বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/28597/?show=28597#q28597
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
অজু ব্যতীত
কুরআনকে স্পর্শ করা যায় না,তবে বিনা অজুতে কুরআনকে স্পর্শ করা ব্যতীত
পড়া যাবে।
চার মাযহাবের সিদ্বান্ত
মতে বিনা অজুতে কোরআন শরীফকে স্পর্শ করা যাবে না।
,
সুতরাং ওযু
ছাড়া মোবাইল, ট্যাব,ল্যাপটপ/কম্পিউটার থেকে কুরআন পড়া জায়েয আছে। তবে সরাসরি
কুরআন লিখিত স্কীনে স্পর্শ করতে চাইলে ওযু থাকা জরুরি।
কুরআন শরীফ তথা
কুরআনের আয়াত ধরার জন্য ওজু থাকা আবশ্যক। পড়ার জন্য বা শোনার জন্য ওজু করা আবশ্যক
নয়। কুরআনে কারীমের আয়াত ছাড়া অন্য কিছু ধরার জন্য অজু থাকা জরুরী নয়।
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ [٥٦:٧٩
যারা পাক
পবিত্র, তারা ব্যতিত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। {সূরা ওয়াকিয়া-৭৯}
,
হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি
লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।
{মুয়াত্তা মালিক,
হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার,
হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর,
হাদীস নং-১৩২১৭,
আল মুজামুস সাগীর,
হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ,
হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}
عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.
হযরত
আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি
ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}
قال ابن عبد البر في الاستذكار (8/10): ((أجمع فقهاء الأمصار الذين تدور عليهم الفتوى وعلى أصحابهم بأن المصحف لا يمسه إلا طاهر
আল্লামা ইবনে
আব্দিল বার রহঃ বলেনঃ সমগ্র পৃথিবীর সকল ফক্বীহগণ ও তাদের অনুসারীগণ একমত এবং এর
উপরই সকলে ফাতওয়া প্রদান করে থাকেন যে, কুরআনে কারীম পবিত্র হওয়া ছাড়া স্পর্শ করা জায়েজ নেই। {আল ইসতিজকার-১০/৮}
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/8339/
https://www.ifatwa.info/8999 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/166
জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত
বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।
যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে
এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন
হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা
রাখতেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে
জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ
সাঃ রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ক. হ্যাঁ,
প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে মোবাইলে বা কম্পিউটারে অযু ছাড়া কুরআন শরিফ এর পিডিএফ পড়া
যাবে।
তবে সরাসরি কুরআন লিখিত স্কীনে স্পর্শ করা
যাবে না।
খ. হ্যাঁ, সরাসরি কুরআন লিখিত স্কীনে স্পর্শ করা ছাড়া
সেটা বা মুখস্থ করা যাবে।
২. লিখতে গেলে ওজু থাকা আবশ্যক নয়। তবে লেখা
হয়ে গেলে বা লেখার সময় খাতায় লিখিত ঐ আয়াত ওজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে না।
৩. যেহেতু ঐ
খাবারগুলো হালাল। কারণ, জন্মদিন বা ৪০ শা উপলক্ষে
খাবার রান্না করলেই তা হারাম হয়ে যায় না। তবে এগুলো পালন করা শরীয়ত সম্মত নয়। তাই
তা আপনার বাড়ীতে দিয়ে গেলে তা খেলে কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে
যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।