আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited by
১. একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন সূরা ফাতিহা এর কোন অংশ ডাবল পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব, আচ্ছা আমি যদি কোন অংশ সহিহ উচ্চারণ না করি সঠিক উচ্চরণ করতে আরেকবার পড়ি তবুও কি সিজদা সাহু ওয়াজিব হবে?

২. জুমার দিন কেউ নামাজরত অবস্থায় যদি খুতবা শুরু হয় তবে কি নামাজ শেষ করবে না নামাজ ভেঙে খুতবা শুনবে?

৩. রোযা অবস্থায় করোনা ভাক্সিন দেয়া যাবে?

৪. কেউ যদি কোন একটা কাজ গুনাহ জানে, তারপরও সেই কাজ করে সেটা কি মুনাফিকী হবে?

৫. একটা জায়গায় শুনলাম মেয়েরা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে যদি কোন আসক্তি না জন্মে ? বিভিন্ন ইসলামিক শো তে পুরুষ আলেমরা থাকে, তাদের দিকে মহিলারা তাকাতে পারবে? একটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, তবুও সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(২)
নামায ভেঙ্গে তখন খুতবাহ শুনবে।উক্ত নামাযকে পরবর্তীতে কা'যা করে নিবে।

(৩)
https://www.ifatwa.info/13998 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে, রোযা রেখে ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা যাবে। এতে রোযা নষ্ট হবে না।
ইনজেকশনের শরয়ী হুকুম বুঝতে হলে প্রথমে দু’টি বিষয় বুঝতে হবে। যথা-
১-ইনজেকশনের পদ্ধতিটি কি রোযায় কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না?
২-কোন উদ্দেশ্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে? মাকসাদের ভিন্নতার কারণে ইনজেকশনের হুকুমে কোন ভিন্নতা আসবে কি না?

ইনজেকশনের পদ্ধতি
বিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা একথাই প্রমাণিত যে, ইনজেকশন কয়েকভাবে দেয়া হয়। যেমন-
ক-গোস্তে ইনজেকশন দেয়া।
খ-চামড়া ও গোস্তের মাঝামাঝি ইনজেকশন দেয়া।
গ-সরাসরি পেটে।
ঘ-অধিকাংশ সময় রগের মাঝে দেয়া হয়।

এবার ভাবার বিষয় হল-এ চার ধরণের ইনজেকশনের হুকুম কি?
এর সহজ জবাব হল-ইনজেকশন চাই রগে দেয়া হোক, যেমন সাধারণত রোগীদের দেয়া হয়, বা চামড়া বা গোস্তে দেয়া হোক, বা পেটে দেয়া হোক যেমন কুকুর কামড়ালে পেটে ইনজেকশন দেয়া হয়, এ সকল সুরতে হুকুম হল এসব কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না

(৪)
জ্বী, এটা তখন মুনাফিকি হবে।

(৫)
ফিতনার ভয় না থাকলে থাকাতে পারবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/586


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 233 views
...