শরীয়তের বিধান হলো হায়েজ নেফাস গ্রস্থ মহিলা নামাজ রোযা বন্ধ রাখবে,পরবর্তীতে রোযার কাজা আদায় করবে।
عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ، وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ. فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ قُلْتُ: لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ، وَلَكِنِّي أَسْأَلُ. قَالَتْ: «كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ، فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ، وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ»
হযরত মুআজা বলেন, আমি আয়শা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম-হায়েজার হুকুম কী? সে কি রোযার কাযা করবে? নামাযের কাযা করবে না? আম্মাজান বললেন- তুমি হারুরিয়ার অধিবাসী? আমি বললাম- নাহ।আমিই প্রশ্ন করছি। তিনি বললেন- “আমাদের এমন হলে, আমাদের রোযার কাযার আদেশ দেয়া হতো, কিন্তু নামাযের কাযার নির্দেশ দেয়া হতো না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যেহেতু ৫ মাসের গর্ভবতী।
সুতরাং তার যেটা নির্গত হচ্ছে,এটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তেহাজা।
এই অবস্থায় নামাজ রোযা চালিয়ে যেতে হবে।
যদি এটি পুরো ওয়াক্ত চলমান থাকে,একেবারেই বন্ধ না হয়,তাহলে সে নামাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করবে।
সেই ওয়াক্তে ঐ অবস্থায় যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করবে।
আর যদি এই অবস্থা তার চলমান না হয়,তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে যেই সময় এটি আসেনা,বন্ধ থাকে,সেই সময় পাক হয়ে নামাজ আদায় করবে।
রোযা পূর্ণ ভানে চালিয়ে যাবে।
(والناقص) عن أقلہ (والزائد) علی أکثرہ أو أکثرالنفاس أوعلی العادة وجاوز أکثرہما. (وما تراہ) صغیرة دون تسع علی المعتمد وآیسة علی ظاہر المذہب (حامل) ولو قبل خروج أکثر الولد (استحاضة.)(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ ط:زکریا، دیوبند)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার কমে যে রক্ত দেখা যায়,বা সর্বোচ্চ সময়সীমার পর যেই রক্ত দেখা যায়,৯ বছরের চেয়েও ছোট মেয়ে যেই রক্ত দেখে,গর্ভবতী মহিলার যেই রক্ত আসে,এগুলো সবই ইস্তেহাজা।