আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
edited by
১ যদি কেউ মিউজিক উপভোগ না করে শুধু শুনে তাহলে কি গুনাহ হবে। যেমন কোনো বাসে মিউজিক বাজছে কিন্তু আমি উপভোগ করছি না শুধু আমার কানে যাচ্ছে
এই কথার কোনো ভিত্তি আছে

তারা বলে যে একবার মুহাম্মদ সা বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময় গান বাজনা করা হচ্ছিল তিনি নিষেধ করেননি তাই উপভোগ না করলে মিউজিক হালাল । মিউজিক হারাম হওয়ার জন্য উপভোগ করার নিয়ত থাকতে হবে

২ মুহাম্মদ সা বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময় গান বাজনা করা হচ্ছিল তিনি নিষেধ করেননি। এটা কি সত্যি

৩ একজন ফেইসবুকে ফিলিস্তিন সম্পর্কিত একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যেটি দেখানো হচ্ছে যে বিশ্ব মিডিয়া ফিলিস্তিন খারাপ দেখায়। ইসরাইল কিছু করলে ফিলিস্তিন যখন সেটার প্রতিরোধ করে সেটা দেখিয়ে ফিলিস্তিন কে খারাপ দেখানো হয় কিন্তু প্রথমে ইসরাইল কি করছে সেটা আর দেখায় না। কিন্তু এই ভিডিওতে মিউজিক আছে। সে বলে যে এই ভিডিওর কারণে বেশি মানুষের কাছে মেসেজ পৌঁছাবে ফিলিস্তিন সম্পর্কে কারণ এই ভিডিও মুসলিম ও অন্যান্য সবার কাছে একটি নির্ভরযোগ্য একটি নিউজ চ্যানেলের । আর ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা যে ভিডিওতে মিউজিক আছে। অর্থাৎ যারা মিউজিক শুনেনা তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।এভাবে  যারা মিউজিক সবসময় শুনে, ফাসেকও অমুসলিমদের জানানো হচ্ছে উদ্দেশ্য।ও সেভাবে যে এটার কারণে তার গুনাহ হচ্ছে না
৩.১ প্রশ্নে উল্লিখিত বিষয়ের জন্য কি হারাম ভিডিও আপলোড দেয়া কি জায়েজ

৩.২ যদি হারাম  হয় তাহলে  সে তো এটাকে হালাল ভেবে করছে তার কি গুনাহ হচ্ছে

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিউজিক কোথাও বাজলে সামর্থ্যানুযায়ী বাঁধা দিতে হবে,নিষেধ করতে হবে। যদি বাধা বা নিষেধ করা সম্ভব না হয়,তাহলে সেখান থেকে চলে যেতে হবে।যদি বাধা প্রদানও সম্ভব না হয়, এবং সেখান থেকে প্রস্থান করাও সম্ভব না হয়, তাহলে সেখানে বসে থাকা যাবে,যদিও কানে মিউজিক আসুক না কেন।

(২)
এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানিনা।তবে সত্য হলেও এর ব্যখ্যা হল, তখন সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সেই পরিমাণ সামর্থ্য ছিলনা।

(৩)
মিউজিক দেয়া কখনো বৈধ হবে না।যুদ্ধ ব্যতিত আর কোনো ক্ষেত্রেই মিউজিক বাজানো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (43 points)
হুজুর ৩ নং এর উত্তরে আপনি বলেছেন "যুদ্ধ ব্যতিত আর কোনো ক্ষেত্রেই মিউজিক বাজানো জায়েয হবে না।" মিউজিক তো হারাম তাহলে যুদ্ধে মিউজিক বাজানো কিভাবে হালাল হয়?
by (713,000 points)
যুদ্ধক্ষেত্রের বিধান ভিন্ন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...