আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
১। আসসালামু আলাইকুম হুজুর,, কোন স্ত্রী যদি তা★** বিষয়ে জানার পর তার স্বামীকে বলে,, তুমি জানো তা**** শুধু স্ত্রীকে বললেই হয়না কখনো যদি সামী লিখে,,, মেসেজে লিখে সেন্ড না ও করে তাও নাকি পতত হয়ে যায়। তুমি আমার জন্য কখনো এই শব্দ টাইপ করোনি তো?? বা বলোনি ত?? আমাকে কথা দাও কখনো এইসব লিখবা না,,,,,এইসব কথা বলে আরও অনেক কিছু বলে স্বামীর কাছে। তারপর স্বামী উত্তর দেয়,, "আর কখনো লিখবো না বা বলবো ও না"" স্বামী আগে কখনোই লিখেনি বা বলেনি স্ত্রীর জন্য এইসব শব্দ।  সে হয়তো বুঝাতে পারেনি কথাটা৷ তাই এইভাবে বলে ফেলেছে যে আর কখনো এইসব বলবো না বা লিখবো না,,,এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
কয়েকদিন পর স্ত্রী আগের মেসেজ দেখে ভয় পায় তার এই উত্তর নিয়ে তারপর সামীকে আবার ও জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করে৷ স্ত্রী বলে ওইদিন তোমার উত্তর ভুল হয়েছিল তো,, সামী বলে আরে তাহলে এখন ঠিক উত্তর দিচ্ছি আমি কখনো লিখি নাই বা প্রয়োজন মনে করি নাই লিখার৷ হয়েছে এইবার?

২। একজন মহিলা হুজুরের কাছে প্রশ্ন করতে গিয়ে লিখেছিল এরকম," """এইটুকু বলে কোন মহিলা কি তার নিজের উপর তা****,, (স্টার দেওয়া জায়গায় তালাকের লিখেছিল)  তারপর সে ওয়াসওয়াসায় ভোগে "তালাকের" লিখতে গিয়ে সে তালা* শব্দটা লিখার সময় মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে কিনা। কারন সেখানে লিখেছিল মহিলা তার নিজের উপর,,, কিন্তু এইখানে নিজের উপর কথাটা দেখে সে ভয় পেয়ে যায়,,এইভাবে কথাটা লিখার কারনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হলো কিনা?

৩। ২ নাম্বার প্রশ্নে যে কথাটা বলা হয়েছে সেটা মহিলা মনে মনে ভাবতে   ভাবতে সে মুখ নাড়িয়ে বলে যে """ নিজের উপর তা*** এইটা বলার সময় তো ওয়াসওয়াসা আসে নি / কিছু মনে হয়নি,"",,,, এই কথাটা সে শব্দ করে বলেনি বা তার উদ্দেশ্য ছিল না নিজেকে তা** দেওয়ার। সে নিজেকে শান্ত করার জন্য কথাটা বলছিল মনে মনে,,, কিন্তু তার মুখ নড়েছে,,, তার ১০০%  মনে আছে তার কানে কোন শব্দ আসেনি। আর ৯০% মনে আছে সে কোন শব্দ করে কথাটা বলেনি। তারপরেও সে ওয়াসওয়াসায় আছে কথাটা সে শব্দ করে বলে ফেলেছিল কিনা???

৪। সে যদি মুখে শব্দ করে বলতো,  নিজের উপর তা***  এইটা বলার সময় তো কিছু মনে হয়নি/ ওয়াসওয়াসা আসেনি,,,, এই ভাবে নিজেকে শান্ত করার জন্য বললে কি সমস্যা হতো??  বলার সময় তার নিজেকে তা** দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না।

৫। কেউ যদি লিখার সময় লিখে " """"" মহিলা তার নিজের উপর তা***  শর্ত নিতে  পারবে কিনা"" (স্টার দেওয়া জায়গায় তালাকের লিখেছিল) এইখানে  সে স্টার দেওয়া জায়গায় তালাকের লিখেছিল লিখতে গিয়ে লিখে ফেলে "লিখেছি"" এতে কি সমস্যা হবে?

৬।কোন মহিলাকে যদি তার স্বামী বলে এইসব কথা আমার সামনে আর বলবা না। বললে তা***।
এইখানে স্বামী এইসব কথা বলতে যেসব কথা বুঝিয়েছে স্ত্রী কি শুধু ওইসব কথাই বলতে পারবে না??

নাকি স্ত্রী কখনো "" এইসব কথা"" এই শব্দও বলতে পারবে না??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রত্যেকটা পয়েন্ট পড়েছি।

আপনি এ বিষয়ে আর নতুন করে প্রশ্ন না করে, বরং কমেন্ট করুন।প্রয়োজনে আমার সাথে মুবাইলে কথা বলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (55 points)
edited by
১।হুজুর দয়া করে উত্তর টা দিবেন যে উল্লিখিত বিষয় গুলোর কারণে কোন সমস্যা হবে কিনা। বা ওয়াসওয়াসার কারনে কোন শব্দ মুখে চলে আসলে  কিন্তু শব্দ কানে আসলে সেটার কারনে তা** হবে কিনা? সে ব্যক্তি যদি সন্দেহে পরে যায় শব্দ হয়েছিল নাকি হয়নি। তাহলে হুকুম কি?

২।উল্লিখিত বর্ননা গুলোর কোনোটির কারণে কি তা** পতিত হবে?
by (597,330 points)
না, তালাক হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...