talak period / hayej obosthay wife thakle talak ki hobe?hayej obosthay wife thakle talak ki hoa jabe,talak ki count kora hoa? fire jabar ki kono upay ache?hayej obosthay talak hole hisabe ki count kora hobe?

1 Answer

0 votes
by (565,380 points)
edited by
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(১.২) শরীয়তের বিধান হলো মোবাইলে লিখিত আকারে তালাক প্রদান করলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে।

স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক লেখা,বা উচ্চারণ করার দ্বারাই স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যায়।এজন্য তালাক শব্দটি স্ত্রীর নিজে শোনা যেমন জরুরী নয়, তেমনি সংবাদ স্ত্রীর কাছে পৌছানোও জরুরী নয়। এমনিতেই তালাক পতিত হয়ে যায়। বাকি স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়া জরুরী যেন স্ত্রী ইদ্দত পালন করে স্বাধীন হয়ে যেতে পারে।

সে হিসেবে মুঠোফোনে তালাক এসএমএস করে,বা মুখে  দিলেও তা পতিত হয়ে যায়। কারণ স্ত্রী উদ্দেশ্য করে মুখে তালাক বললেই যেখানে তালাক হয়ে যায়, সেখানে মুঠোফোনে বলার দ্বারা তালাক পতিত হতে কোন প্রতিবন্ধকতাই সৃষ্টি হচ্ছে না। তালাকতো স্বামীর মুখে বলার দ্বারাই হয়ে যাচ্ছে। সেটি মুঠোফোনের মাধ্যমে পৌছুক বা না পৌছুক এর সাথে তালাক পতিত হওয়া ও পতিত না হবার কোন সম্পর্কই নেই। তাই আলাদাভাবে মুঠোফোনের দ্বারা তালাক পতিত হবার কোন তফাৎ নেই। আশা করি বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।

সুতরাং ২০১৯ সালের ১৪ ই এপ্রিল আপনার স্বামী এসএমএস করে  আপনাকে যেই তালাক দিয়েছে,এটা পতিত হয়েছে।
তখন থেকে আপনি এক তালাকপ্রাপ্তা হিসেবেই ছিলেন।
,
তারপর যখন আপনাকে ২০১৯ সালের ৯ই জুন আবারো এসএমএস করে তালাক দেয়,তখন ২য় তালাক পতিত হয়।   


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

رَجُلٌ اسْتَكْتَبَ مِنْ رَجُلٍ آخَرَ إلَى امْرَأَتِهِ كِتَابًا بِطَلَاقِهَا وَقَرَأَهُ عَلَى الزَّوْجِ فَأَخَذَهُ وَطَوَاهُ وَخَتَمَ وَكَتَبَ فِي عُنْوَانِهِ وَبَعَثَ بِهِ إلَى امْرَأَتِهِ فَأَتَاهَا الْكِتَابُ وَأَقَرَّ الزَّوْجُ أَنَّهُ كِتَابُهُ فَإِنَّ الطَّلَاقَ يَقَعُ عَلَيْهَا(الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، رد المحتار، كتاب الطلاق، مطلب فى الطلاق بالكتابة-4/456، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
যার সারমর্ম হলো স্ত্রীর উদ্দেশ্যে  কোথাও তালাক লিখে তাকে পাঠালেই তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

فى رد المحتار- لو استكتب كتابا بطلاقها فاخذه الزوج وختمه وعنونه، وبعث اليها فأتها وقع (رد المحتار–4/456

,
(০৩) মাসিকের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।
ابْنَ عُمَرَ قَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَه“ وَهِيَ حَائِضٌ فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ فَمَهْ
ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় তালাক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। রাবী ইব্ন সীরীন) বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি গণ্য করা হবে? তিনি (ইবনে ‘উমার) বললেন,তাহলে কী? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২৫২]

يقع الطلاق باتفاق المذاهب الأربعة فى حال الحيض او فى حال الطهر الذى جامع الرجل أمرأته فيه، لأن النبى صلى الله عليه وسلم أمر ابن عمر بمراجعة أمرأته التى طلقها، وهى حائض المراجعة لا تكون إلا بعد وقوع الطلاق (الفقه الاسلامى وادلته-7/387-388)
যার সারমর্ম হলো  হায়েজের অবস্থায় তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    
وإذا طلق الرجل امرأته فى حالة الحيض وقع الطلاق، لأن النهى عنه لمعنى فى غيره، وهو ما ذكرنا، فلا ينعدم مشروعيته، ويستحب له أن يراجعها لقوله عليه السلام لعمرمر ابنك فليراجعها، وقد طلقها فى حالة الحيض، وهذا يفيد الوقوع (الهداية-2/357)
যার সারমর্ম হলো  যদি কেহ হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।  
ولنا قوله عليه الصلاة والسلام لعمر من ابنك فليراجعها، وكان طلاقها فى حالة الحيض والمراجعة بدون وقوع الطلاق محال (تبيين الحقائق-3/30، زكريا، قديم-2/193
যার সারমর্ম হলো   হযরত ওমর রাঃ এর ছেলে হায়েজ অবস্থায় তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন,এটা পতিত হয়েছিলো।
,  
★শরীয়তের বিধান হলো যদি কেহ রাগের বশে তালাক দেয়, তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুন

