১)
আমার বাসা থেকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে ক্লাস করার শক্তি আল্লাহ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ৭৫ কিলোমিটার, আসতে ৭৫ কিলোমিটার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসার সময় পথের মাঝে সলাতুল আসরের ওয়াক্ত হয়ে যায়। যেমন, ৩ টা ৫০ মিনিটে বাস থেকে। বাসায় পৌঁছাই সন্ধ্যা ৬ টায়। মাঝে ৫ টায় সলাতের জন্য নামা হয়। এভাবে প্রতিদিনই করা হয়।
i) তখন কি আমি সলাতুল আসর কসর করব?
ii)কসর হলে যদি কখনো কাযা হয়ে যায়, বাসায় এসে কি পুরো নামাজ পড়ব নাকি কসর করব?
২)
এটার উত্তর একটু স্পেশালি দিবেন ইনশাআল্লাহ।
বেশ কিছুদিন আগে পাকিস্তানে " কনফার্ম জান্নাতি" টাইটেলে একটা গান বের হয়েছিল,যেটা ওয়ার্ল্ড ওয়াই পপুলার হয়ে গিয়েছিল। গানের হুক লাইনই ছিল
" কনফার্ম জান্নাতি হ্যা ,কনফার্ম জান্নাতি হ্যা"
ওই গায়ক এই লাইন বলার আগে উর্দূতে বলত,
" যে সিজদা করে খোদা কে, মুস্তফাকে পাওয়ার আশায়,
যে চুম্বন করে কাবা কে, যে রবের উপর ভরসা রাখে,
যে খালিক কে খুশি রাখে, অবশ্যই সে , কনফার্ম জান্নাতি হ্যা ,কনফার্ম জান্নাতি হ্যা।
তার লাইন গুলো সুন্দর এবং যেসব কাজে কনফার্ম জান্নাতি বলেছে, এগুলো সত্য তাতে কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু, বর্তমানে, আমার মুসলিম ভাইবোন রা কাউকে বোরকা-দাড়ি টুপিতে কিছু করতে দেখলেই কনফার্ম জান্নাতি বলে উপহাস করে। বোরকা-দাঁড়ি টুপিতে গান গাইলে , তাকে কনফার্ম জান্নাতি বলে ঠাট্টা করে উপহাস করে। রমাদানে কেউ একজন হুট করে মসজিদে আসা শুরু করার জন্য তাকে বন্ধুরা কনফার্ম জান্নাতি বলে উপহাস করতেসে।
উপহাস করা জায়েয নেই, তা জানি। কিন্তু " কনফার্ম জান্নাতি " বলে উপহাস করা কতটুকু ক্ষতিকর? যেখানে তারা জানে না সে জান্নাতি নাকি জাহান্নামী! কিন্তু কিছু হলেই কনফার্ম জান্নাতি বলে বেড়াচ্ছে। এর জন্য কি তার শিরক করা হলো??