বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গোসলের পর আপনার যেহেতু আবারো হায়েজ এসেছিলো,তাই আপনাকে আবারো ফরজ গোসল করতে হবে।
আগের গোসল যথেষ্ট হবেনা ।
আপনি ফরজ গোসল করে নামা আদায় করবেন।
ইশার নামাজেরও কাজা আদায় করে নিবেন।
সর্বশেষ যে হায়েজ এসেছিলো,সেটির পরেও যদি মাগরিবের ওয়াক্ত বাকি থেকে থাকে,তাহলে আপনাকে উক্ত মাগরিবেরও কাজা আদায় করতে হবে।
হায়েজের ক্ষেত্রে নামাজের শেষ ওয়াক্ত ধর্তব্য,বিস্তারিত জানুনঃ-
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি রোযা রাখা অবস্থাতেই ফরজ গোসল করবেন,তবে যেহেতু রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের সময় গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা।
তাই আপনি এমনিতেই ৩ বার মুখে পানি নিয়ে ফেলে দিবেন।
গড়গড়িয়ে কুলি করবেননা।
নাকের মধ্যে পানি না দিয়ে আঙ্গুল ভিজিয়ে সেই আঙ্গুল দিয়ে নাক পরিস্কার করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.
‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫
সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১
আরো জানুনঃ