আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
390 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
১)কিছুদিন আগে আমি এমন একটা অবস্থায় পড়েছিলাম যখন পরাশুনা না ছাড়লে শিরক হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি আব্বু আম্মুকে সন্তুষ্ট করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন ওই সমস্যা কি ছিল আমি ভুলে গেছি।
এখন যদি আমি তওবা করে ফেলি আর আল্লাহর রুবিয়া,উলুহিয়া এবং গুণবাচক নাম গুলোর উপর ইমান নিয়ে আসি তবে কি আমি আব্বু আম্মুকে খুশি করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবো??

২)আমি পরাশুনা নিয়ে খুব সিরিয়াস।সবসময় চেষ্টা করি পরাশুনায় ভালো করার জন্য।

একটু আগে মাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মাজারে শুয়ে থাকা মৃতের কাছে দুয়া করলাম যে,"আমার পরাশুনার অবস্থা ভালো করে দিন।"

আমি জানতাম যে এটা শিরক।তবে আমি আসলে নিশ্চিত না যে আমি দুয়া করছিলাম কি না।

আমার সামনে এখন দুইটা পথ আছে।

ক)পরাশুনা ছেড়ে দেওয়া।তাহলে প্রমান হয়ে যায় যে পরাশুনার জন্য আমার এত আগ্রহ ছিল না যে আমি মৃতের কাছে দুয়া করব।

আমি পরাশুনা ছাড়তে রাজি।

কিন্তু এটা করলে আব্বু আম্মু আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন।

খ)শিরক করেছি মনে করে তাওবা করে নেওয়া।

আর পরাশুনা চালিয়ে যাওয়া।

কোনটা করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;
(১)
জ্বী, তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন।সুতরাং তাওবাহ করে নিয়ে আপনি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

(২)
(ক)
আপনি তাওবাহ করে নেন,আল্লাহ অবশ্যই তাওবাহকে কবুল করবেন।

(খ)
আপনি তাওবাহ করে নিয়ে পড়াশুনাকে আবার চালিয়ে নিবেন।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: «إن الله -عز وجل- يقبل تَوْبَةَ العَبْدِ ما لم يُغَرْغِرْ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা বান্দার সাকরাতুল মওতের পূর্ব পর্যন্ত বান্দার তাওবাহ কবুল করেন।(সুনানে তিরমিযি,সুনানে ইবনে মা'জা)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 280 views
0 votes
1 answer 103 views
...