আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
closed by

দুর্বল ইমানের কারণে আমি মাঝে মাঝে গুনাহ করে ফেলি। তো আমি নিজে নিজে নিজেকে শাস্তি দেয়ের জন্য আমালের নিয়ত করতাম। 

যেমন, আজকে গুনাহ হয়ে গেছে, তো, আমি ৪০০০ বার ইস্তেগফার পড়বো এবং প্রতিদিন ২ রাকাত নফল নামাজে রুকুতে ও সিজদায় ১০ বাস ইস্তেগফার করবো। তো যখন আবার একই গুনাহ হয়ে যায়, তখন শাস্তি বাড়িয়ে দিতাম। যেমন, এখন থেকে প্রতিদিন ২ রাকাত নফল নামাজে রুকুতে ও সিজদায় ২০ বাস ইস্তেগফার করবো। আমি এরকম কিছু বলিনাই (আমি মান্নত করিলাম)। আমার টা মনে মনে নিয়ত করেছিলাম যে, আজকে গুনাহ হয়ছে যা তাহলে আমাল বাড়িয়ে দিব ইনশাআল্লাহ্‌। আমি আসলে শিওর না আমি কি মুখে জোরে বলেছিলাম নাকি মনে মনে নিয়ত করেছিলাম। তবে মান্নত শব্দ বলি নাই এইটা শিওর। 

এভাবে বাড়তে বাড়তে, এখন অনেক হয়ে গেছে। এখন আমার জন্য, সিজদায় বা রুকুতে এতো বার এস্তেগফার পড়া কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি এখন ৫ বার করে ইস্তেগফার পড়ি। যেহেতু, গুনাহ অনেক কমে গেছে আলহামদুল্লিহ। 

এখন, এই যে আমার নিয়ত, এইটা কি মান্নত নাকি সাধারণ নিয়ত। যেহেতু, আমি শিওর না মুখে জোরে বলেছিলাম নাকি মনে মনে নিয়ত করেছিলাম (যতটুকু মনে পরে আমি মনে মনে করেছিলাম), সেহেতু, যদি আমি ৫ বার করে ইস্তেগফার পড়ি, এতে কি কোন সমস্যা হবে? 

আমি এইখানে পেয়েছি 

মানত সহিহ হওয়ার জন্য মানতকৃত বিষয়ের শ্রেণিভুক্ত কোনো কিছু পারিভাষিক ওয়াজিব বা ফরজে আইন হতে হবে। মানতকৃত বিষয়ের শ্রেণিভুক্ত কোনো কিছু যদি ফরজে আইন বা পারিভাষিক ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে মানত সহিহ হবে না। এখন, আমা প্রশ্ন হচ্ছে, নামাজে এস্তেগফার পড়া তো "ওয়াজিব বা ফরজে আইন" না। তাহলে ও তো মান্নত সহিহ হওয়ার কথা না  ( যদি মুখে জোরে উচ্চারণ করে থাকে)। 

 

আমি আপনাদের 

https://ifatwa.info/15467/

https://ifatwa.info/40287/

পোষ্ট পরেছি কিন্তু বিশয়টা ক্লিয়ার হচ্ছে না। 

 

আরেক টি প্রশ্ন হচ্চেঃ ধরেন কেও জোরে নিয়ত করে মান্নত করলো যে "এই গুনাহ হলে ওই আমাল করবো"। এখন, এই মান্নত তো তার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেলো (যতবার সে গুনাহ করবে ততবার এই আমল করতে হবে)। কিন্তু ওই মান্নত থেকে ফিরত আসার কি কোন উপায় আছে? যে গুনাহ করলেও (আল্লাহ্‌ না করুক, আল্লাহ্‌ হেফাজত করুক) তার উপর ওই মান্নত ওয়াজিব থাকবে না?  

closed

1 Answer

0 votes
by (596,010 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার এ কাজ নিয়ত হিসেবে গণ্য হবে।এ কাজ মান্নত হবে না।

নিয়ত বা ওয়াদাকে প্রয়োজনে বদলানোর সুযোগ রয়েছে।
https://www.ifatwa.info/13507 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ওয়াদা করার পর ওয়াদাকে পূর্ণ করা উচিৎ। তবে পূর্ণ না করলে সে গোনাহগার হবে না।
«وَأَسَاسُ الْمَسْأَلَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ: أَنَّ الإِْنْسَانَ إِذَا أَنْبَأَ غَيْرَهُ بِأَنَّهُ سَيَفْعَل أَمْرًا فِي الْمُسْتَقْبَل مَرْغُوبًا لَهُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ الأَْمْرُ غَيْرَ وَاجِبٍ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ بِمُجَرَّدِ الْوَعْدِ؛ لأَِنَّ الْوَعْدَ لَا يُغَيِّرُ الأُْمُورَ الاِخْتِيَارِيَّةَ إِلَى الْوُجُوبِ وَاللُّزُومِ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (44/ 76)
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিষয়ে মূলনীতি হল, কোনো মানুষ যখন অন্যকে সংবাদ দেয় যে, সে ভবিষ্যতে ঐ কাজটি করবে, যদি ঐ কাজটি তার উপর মূলত ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ তার উপর ওয়াদাকে পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হবে না। কেননা ওয়াদা ইচ্ছা স্বাধীন বিষয়কে পরিবর্তন করে অত্যবশ্যকীয়র দিকে নিয়ে যায় না। ( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৪/৭৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13507


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (596,010 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...