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩ তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
আর আপনাদের সংসার করা হারাম,তথা যেনা। 
,      
কারো গলা কেটে ফেলে ক্ষমা চাইলে ও আফসোস করলে যেমন কোন ফায়দা নেই। তেমনি স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে দেবার পর আফসোস করে কোন ফায়দা নেই।
এক্ষেত্রে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হল, স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনি আবার উক্ত (১ম) স্বামীর সাথে বিবাহ বসতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

দুনিয়া একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার মোহ মায়ায় আমরা যেন অনন্ত আখেরাতকে বরবাদ না করি। আল্লাহর বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন না করি। প্রতিটি বিধানকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি।

আল্লাহ তাআলা আপনার জীবনকে সহজ করে দিন। ধৈর্য ধারণ করুন। আমীন।

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে। {সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এটা একটা ফাউল সিস্টেম, এটা সব ভুয়া হাদিস, সরাসরি আল্লাহ তো বলে দেন নাই। 
জন্ম মৃত্যু বিয়ে যদি আল্লাহর হাতে তাহলে এই হাদিস গুলা দিয়ে হুদাই সব নষ্ট করেছেন। 

আমার কথা হলো  তালাক তালাক ১০০ বার বললেই বা কেনো তালাক হয়ে যাবে? রাগের মাথায় ই তো সবাই এই কথা বলে, তাদের আরেকটা সুজুগ অবশ্যই থাকা উচিৎ যে আমরা এক সাথে থাকবো, তাই তালাক তুলে নিলাম। 
ফালতু শরিয়া আইনের আওতায় বলা হইছে আরেকজন বিয়ে করে মিলন করে তালাক দিলে তারপর তালাক হবে। 
এসব ফাউল নিয়ম, ফাউল ফতোয়া ফাউল সিস্টেম। 

কেউ যদি সংসার করতে না চায় তাইলে লিখিত ও ২ পরিবার মিলেই আদালতের মাধ্যমে ছাড়াছাড়ি করা দরকার। 
by
তুমি তো একটা কাফের হয়ে গেছো, তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও 
by
আচ্ছা যদি মুখে ৩ বার তালাক বললেই নিজের স্ত্রী হারাম হয়ে যায় বা তালাল হয়ে যায়। তাইলে হাদিস মোতাবেক ইদ্দত পালনের জন্য যে আরেকটি বিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই বিয়ে যদি দেয়া হয় এবং কোনো শারিরীক সম্পর্ক না করেই উনিও যদি আবার মুখে ৩ তালাক দিয়ে দেয়।
তারপর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে কি ১ম সামী আবার বিয়ে করতে পারবে? এবং সেটা কি হালাল হবে?

কারন ১ম সামী যদি মুখে ৩ বার তালাক বললেই তালাক হয়ে যায়, তাইলে ২য় সামী বিয়ে করার পরে সাথে সাথেই না হোক কিছুদিন পরে হোক কিন্তু কোন শারিরীক সম্পর্ক ছাড়াই ৩ বার তালাক বলে তাইলে ত তালাক হয়ে যাওয়ায় কথা।

এটা কিন্তু হাদিসের একটা গ্যাপ আছে।
(হাদিস কোরআনের ফাক ফোকোর শুধু আলেম ওলামারা নিজেদের জন্যই ব্যবহার করেন। যখন তারা কোন সমস্যায় পরেন বা বিপদে আপদে পরেন, তখন ঠিকই তারা একটা অস্পষ্টতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের মত করে ফতোয়া দিয়ে দেন।)

দয়াকরে রাগ করবেন না।
কথাটা আমি এই জন্যই বললাম যে, একজন মানুষ যখন রাগ করেই হোক তালাকের মত একটা ঘৃনিত ও জঘন্যতম কাজ করে ফেলে এবং সে পরে অনুতপ্ত হয় আল্লাহর কাছে তওবা করে এবং ও-ই স্ত্রী কে নিয়ে আবার ঘর সংসার করতে চায়, হোক সেটা মায়া মহব্বত বা বাচ্চার কথা বিবেচনা করে। সে ত অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করে বা ঈমানদার বান্দা হিসেবেই শরীয়াহ বিধানের সহজ উপায় খোজে যাতে ভবিষ্যতে কোন পাপ না হয়। যদি সে আল্লাহকে ভয় না করতো, তাইলে ত এত হাদিস ই খুজতোনা। কত লোক আছে হয়ত, দিনে কয়েকবার তালাক দেয়, আবার ও-ই স্ত্রী কে নিয়াই সংসার করে। আমার ধারনা হয়ত এরকম অনেক লোক আছে যাদের কাছে ইসলামের এই বিধান টাই এখনো পৌছায় নাই। যারা হয়ত এই হাদিস টাই জানেন যে, কোন ক্রমে স্ত্রীকে ৩ বার তালাক বললেই তার স্ত্রী তালাক / হারাম হয়ে যায়। তার সাথে আবার সংসার করতে চাইলে ইদ্দত পালন করতে হবে। হয়ত অনেকেই জানেনা ইদ্দত কি?
এই সমস্ত লোকের কাছে ইসলামের এই বানী পোউছানোর দায়িত্ব কার?

