بسم الله الرحمن الرحيم
জাবাব,
মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে রোযার জন্য সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব এবং যে ব্যক্তি
তা ইচ্ছাকৃত খায় না সে গোনাহগার নয়। আর এ কারণেই যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরী খাওয়ার
সময় না পায়, তাহলে তার জন্য জরুরী রোযা রেখে নেওয়া। এতে
তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষতি হবে তখন,
যখন সে কিছু খেতে হয়
মনে করে তখনই (ফজরের পর) কিছু খেয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে তাকে সারা দিন পানাহার ইত্যাদি
থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রমাযান পরে সেই দিন কাযা করতে হবে।
عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ مُحَمَّدًا، تَسَحَّرَ وَهُوَ يَرَى أَنَّ
عَلَيْهِ لَيْلًا، ثُمَّ اسْتَبَانَ لَهُ أَنَّهُ تَسَحَّرَ بَعْدَ مَا أَصْبَحَ،
فَقَالَ: «أَمَّا أَنَا الْيَوْمَ فَمُفْطِرٌ
আউন রাহ. থেকে বর্ণিত,মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাত্র বাকি আছে ভেবে সাহরী খেলেন। তারপর জানতে পারলেন,
তিনি সুবহে সাদিকের পর সাহরী করেছেন তখন তিনি বললেন, ‘আমি আজ রোযাদার নই।’ (অর্থাৎ আমাকে এ রোযার কাযা করতে হবে)।-মুসান্নাফে ইবনে
আবী শাইবা ৬/১৪৯, হাদীস নং-৯০৩৮।
عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: «إِذَا أَكَلَ بَعْدَ طُلُوعِ
الْفَجْرِ مَضَى عَلَى صِيَامِهِ وَقَضَى يَوْمًا مَكَانَهُ
হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি ফজর উদিত
হবার পর সেহরী খায়, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে গেছে। এর বদলে আরেক
দিন রোযা রাখতে হবে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯০৪১]
عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ، وَقُرِّبَ إِلَيْهِ شَرَابٌ فَشَرِبَ بَعْضُ الْقَوْمِ
وَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ غَرَبَتْ، ثُمَّ ارْتَقَى الْمُؤَذِّنُ
فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ لَلشَّمْسُ طَالِعَةٌ لَمْ
تَغْرُبْ، فَقَالَ عُمَرُ: «مَنَعَنَا اللَّهُ مِنْ شَرِّكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ
ثَلَاثَةً، يَا هَؤُلَاءِ مَنْ كَانَ أَفْطَرَ فَلْيَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ يَوْمٍ،
وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَفْطَرَ فَلْيُتِمَّ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ
আলী ইবনে হানযালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোযার মাসে ওমর রা.-এর নিকট ছিলেন। তার
নিকট পানীয় পেশ করা হল। উপস্থিতদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল।
এরপর মুয়াযযিন আওয়াজ দিল, হে আমীরুল মুমিনীন! সূর্য এখনো ডুবেনি।
তখন ওমর রা. বললেন, ‘যারা ইফতারি করে ফেলেছে তারা একটি রোযা কাযা
করবে। আর যারা ইফতারি করেনি তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।-মুসান্নাফে ইবনে
আবী শাইবা ৬/১৫০, হাদীস নং-৯০৪৫।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
সময় শেষ হবার পর খানা
খাবার কারণে উক্ত রোযাটি হয়নি। তাই রমজান শেষে উক্ত রোযার কাযা আদায় করতে হবে।