জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহ মানুষকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের অঙ্গগুলোও সম্মানিত। তাই তাদের অঙ্গের সঙ্গেও এমন ব্যবহার করা যাবে না, যা তাদের সম্মান হানি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর আমি মানব সন্তানকে সম্মানিত করেছি...।’ (সুরা ইসরা, আয়াত : ৭০)
হজরত মিল বিনতে মিশরাহ আল আশআরি থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা মিশরাহ [যিনি রাসুল (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন]-কে দেখেছেন যে তিনি নখ কাটার পর তা দাফন করে ফেলতেন। তিনি বলতেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে এমন করতে দেখেছেন। [আত তারিখুল কুবরা (ইমাম বুখারি) : ৮/৪৫]
ইমাম আহমদ (রহ.)-কে এক ব্যক্তি কর্তিত চুল ও নখের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কি দাফন করব নাকি ফেলে দেব?’ তিনি বলেন, ‘দাফন করে ফেলো।’ লোকটি বলল, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছু পেয়েছেন?’ তিনি বলেন, ‘ইবনে ওমর (রা.) এগুলো দাফন করে ফেলতেন।’ (আল মুগনি, ইবনে কুদামা : ১/১১০)
(০১)
(ক,খ,গ,ঘ)
এগুলো দাফন করা মুস্তাহাব, উত্তম।
মানুষ চলাচল করেনা,এমন স্থানেও ফেলে দেওয়া যাবে।
এগুলো উত্তম কাজ।
,
এর ব্যাতিক্রম হলে গুনাহ হবে,বিষয়টি এমন নহে।
(ঙ)
কোনো সমস্যা নেই।
(চ)
হ্যাঁ কাটা যাবে।
(০২)
এটি মাকরুহ।
(০৩)
এভাবে জীবিত ব্যাক্তিকেও ছওয়াব পৌছানো যাবে।
(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
(ক)
হ্যাঁ করতে পারবে।
আর এতে ফজিলতও পাবে।
তবে গুনাহ হওয়ার শংকা থাকলে মুয়ানাকার সুযোগ নেই।
(খ)
নিজ স্বামী ও ঘরের মহিলারা ব্যাতিত অন্য কেউ যেনো তাহা দেখতে না পারে,এমন স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
(গ)
হ্যাঁ পারবে।
শর্ত হলো গায়রে মাহরাম কেউ যেনো ঘ্রান না পায়।