নিশ্চয়ই আপনাদের বা আলেম অলামাদের ই বরতাবে।
তাদের এই অজ্ঞতাবশত গুনার / পাপের কারন জানলেওয়ালা লোকদের উপর ও বর্তাবে।

যদিও হাদিস কোরয়ান মতে যে যেই কর্ম করবে, তার ফল সেই ভোগ করবে।
কিন্তু হাদিস ত একথাও বলছে নিশ্চয়ই কেউ না জেনে ভুল / অন্যায় / পাপ করলে আল্লাহ উনাকে হয়ত ক্ষমা করতে পারেন।

এখন কথা হলো যারা জানলো না তারা যদি না জানার অজুহাতে পার পেয়ে যায়, তাইলে যারা জানে, তারা পার পাবেনা কেন? তাইলে তাদের জানাটা কি অন্যায়? 

যাইহোক অনেক কথা বললাম, আমি আম মানুষ। জেনারেল লাইনে লেখাপড়া করেছি, হাদিস কোরআন বেশী জানিনা। তাই বলে কিছুটা হয়ত জানি, আপনাদের মত আলেম ওলামার কাছ থেকে বা ইন্টারনেট এর বদোউলাতে হাদিস এবং কোরআনের বাংলা অর্থ পড়ে। হয়ত আমি অনেক ভুল বলে থাকতে পারি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

পবিত্র কুরআন এ বিবাহ এবং তালাক নিয়ে যতগুলো আয়াত আছে, সবগুলোই মোটামুটি অর্থ পরেছি। তাতে ইদ্দতের কথা বলা আছে ঠিকই। বা অন্যত্র বিয়ের দেয়ায় বিষয় টা বলা থাকলেও তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলা নাই বা এ বিষয়ে ইংগিত করা নাই। এবং এই সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ প্রতিটি আয়াতের শেষে বলা আছে আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম করুনাময়।

এদারা আমি এটাই বুজি যে, শিরক ছাড়া আল্লাহ চাইলে যেমন সকল গুনা ক্ষমা করবেন। তওবা করলে হয়ত এটাও ক্ষমা করবেন। যদিও হাদিসের ব্যাখ্যায় ইদ্দতের বিষয়টি বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে হয়ত ও-ই যে শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই ইদ্দত পালন করলে বিষয়টি বৈধ হওয়া উচিত। কারন ইসলাম সহজ ও শান্তির ধর্ম।

আপনারা গুরুত্বপূর্ণ মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে সকল প্রকার গুনা ও ফেতনা ফেসাত থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
 
by (13 points)
আপনি কি ইসলামকে আবেগ দিয়ে বিচার করতে চান!!!! 

বাস্তব মানুষের আবেগ দিয়ে চলে নাহ.....
আর ইসলামই তো বাস্তবতা...... 

আচ্ছা.....তাহলে কি আপনার এই বিষয়ে ফাতোয়া নেওয়ার প্রয়োজন নেই!!!! 
আপনি নিজেই একবার বোঝার চেষ্টা করে দেখেন পরেন কিনা..... 

আবার হাদিসকে বাদ দিতে যাবেন নাহ....
কারন ইসলামী শরিয়তের প্রধান উৎস -- 
আল কুরআন ও হাদিস। 

নিচের হাদিস নম্বর গুলো দেখে তার ব্যাখ্যা পড়ে নিয়েন ---- 
হ্যাঁ, অনলাইনকে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। বইয়ের দোকান থেকে হোক/ লাইব্রেরি থেকে হোক যেখান থেকে পারেন "সহীহ বুখারী" কিনে নিয়েন নিশ্চিত হওয়ার জন্য...!!!!! 
###সহীহ বুখারী(ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস নম্বর :৪৮৮২ 
 ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৮৮২,
 আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫২৬০
###সহীহ বুখারী(ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস নম্বর :৪৮৮৩ 
  ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৮৮৩
  আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫২৬১
###সহীহ বুখারী(ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস নম্বর :৪৮৮৭ 
 ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৮৮৭
------------------------------------------
উপরের হাদিসগুলোর ব্যাখ্যা এবং হুজুর যেসব কুরআনের আয়াত আর হাদিসগুলো উত্তরে উল্লেখ করেছেন সেগুলোর ব্যাখ্যাও পড়ে নিয়েন।।।।।  
------------------------------

তাহলেই, শারিরীক সম্পর্কের কোনো কথা উল্লেখ আছে কিনা? রাগ করে তালাক দিলে তালাক হয় কিনা? সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ.... 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...