আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১)ধরুন আমার কাছে 3 জনের সাথে ব্যভিচার করার ক্ষমতা আছে।

এদের মধ্যে দুইজন বোরখা পড়ে। তাই আমি তাদেরকে সম্মান দেখিয়ে তাদের সাথে ব্যভিচার না করে যে মেয়েটা বোরখা পড়ে না তার সাথে ব্যভিচার করলাম।

আমার এই কাজটি শির্ক কি/?

২)ধরুন,আমার কোন ফাতওয়া জানা লাগবে।ফাতওয়া না জানা পযন্ত আমার দুনিয়াবি সমস্যা হচ্ছে।

এখন আমি মনে করলাম একমাত্র অমুক মুফতিই পারবে ফাতওয়া জানিয়ে আমাকে বাচাতে।

মানে আমি উনাকে রক্ষাকর্তা হিসেবে মনে করলাম।

মানে কোন মানুষের উপর যেরকম ভরসা করলে শিরক হয়,সেরকম ভাবে ভরসা করলাম।

এরপর মনে হইল যে এটা শিরক হচ্ছে।

তখন আমি ভাব্লাম যে ফাতওয়া জেনে নেই আগে।তারপর তাওবা করে নিব নি।

এরপর ফাতওয়া জানলাম।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে,এখন আমি তাওবা করলেই চলবে??

তাওবা করার পর আমি কি ওই ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে পারব।(উনার ফাতওয়া সঠিক আছে)

৩)ধরুন,আমি রাস্তায় একা চলার সময় একটা মেয়ে দেখে তার দিকে তাকালাম তাকে ভালো ভাবে দেখার জন্য।

তখন মনে হইল যে,যদি এখন আমার বউ সাথে থাকত,তবে আমার এ কাজে আমার বউ কষ্ট পেত।

তাই আমি আর ওই মেয়ের দিকে তাকালাম না।

এতে কি শিরক হবে?


৪)ধরুন,কোন মেয়ে কোন ছেলেকে বলল আপনি অনেক দ্বীনদার। আমি আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। আপনাকে ভালোবাসি। প্রেম করতে চাই। স্বীকার করে নিচ্ছি।
তবে কি শিরক হবে?


৫)আর যদি এসব শুনে ছেলে টা খুশি হয়,তবে কি ছেলেটার দ্বারা শিরক হবে??

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-



শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।

আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

বিস্তারিত  জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

(০১)
আপনার কাজটি দ্বারা শিরক হবেনা।

(০২)
এখন আপনার তাওবা করলেই চলবে।

তাওবা করার পর সেই ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।

(০৩)
এতে শিরক হবেনা।

(০৪)
এতেও শিরক হবেনা।

(০৫)
এতে ছেলেটার দ্বারা শিরক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...