আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
edited by

১) কোন বেপর্দা মেয়ে দ্বীন ইসলামের খিদমত না করার নিয়তে মানে নিজে চাকরি করার উদ্দেশ্যে পড়াশুনা করলে সে কি বলতে পারবে যে "আল্লাহর রহমতে তার পড়া ভাল হচ্ছে"?? 
আর হারাম কাজে আল্লাহর রহমত চাওয়া কুফর জানা সত্তেও কেউ কি উক্ত কথাটির সাথে সম্মতি প্রকাশ করতে পারবে? সম্মতি প্রকাশ করলে কি কুফর হবে? এমন কেউ যদি তার পড়াশুনার অগ্রগতির জন্য দোয়া চায় তাহলে কেউ সম্মতি দিলে তার কি কুফর হবে?
২) পরপুরুষ কে সালাম দেওয়া মাকরুহ। কিন্তু কারো মনে যদি এমন ধারণা আসে যে সালাম দিলে আল্লাহর সাথে বেয়াদবি হবে কিনা, আর মনের মধ্যে এই ধারনা যদি নেয়" মনের মধ্যে এই ধারনা রেখে পরপুরুষ কে সালাম দিলে কুফর হয়ে যায়", তারপর কোন পরপুরুষ কে সালাম দিলে কি কুফর হবে?

 

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. বলেন,

تعلم العلوم الدنيوية أمرٌ مفيدٌ ونافعٌ، بشرط ألا يشغل عن علم الآخرة وعمَّا ينفعه في الآخرة، فإن جمع بينهما فقد جمع خيرًا إلى خيرٍ، وإن صلحت نيته في علوم الدنيا كانت عبادةً، وإذا تعلَّمها للدنيا فليس له ولا عليه، تعلم شيئًا مباحًا، لا حرج عليه.

“পার্থিব জ্ঞান-বিজ্ঞান শেখা একটি উপকারী বিষয়। তবে শর্ত হল, তা যেন আখিরাতের জ্ঞান এবং আখিরাতে যা তার উপকার করবে তা থেকে বিচ্যুত না করে। সে যদি উভয় প্রকার জ্ঞানের মাঝে সমন্বয় করে তাহলে ভালোর সাথে ভালোর সমন্বয় করলো। যদি এই দুনিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার নিয়ত সঠিক হয় (অর্থাৎ ইসলাম ও মুসলিমদের উপকার করার নিয়ত করে) তবে তা ইবাদতে পরিণত হবে আর যদি কেবল পার্থিব উদ্দেশ্যেই শেখে তাহলে তা তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটাই নয়। সে একটা বৈধ জিনিস শিখল। এতে তার কোনও দোষ নেই।”

বুঝা গেল, কেউ যদি পার্থিব বিষয়ে জ্ঞানার্জন করার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিমদের উপকার করার নিয়ত করে তাহলে তা ইবাদতে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে সে সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু এই নিয়ত না থাকলে নেকি বা গুনাহ কোনটাই নাই। তবে এখানে একটি শর্ত হল, পার্থিব জ্ঞান বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে শরিয়া বিরোধী কোন কাজে ব্যবহার করা জায়েজ নয়। অন্যথায় গুনাহগার হবে।

যেমন: কেউ যদি অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞানার্জন করে বাস্তব জীবনে সুদী কার্যক্রম করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। কেউ যদি সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ করে বা মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। কোন শিক্ষক যদি ছাত্রদেরকে নাস্তিকতা ও শরিয়া বিরোধী শিক্ষা দেয় তাহলে সে নিজে গুনাহগার হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থও তার জন্য হারাম বলে গণ্য হবে। (নাউযুবিল্লাহ)

মনে রাখা আবশ্যক যে, সর্বাবস্থায় প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরজ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

طَلَبُ العِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلَىْ كُلِّ مُسْلِمٍ

“ইলম (শরিয়া সংক্রান্ত জ্ঞান) অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।” (সহিহুল জামে-আলবানি হা/৩৯১৪)

সুতরাং কেউ যদি কেউ দুনিয়াবি জ্ঞানার্জন করতে গিয়ে দীনের জ্ঞান অন্বেষণে অমনোযোগী থাকে বা দীনকে উপেক্ষা করে চলে তাহলে সে ফরজ লঙ্ঘন করার কারণে গুনাহগার হবে এবং এই দুনিয়ার জ্ঞান তার জন্য আখিরাতে ধ্বংসের কারণ হবে। কিন্তু সে যদি দ্বীন ও দুনিয়া উভয় বিষয়ে জ্ঞানার্জন করে তাহলে সে উভয় দিক থেকে লাভবান হল। এটাই সবচেয়ে উত্তম-যেমনটি শাইখ বিন বায রহ. এর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!   

১. যদি সে উক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ইসলামের কোন ক্ষতি সাধন করার ইচ্ছা পোষণ করে করে তাহলে তা তার জন্য সম্পূর্ন  নাজায়েয এবং গোনাহ। কিন্তু এটিকে কুফুর বা শিরক বলা যাবে না। তবে জেনে রাখা দরকার যে, ইসলাম নারীদের চাকুরী করতে নীরুৎসহিত করে। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:

https://ifatwa.info/31155/?show=31155#q31155

২. গায়রে মাহরাম যুবক পুরুষকে সালাম দেয়া যাবে না। সালাম দেয়া এবং জবাব দেয়া উভয়-ই মাকরুহ। তবে যদি কেই সালাম দেয় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কিন্তু এটিকে কুফুর বলা যাবে না। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:

 https://ifatwa.info/6207/

৩. আপনি চাইলে ভিন্ন ভিন্ন দিন ধীরে ধীরে দুটি তিনটি করে প্রশ্ন করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (25 points)
১) এর উত্তরে ইসলামের ক্ষতি সাধন করা বলতে কেমন ক্ষতি বুঝানো হয়েছে? আর ক্ষতি করার ইচ্ছা পোষন করে পড়লে কুফর কেন হবে না?
by
মান্যত কোরবানী এক গরুতে শরীকদের সাথে করা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...