ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ».
مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের
উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ
ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার
স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত
অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে। বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭,
তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫,
আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭,
আহমাদ ১৬৯, ৩০২।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسُبُّوا أَصْحَابِي، لَا تَسُبُّوا أَصْحَابِي، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا، مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ، وَلَا نَصِيفَهُ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার
সাহাবীগণের সমালোচনা করো না। তোমরা আমার সাহাবীগণের সমালোচনা করবে না। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন, যদি তোমাদের মধ্যে কেউ উহুদ পাহাড় বরাবর স্বর্ণ ব্যয় করে তাহলেও তাঁদের কারোর এক
মুদ অথবা অর্ধ মুদ্দের সমান হবে না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৪০] এ হাদীস পস্কিার প্রমান করে, সাহাবাগণ আল্লাহর কাছে কত মর্যাদাবান। কত শ্রেষ্ঠ। অন্যরা উহুদ পাহাড় পরিমাণ নেক
কাজ করলেও সাহাবাগণের অর্ধেক মুদ পরিমাণ নেক কাজের মুকাবিলা করতে পারে না।
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানুন-
https://ifatwa.info/16799/?show=16799#q16799
শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে জানুন-
https://ifatwa.info/13221/?show=13221#q13221
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সকল কাজের ফলাফল একমাত্র নিয়তের
উপর নির্ভরশীল দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আপনার নিয়ত যদি ভালো থাকে তাহলে তা আল্লাহ তায়ালা
কবুল করবেন অন্যথায় নয়। যেমন, আপনি হজ্জ করতে গেলেন
এবং নিয়ত করলেন যে,
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তাহলে তা কবুল করা হবে এবং হজ্জের
পরিপূর্ণ সওয়াব দেওয়া হবে। আর যদি নিয়ত করেন যে, মানুষ জন হাজী বলবে তাই হ্জ্জ করতে যাচ্ছি তাহলে তা কবুল করা হবে না এবং এই হজ্জ
করার বিনিময়ে কোনো সওয়াবও দেওয়া হবে না। তেমনী ভাবে আপনি অন্তর থেকে নিয়ত করলেন যে, কিছু দান করবেন কিন্তু কোনো কারণে পারলেন না। তাহলে ভালো নিয়ত
করার কারণে আপনি সওয়াব পেয়ে যাবেন।
২. যেহেতু উম্মতে মুহাম্মদী গড়
আয়ু কম। তাই আল্লাহ তায়ালা কিছু এমন রাত্রী দিয়েছেন যাতে ইবাদত করা হাজারোও মাসের থেকেও
উত্তম।
৩. না, কোনো ভাবেই আমাদের জন্য সাহাবাদের সমান মর্যাদা পাওয়া সম্ভব না।