আসসালামু আ'লাইকুম,
১.আমি অনার্সে ভর্তি হই ২০২১ এ।একটা মহিলা কলেজে।ন্যাশনালে ভর্তি হতে গেলে চয়েজ দিতে হয় কলেজে। আমার যে সাবজেক্ট যে কলেজ আসছে আমাকে সেখানেই পড়তে হবে। আর না পড়তে চাইলে মাইগ্রেশান করতে পারবো তবে সেটা এক বছর পর। আর মাইগ্রেশন করে সাবজেক্ট চেইঞ্জ করলে আমাকে আবার ১ বছর গ্যাপ দিতে হবে।
এখন, যে কলেজে আসছে সেখানকার পড়াশোনার মান ভালো না। আর আমি বাংলা নিয়ে পড়তেও চাই না। এখানে শিরক কুফরী অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। আমি বাংলা বিষয়ে চান্স পেয়েছি।
মেয়েদের জন্য কোনো দ্বীন মেনে চলার মতো উইমেন্স ইউনিভার্সিটি নাই এটা বড়ই দুঃখজনক।
এখন আমি যতদূর জানি যে
ইসলামে সহশিক্ষা জায়েজ নাই। আর একারণেই আমি মহিলা কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু আমি বাংলা নিয়ে পড়তে চাই না আর এই কলেজেও পড়তে চাই না। আমি কি তাহলে কো এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট গুলায় ভর্তি হতে পারবো?
আমার বাড়ির আশেপাশে যে মহিলা কলেজ সেগুলা মোটামুটি মানের বাট সেখানে আমার কলেজ সিলেকশনে আসেনাই।আমি যে কলেজে চান্স পাইছি সেটা আমার বাসা থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে। মাইগ্রেশান করে আমার বাসার কাছের কলেজে আসতে পারবো কি না তাও জানিনা।কারণ কলেজ বদলানো ঝামেলা, আর সিট ও থাকতে হবে।তার উপরে তো আজকাল ঘুষ ছাড়া কোথাও কোনো কাজ হয়না। এখানে সিট না থাকলে আমাকে নিবে না। আর আমার এসএসসি ২০১৭ এইচএসসি ২০২০.. আমি ন্যাশনালে ভর্তি ক্যান্সেল করে আবার নতুন করে ভর্তি ও হতে পারবো না।
আমি যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়তে চাই যেখানে ছেলে মেয়ে একসাথে পড়াশোনা করে কিন্তু পর্দা মেনে। যেমন- বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মানারাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম।
এই প্রতিষ্ঠান গুলা আমি শুনছি ইসলামিক মাইন্ডের।আর আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের টায় মেয়েদের ক্যাম্পাস আলাদা, ছেলের ক্যাম্পাস আলাদ।
আমি কি এখানে পড়তে পারবো? কিন্তু যদি পড়তে পারি তাহলে আমার বাসা থেকে এগুলো বহুদূর, চট্টগ্রাম যেতে তো প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা লাগে।হয়তো এর থেকেও বেশি। আমি যাইনি কখনো।গুগল ম্যাপে দেখেছি।
আর ঢাকায় যদি ভর্তি হতে চাই তো সেক্ষেত্রে ৭/৮ ঘন্টা বা তার বেশি লাগতে পারে সময়।
এখন আমার বাবা যদি আমাকে হোস্টেলে রেখে আসে ; সেই হোস্টেল থেকে কতটুকু দূরত্বের মধ্যে আমি একা যাতায়াত করতে পারবো?যেহেতু সেখানে আমি একা থাকবো।
আর বাড়িতে আসার সময় তো আমাকে একা আসতে হবে যেটা কি না জায়েজ নাই।
সবসময় বাবা গিয়ে নিয়ে আসবে এমনও সম্ভব না।আমি অবিবাহিত আর আমার কোনো ভাই ও নাই।
আর ঢাকায় যে পরিমাণ ফিৎনার ছড়াছড়ি
সব মিলায়ে অনেক কনফিউজড যে আসলে কি করবো!ঢাকার পরিবেশে দ্বীন মেইনটেইন করা আমার কাছে খুব টাফ মনে হচ্ছে।সেখানে ঈমান ধরে রেখে পড়াশোনা করাও কষ্টকর হবে মনে হচ্ছে।
আর আলহা'মদুলিল্লাহ যে আল্লাহ আমাকে তার দয়ায় হেদায়েত ভিক্ষা দিছেন,আমি দ্বীনের পথে নতুন।
তাই আরও ভয় লাগে যে ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আল্লাহকে না অসন্তুষ্ট করে ফেলি,দ্বীন থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয় কাজ করে। আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় ইস্তেখারা করেছিলাম,কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না তারপরও কি করবো;পরে মনে হয়েছে মহিলা কলেজে ভর্তি হই।তাই ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু তারপর এখন আবার সেখানে পড়তে ইচ্ছা করছে না ।আরেকটা বিষয় তা হলো- আমার বাসায় চায় আমি চাকরি করি, কিন্তু আমি মোটেও চাকরি করতে চাইনা। প্রাইভেটে পড়ার পর যদি তারা বলে যে টাকা দিয়ে পড়িয়েছি, আগে কেনো বলো নি চাকরি করবে না? টাকা গুলো নস্ট করালে কেনো? আমি বাসায় জানাই নি যে আমি চাকরি করতে চাইনা। অনার্স কমপ্লিট করার পর হয়তো জানাবো। এখন জানালে বাড়িতে অনেক ঝামেলা হতে পারে।
আমার কি করা উচিত?
২। নফল নামাজে সিজদায় সুবহানা রব্বিআল আলা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সিজদায় গিয়েই বাংলা দিয়ে দোয়া করে ফেলছি।পরে যখনি মনে পড়ছে তখনি সুবহানা রব্বিআল আলা পড়ে নিয়েছি। এতে কি নামাজ হয়েছে?
৩.কুরআন খতম করার জন্য সূরা নাস পড়ার পরে কি কোনো আমল আছে?
৪.সেহরির শেষ সময় ৪ঃ২৪
ফজরের ওয়াক্ত শুরু ৪ঃ২৯ (মুসলিম এপ অনুযায়ী)
কিন্তু আমাদের আশেপাশে আজান দেয় ৪ঃ২৭ এ। আমি পানি খেয়েছি ৪ঃ২৭ এ।ফোনের এপের সময় দেখে পানি খেয়েছি কারন যেহেতু সেখানে ফজরের ওয়াক্ত শুরু ৪ঃ২৯ এ দেখাচ্ছিলো। এতে কি রোজার কোনো সমস্যা হবে?