আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
★ধরুন আমি একাকি সালাতে সূরা ফাতিহা একটু পড়ার পর মনে হল  কোন আয়াত বাদ পড়েছে, তখন সেখানে থেমে আমি যদি কিছুক্ষন ভাবি যে আসলেই ভুল হয়ছে কি না,,অর্থাৎ নামাযে আর না এগোয়।।
তাশাহহুদ এর সময় ও যদি সাহু সিজদা বিষয়ে বা এমন ভুল এর জন্য কিছুক্ষন ভাবি তাইলে কি সালাত এ সাহু সিজদা ওয়াজিব বা নামাজ ফাসিদ হবে?
★ফরজ বা ওয়াজিব পালনে মূলত কেমন কি দেরি হলে সাহু সেজদা ওয়াজিন হয়?(বিস্তারিত)[ঊদা-উপরের পয়েন্ট]
★সূরা ফাতিহা বা তাশাহুদ এ একই আয়াত বার বার পড়লে সাহু সিজদা দিতে হয়। আসলে বার বার বলতে কেমন/কতবার?[ফকিহুল মিল্লাত এ দেখলাম ৪২ হরফ তথা তিন তাসবীহ পরিমান দোহরালে সাহু সেজ. ওয়াজিব হয়। কিন্তু তা কি একবার নাকি তার অধিক বার দোহরালে?ও অধিকবার বলতে কতটুকু.? আর ৪২ হরফের কম বার বার দোহরালে?         আর একটা আয়াত বার বার পড়া বলতে কি সেই আয়াত টা একবার পুরো শেষ হবার পর আবার পড়া নাকি ধরুন একটা আয়াত একটু পড়ার পর কোথাও ভুল গেলো এবং পুনরায় যদি একইভাবে ভুল যায় ও শেষ একবার পুর্ন আয়াত টা সহিহ পড়া,{যেমনঃতাশাহুদ এ ওয়াসলাওয়াতু পর্যন্ত পড়ে ভুল গেল এবং পুনঃ পুনঃ হল এবং শেষ এ একবার তা সহীহ ভাবে পড়লাম} এ ক্ষেত্রে?
★হানাফি মাযহাব মতে অন্য মাযহাবের ইমামের পেছনে ইক্তিদা করা যাবে না? আসলে কি সেটি নাজায়েজ নাকি মাকরূহ? আর মাকরূহ তাহরীমি নাকি তানজীমি?
আর নাজায়েজ বা মাকরূহ যাজ হোক, হানাফি মাযহাবের কেঊ যদি সফর অবস্থায় কোথাও জামাতে সালাত আদায় করতে গিয়ে দেখা যে ইমাম লা মাযহাবি বা অন্য মাযহাবি তখন কি করবে?
★ অনেক ক্ষেত্রে কোন মাসআলার ক্ষেত্রে নিজ মাযহাবের এর টা পাওয়া যায়না। তখন কি অন্য মাযহাব বা লা মাযহাবের টা মানা যাবে জেনে বা না জেনে?            যদি এমন হয় ফরজ নামাজের ফরজ-ওয়াজিব সংক্রান্ত মাসআলা,  এখন নিজ মাযহাবের টা পায়নি অথচ জেনে অন্য মাযহাবের টা মানি এবং পরে যদি ওয়াক্ত শেষ হবার আগে  আবার নিজ মাযহাবের টা জানতে পারি তাহলে কি নামাজ দোহরাতে হবে? তেমনই ওয়াক্ত শেষ হবার পর যদি জানতে পারি তাহলে কি নামাজ দোহরাতে  হবে?
★কাপড়ে নাপাকী লাগলে তা নাপাক হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মত আছে,, কেউ বলে সূচের আগার পরিমান এর বেশি লাগলে আবার কেউ বলে একদিরহাম পরিমান। হানাফি মাযহাব এ কোনটি?
★ আমার সমস্যার কারনে পেসাব বের হওয়ার সময় মাঝেমাঝে এলোমেলো ভাবে বের হয়,,এখন অনেক সময় ভুল বশত অসতর্ক হয়ে যায়, ফলে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে গায়ে বা জামায় লাগল কি না... আবার অনেক সময় এমন হওয়ার ফলে গায়ে লাগে  এবং জামার খুব কাছ দিয়ে যায় ফলে বুঝি না যে লাগছে কি না,ফলস্বরূপ সন্দেহ হয়।এখন উভয় ক্ষেত্রে কি সন্দেহের কি প্রাধান্য হবে?।।আবার, পেসাব এর ছিটা আসে যেহেতু তাই অনেক সময় কারেন্ট না থাকায় বা আলোর সল্পতা থাকায় বুঝতে পারি না ফলে তাতেও সন্দেহ আসে, এক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২.৩)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে চাই তাহা কিরাআত রত অবস্থায় হোক বা বৈঠকে হোক, এক রুকন সমপরিমাণ চুপ থাকলে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হয়।

(এক রুকন= ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم  পড়া সমপরিমাণ সময়) 

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৪)
 অন্য মাযহাব পন্থী ইমামের পিছনে শর্ত ইক্তেদা করা জায়েজ আছে।
হজ্জে গিয়েও এটির সম্মুখীন সকলের হতে হয়।
কেননা সেখানকার ইমামগন হাম্বলি মাযহাব অনুসারী। 

বিস্তারিতঃ 
যদি অন্য মাজহাবের ইমামের ব্যাপারে সুনিশ্চিতভাবে জানা থাকে যে, তিনি নামাজের ফরজসমূহ আদায়ের ক্ষেত্রে হানাফি মাজহাবের প্রতিও খেয়াল রাখেন তাহলে একাকি নামাজ পড়ার চেয়ে তার পেছনে ইকতিদা করাই উত্তম। আর যদি জানা থাকে যে, তিনি ফরজসমূহের ক্ষেত্রেও হানাফি মাজহাবের প্রতি খেয়াল রাখেন না তাহলে তার পেছনে ইকতিদা করা যাবে না। আর যদি কিছুই জানা না যায়, তবে এমন ব্যক্তির ইকতিদা করা মাকরূহ হলেও তার পেছনে জামাতে নামাজ পড়াই উত্তম। তবে শর্ত হলো, মুক্তাদির মাজহাব অনুযায়ী ইমাম সাহেব থেকে নামাজ ভঙ্গের কোনো কারণ (যেমন, শরীরের কোনো স্থান হইতে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া ইত্যাদি) প্রকাশ না পাওয়া। এমন কিছু প্রকাশ পেলে মুক্তাদির নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
(সংগৃহীত)

(০৫)
৪ মাযহাবের প্রত্যেকটি সম্পূর্ণ। 
সমস্ত মাসয়ালা অবশ্যই সেই মাযহাবের স্কলারদের প্রশ্ন করলে জবাব পাবেনই।
সরাসরি কিতাবে পাওয়া না গেলেও সেই মাযহাবের স্কলারগন উসুল ও কায়েদার ভিত্তিতে সঠিক জবাব দিবেন।
,
সুতরাং ভিন্ন মাযহাব অনুসরন এর সুযোগ নেই।
কোনো মাসয়ালা নিয়ে সমস্যা মনে হলে বিজ্ঞ স্কলারদের স্বরনাপন্ন হতে হবে।

(০৬)
এক দিরহামের কম লাগলে এটি মাফ।

(০৭)
শরীয়াহ নীতি মেনে সঠিকভাবে ইস্তেঞ্জার পর টিস্যু ব্যবহার করে ভালো ভাবে পান দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর কোনো সন্দেহকে আর মনে আসতে দিবেননা।     

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...