আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (69 points)
reshown by
১/ আমি এক ওসওয়াসা রোগী এই কারনে কোন কিছু সিওর হতে পারিনা এখন একটা কাজ করে একটু পরে ভুলে যাই আমি সিওর না যে রসুল সঃ কে গালি মুখ দিয়ে উচ্চারন হইছে কিনা তবে আমি প্রায় সিওর যে গালি মন থেকে আর মুখ থেকে রসুল সঃ নাম   ওসওয়াসা সহ্য করতে না পেরে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে  অনিচ্ছায়  ।  এখন কি আমি কাফের হয়ে গেছি?

২/অন্তরে  ইমান ভঙ্গরে কারন থাকেলে অনিচ্ছায় মুখে হাসি দিলে সে কাফের হয়ে যাবে?

৩/১ নাম্বার কারন মনে পরে যদি অনিচ্ছায় হাসি পায় তাহলে কি আমি কাফের হয়ে যাব?

৪/একজন মদের বারে কাজ করবে বলছে আমি তাকে বলছি যে ইনকাম ত হালাল হবেনা তখন আমার হাসি পাইছিল ?

৫/আমার বাবা জমির কাগজপত্র ভাল বুজে নায়েব একটু কম ভুজে এইজন্য  ভুমি অফিসের নায়েবের অধিনে কাজ করে সরকারি ভাবে না কিছু টাকা দেয় নায়েব যেমন কাজগুলো হল কাগজপত্র সাবমিশন করার জন্য রেডি করা  ঘুষ ও অন্যন্য কাজ করে তাহলে কি  ইনকাম হালাল হবে।আমরা যদি তার অধিনে খাবার খাই তাহলে কি আমাদের খাবার হারাম হবে।

৬।অন্তরে  ইমান ভঙ্গরে কারন থাকেলে ইচ্ছাকৃত মুখে হাসি দিলে সে কাফের হয়ে যাবে?

৭/ এক মুফতি সাহেব কে ইমান বিষয়ে  প্রশ্ন করার আগে বলছিলাম যে ইমান বিষয়ে প্রশ্ন করমু তারপর যেই বলছি আমি ওসওয়াসা রোগী তিনি বললেন ওসওয়াসা রোগীর কোন কিছু দরা হবে না পাগলের প্রলাপ আর কি আপনি মানষিক ডাক্তার দেখান বড় কোনো সমস্যা হওয়ার আগে ।তিনি কওমি অঙ্গনের ভালো পরিচিত মুফতি?

৮/ওসওয়াসার কারনে আল্লহ পাক ও রসুল সঃ অন্তরে গালি মুখে আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ নাম আর যদি মুখে গালি অন্তরে  আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ নাম থাকে ওসওয়াসার কারনে ইচ্ছাকৃত না তাহলে কি সে কাফের ?

৯/ও মুরশিদও একটা গজল আছে সেখানে মুরশিদ কাকে বুঝানো হয়েছে এ গজলে কোনো শিরক আছে কিনা না জেনে অনেকবার সুনছি https://youtu.be/7JeIKbbW_t8

১০/ ওসওয়াসা রসুল সঃ এর নামে খারাপ কথা  অন্তরে ছিল ঐ কথাটা মুখ দিয়ে উচ্চারন হয়নাই কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে শুধু কয়কেবার জিহ্বা নারাইছি সন্দেহ হয় অবগ্গার সহিত তবে সিওর না  তাহলে কি ইমান চলে যাবে

১১/ কারো সামনে কফ থুথু ফেললে এবং কাউকে দেখায়ে দূরে ফেলালে  তার কাছে কি মাফ চাইতে হবে।

১২/কোনো হাসপাতালের টয়লেটে রোগী না হয়ে  না বলে প্রসাব করলে কি তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে

১৩/তরমুজ আর খেজুর একসাথে খাওয়া কি সুন্নাহ

১৪/শরিয়তের কোনো ব্যাপারে ঠাট্টা না করে হেসে হেসে কথা বলা যাবে কি
১৫/ গিবত শুনলে কি সেই বান্দার নিকট মাফ চাইতে হবে

১৬/ওসওয়াসার কারনে আমার মনে হঠাৎ হঠাৎ আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ এবং শরিয়ত নিয়ে যিদ উঠে যায় সেই  সময় অন্তরে আসা যিদ নিয়েই জোরে দরজা বন্ধ করলে কোনো ডিব্বার মুখ জোরে  খুললে কি কুফরি কাজ হবে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি এখনই তাওবাহ করুন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক আমীন।

(২)
আপনি এখনই তাওবাহ করুন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক আমীন।

(৩)
আপনি এখনই তাওবাহ করুন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক আমীন।

(৪)
এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
যদি উনি ঘুষ গ্রহণ করেন, এবং আপনি সাবালক ছেলে সন্তান হন, তাহলে আপনার জন্য উনার মাল থেকে কিছুই গ্রহণ করা জায়েয হবে না। হ্যা, যদি উনাকে বখশিশ কেউ দেয়,তাহলে তা হালাল থাকবে।

যদি উনি ঘুষ গ্রহণ করেন, তাহলে স্ত্রী ও নাবালক সন্তানের উনার মাল থেকে গ্রহণ করা নাজায়েয হবে না।

(৬)
আপনি এখনই তাওবাহ করুন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক আমীন।

(৭)
উনার কথাই যথার্থ। 

(৮)
আপনি যেহেতু মানষিক রুগে আক্রান্ত।তাই আপনার কোনো কিছুই স্বাভাবিক ভাবে দেখা হবে না। সুতরাং উপরোক্ত কথামালা দ্বারা শিরিক হচ্ছে না।

(৯)
মুরশিদ গজলে কোনো শিরক নেই।


(১০)
যেহেতু মুখ দিয়ে কোনো কিছু উচ্ছারণ হয়নি, তাই তালাক হবে না।

(১১)
না, মাফ চাইতে হবে না।

(১২)
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জানতে হবে যে, তাদের হাসপাতাল কি সবাইকে ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে।যদি না দেয়, তাহলে  সবার জন্য ব্যবহার জায়েয হবে না।
সুতরাং উক্ত হাসপাতালে প্রস্রাব পায়খানা করে থাকলে,কর্তৃপক্ষের নিকট  ক্ষমা চাইতে হবে।

(১৩)
এ সম্পর্কে আমার জানা নাই।

(১৪)
জ্বী, বলা যাবে।

(১৫)
ইচ্ছাকৃত শুনলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর অনিচ্ছাকৃত হলে ক্ষমা চাইতে হবে না।

(১৬)
প্রশ্নটি অযৌক্তিক এবং অস্পষ্ট।দয়াকরে স্পষ্টকরে ইডিট করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...