بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. বলেন,
تعلم العلوم الدنيوية أمرٌ مفيدٌ ونافعٌ، بشرط ألا يشغل عن علم الآخرة
وعمَّا ينفعه في الآخرة، فإن جمع بينهما فقد جمع خيرًا إلى خيرٍ، وإن صلحت نيته في
علوم الدنيا كانت عبادةً، وإذا تعلَّمها للدنيا فليس له ولا عليه، تعلم شيئًا
مباحًا، لا حرج عليه.
“পার্থিব জ্ঞান-বিজ্ঞান শেখা একটি উপকারী বিষয়। তবে শর্ত হল, তা যেন আখিরাতের জ্ঞান এবং আখিরাতে যা তার উপকার করবে তা থেকে বিচ্যুত না করে।
সে যদি উভয় প্রকার জ্ঞানের মাঝে সমন্বয় করে তাহলে ভালোর সাথে ভালোর সমন্বয় করলো। যদি
এই দুনিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার নিয়ত সঠিক হয় (অর্থাৎ ইসলাম ও মুসলিমদের
উপকার করার নিয়ত করে) তবে তা ইবাদতে পরিণত হবে আর যদি কেবল পার্থিব উদ্দেশ্যেই শেখে
তাহলে তা তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটাই নয়। সে একটা বৈধ জিনিস শিখল। এতে তার কোনও দোষ
নেই।”
বুঝা গেল, কেউ যদি পার্থিব বিষয়ে জ্ঞানার্জন করার মাধ্যমে
ইসলাম ও মুসলিমদের উপকার করার নিয়ত করে তাহলে তা ইবাদতে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে সে সওয়াব
লাভ করবে। কিন্তু এই নিয়ত না থাকলে নেকি বা গুনাহ কোনটাই নাই। তবে এখানে একটি শর্ত
হল, পার্থিব জ্ঞান বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে শরিয়া বিরোধী
কোন কাজে ব্যবহার করা জায়েজ নয়। অন্যথায় গুনাহগার হবে।
যেমন: কেউ যদি অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞানার্জন করে বাস্তব জীবনে সুদী কার্যক্রম
করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। কেউ যদি সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’
করে বা মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। কোন শিক্ষক
যদি ছাত্রদেরকে নাস্তিকতা ও শরিয়া বিরোধী শিক্ষা দেয় তাহলে সে নিজে গুনাহগার হওয়ার
পাশাপাশি এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থও তার জন্য হারাম বলে গণ্য হবে। (নাউযুবিল্লাহ)
মনে রাখা আবশ্যক যে, সর্বাবস্থায় প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য ইসলাম
সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরজ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
طَلَبُ العِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلَىْ كُلِّ مُسْلِمٍ
“ইলম (শরিয়া সংক্রান্ত জ্ঞান) অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।” (সহিহুল
জামে-আলবানি হা/৩৯১৪)
সুতরাং কেউ যদি কেউ দুনিয়াবি জ্ঞানার্জন করতে গিয়ে দীনের জ্ঞান অন্বেষণে অমনোযোগী
থাকে বা দীনকে উপেক্ষা করে চলে তাহলে সে ফরজ লঙ্ঘন করার কারণে গুনাহগার হবে এবং এই
দুনিয়ার জ্ঞান তার জন্য আখিরাতে ধ্বংসের কারণ হবে। কিন্তু সে যদি দ্বীন ও দুনিয়া উভয়
বিষয়ে জ্ঞানার্জন করে তাহলে সে উভয় দিক থেকে লাভবান হল। এটাই সবচেয়ে উত্তম-যেমনটি শাইখ
বিন বায রহ. এর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
১. যদি সে
উক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ইসলামের কোন ক্ষতি সাধন করার ইচ্ছা পোষণ করে করে তাহলে তা
তার জন্য সম্পূর্ন নাজায়েয এবং গোনাহ। কিন্তু
এটিকে কুফুর বা শিরক বলা যাবে না। তবে জেনে রাখা দরকার যে, ইসলাম নারীদের চাকুরী করতে
নীরুৎসহিত করে। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://ifatwa.info/31155/?show=31155#q31155
২. গায়রে মাহরাম যুবক পুরুষকে সালাম দেয়া যাবে না। সালাম দেয়া এবং জবাব দেয়া উভয়-ই
মাকরুহ। তবে যদি কেই সালাম দেয় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কিন্তু এটিকে কুফুর বলা
যাবে না। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://ifatwa.info/6207/
৩. আপনি
চাইলে ভিন্ন ভিন্ন দিন ধীরে ধীরে দুটি তিনটি করে প্রশ্ন করতে পারেন।