আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (25 points)
4046 নং  প্রশ্নে এক ভাই জিগ্যেস করেছেন-

"আমি পাইকারি গেঞ্জির ব্যবসা করি।।একটা গেঞ্জি যখন কিছু মানুষের কাছে ১২০ টাকা বিক্রি করি তখন অনেক সময় অন্য কিছু মানুষের বেশি দামাদামির কারণে কিছু কমে দেই। বা কেউ একসাথে বেশি পরিমাণ নিলে ৫-১৫ টাকা কমে দেই।এতে কি কোন সমস্যা হবে?"
উত্তরে বলা হয়েছে

"......যদি ক্রেতার পণ্য সম্পর্কে ধ্যানধারণা ও জ্ঞান কমবেশী থাকার কারণে বিক্রতা একই পণ্যকে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করে,তাহলে এটা জায়েয হবে না।যেমন, বিক্রেতা কোনো ক্রেতাকে অভিজ্ঞ দেখে কম দামে বিক্রি করলো, আবার অন্যজনকে কমঅভিজ্ঞ দেখে বেশ দামে বিক্রি করলো।

বিক্রেতার উপর নৈতিকভাবে ওয়াজিব,সে বাজারমূল্য অনুযায়ী সবার জন্য প্রায় সমান মূল্য নির্ধারণ করবে"
জানার বিষয় হল বাংলাদেশে সাধারণত কাঁচাবাজার, কাপড় ইত্যাদি পণ্য অনেক সময়ই ফিক্সড প্রাইসে কেনা বেচা হয় না। তো এখানে কাস্টমারভেদে কিছু পার্থক্য হয়েই যায়। যেমন উল্লিখিত প্রশ্নে ১০/১৫ টাকা পার্থক্যের কথা বলেছেন। কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশিও হয়ে থাকে। মোটামুটি একটে রেঞ্জকে ক্রেতারাও সহনীয় বলেই ধরে নিয়ে থাকে। বাজারদর বলতেও সুনির্দিষ্ট দামের বদলে একটা রেঞ্জই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১ঃ উল্লিখিত প্রায় সমান বলে আসলে প্রচলন ধরা হবে নাকি নির্দিষ্ট কোন রেঞ্জ আছে?
প্রশ্ন-২ঃ  দোকানদাররা সাধারণত একটা দাম বলে থাকেন। এরপর তার ন্যূনতম একটা লাভ থাকলে ক্রেতার বলা দামে ছেড়ে দেন। ঘটনাচক্রে দেখা গেল দিনের প্রথম গ্রাহকের কাছে তিনি হয়ত ১০০ টাকা লাভ করেছেন। তাহলে কি পরবর্তী সবার কাছেই এই লাভে বিক্রি করতে হবে?
প্রশ্ন-৩ঃ  যদি এমন হয় যে, পরের কাস্টমার দাম কম বলেছেন। এতেও তার ৫০ টাকা লাভ থাকে বিধায় তিনি ছেড়ে দিলেন। এতে কি ১ম গ্রাহক জুলুমের শিকার বলে ধরা হবে? সেক্ষেত্রে তার টাকাই বা কী করে ফেরত দেবে?
প্রশ্ন-৪ঃ দর্জির দোকান বা এই জাতীয় মজুরিভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রেও তারা একটা নির্দিষ্ট দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখেন। অনেক সময় পুরনো কাস্টমারকে কিছু কমে দিয়ে থাকেন। আবার কোন কোন কাস্টমারের চাপাচাপিতে কমিয়ে থাকেন। আর কেউ কেউ যদি কমানোর কথা তেমন জোর দিয়ে না বলে তাহলে তারা দাবিকৃত মজুরিই ধরেন। এ ব্যাপারে কী হুকুম?
প্রশ্ন-৫ঃ পাশাপাশি দুই দোকান কিংবা দুইটি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় দামের পার্থক্য ঘোষিতই থাকে। এ ক্ষেত্রে যারা কেনে সাধারণত জেনেই বেশি দামের দোকানে যায়।
প্রশ্ন-৬ঃ   বিগত জীবন যিনি এই পদ্ধতিতেই (প্রশ্ন- ২,৩)  ব্যবসা করে এসেছেন, তার জন্য এখন কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ- 
হযরত তামীম দারী রাযি থেকে বর্ণিত
عن تميم الداري أنه قال : (الدين النصيحة) . قيل : لمن يا رسول الله ؟ قال : ( لله ولكتابه ولرسوله ولأئمة المسلمين وعامتهم ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,দ্বীনে ইসলাম হলো,নাসিহা(অন্যর কল্যাণ কামনা)এর নাম।জিজ্ঞেস করা হলো, নাসিহা কার জন্যে?উত্তরে বলা হল,আল্লাহর জন্য কিতাবের জন্য,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য এবং মুসলমান শাসক ও জনসাধারণের জন্য।(সহীহ মুসলিম-৫৫)......... 4046


  • (১)প্রায় সমান বলতে সমাজে প্রচলিত মূল্য।যাকে সমাজ তেমন কমবেশ মনে করে না।
  • (২)দিনের প্রথম ভাবে ১০০ লাভ করেছেন।দিনের অন্যন্য সময়েও ১০০শত লাভ করতে হবে এমনটা নয়।বরং ধরেন ৮৫/১১৫ এর মধ্যেই থাকবেন।
  • (৩)পরের কাস্টমারকে প্রথম কাস্টটমারের চেয়ে কম দামে বিক্রির পরও দেখা যাচ্ছে,৫০টাকা লাভ।তাই উনি প্রথম কাস্টমারের কাছ থেকে এত বেশী দাম হাকানো উচিৎ হয়নি।তবে লাভ হারাম হচ্ছে না।যেহেতু তার সন্তুষ্টিতে ক্রয়-বিক্রয় সংগঠিত হয়েছে।অর্থাৎ এভাবে চরম পর্যায়ের তফাৎ রেখে ক্রয়-বিক্রয় করা  নাজায়েয। তবে কৃত লাভকে হারাম বলা যাবে না।যেহেতু উভয়ের সন্তুষ্টিতে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
  • (৪)বেশ তফাৎ রাখা যাবে না।স্বাভাবিক পর্যায়ের হতে হবে।
  • (৫)নির্ধারিত একদাম  লিখা রাখলে সেটা জায়েয রয়েছে।কেননা এটা সবার জন্য সমান।কিন্তু বাজার মূল্যর চেয়ে অতরিক্ত মূল্য লিখে রাখা অনুচিৎ।
  • (৬)তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।তবে লাভকে ফিরিয়ে দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...