আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
আমি নটরডেম কলেজের প্রথম বর্ষের  একজন ছাত্র। গতকাল আমাদের কলেজে প্রবেশ করানোর সময় আমার চুল একটু বড়ো থাকার কারণে আমার আইডি কার্ড জমা নেওয়া হয়েছিল। যা আজকে আমাদের ছাত্র পরিচালকের রুম থেকে কালেক্ট করার কথা ছিল। এখানে ছাত্র পরিচালক লোকটা খিষ্টানদের পাদ্রী টাইপ কিছু একটা হবে সম্ভবত।কলেজের ড্রেসে ক্রুশ সহ খ্রিস্টানদের বিশ্বাস সংক্রান্ত কিছু চিহ্ন আছে সেটা আমি নষ্ট করে ফেলছিলাম ড্রেস বানানোর পরই। কিন্তু আজকে ওখানে যাওয়ার আগে জানতে পারি যে ওখানে এরকম লোগো নষ্ট করা ড্রেস দেখলে ওই লোক নাকি গার্জিয়ান ডাকতে পারে। এখন বিষয়টি হলো যে গার্জিয়ান ডাকা হলে আমার বাবা মা সম্ভবত অপমানিত অনুভব করতেন এবং আমাকে পরবর্তীতে কলেজের দেড় বছর বাধ্য করতেন ক্রুশ সংবলিত ড্রেস পড়তে। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য আমার একজন বন্ধুর কাছ থেকে আমি একটি ড্রেস সংগ্রহ করি যেটাতে লোগো নষ্ট করা হয়নি। এবং শুধুমাত্র ১০-১৫ মিনিটের জন্য (আনুমানিক সময়) আমি ড্রেসটি পড়ে ছিলাম ওই ছাত্র পরিচালক এর রুমে যাওয়ার সময়। এটা কি আমার শিরক হয়ে গিয়েছে? শিরক হয়ে থাকলে এখন আমার করণীয় কি? আমি কিভাবে তওবা করতে পারি? আর শিরক না হয়ে থাকলে এটা কিরকম গুনাহ হয়েছে এবং আমার তওবা করার জন্য করণীয় কি? অনুগ্রহ করে একটু বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার উপর ওয়াজিব ছিলো যে, আপনি এ জাতীয় কলেজ ভার্সিটি পরিত্যাগ করে এমন কোনো ভার্সিটি চয়ন করবেন, যেখানে এজাতীয় ক্রুশ পড়তে না হয়।যেহেতু আপনি ভর্তি হয়েই গিয়েছেন, এখন আপনার মাতাপিতাকে ডাকলে আপনার পরিবারে ঝামেলা হয়ে যেতে পারে, তাই আপনি ১০/১৫ মিনিটের জন্য ঐ জামা গায়ে দিতে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...