বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হেবা পূর্ণ হওয়ার জন্য কবজা তথা হস্তগত হওয়া শর্ত।
কবজা তথা হস্তগত হলেই হেবা পূর্ণ হয়ে যায়,এখন বস্তুটি যাকে দেয়া হলো,সেই এর মালিক হয়ে যায়,আগের মালিকের মালিকানা আর অবশিষ্ট থাকেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عثمان وابن عمر وابن عباس رضي اللّٰہ عنہم أنہم قالوا: لا تجوز صدقۃ حتی تقبض۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۴ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত উসমান রাঃ ,ইবনে ওমর রাঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন ছদকাহ জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।
عن معاذ بن جبل وشریح رضي اللّٰہ عنہما أنہما کانا لا یجیزانہا حتی تقبض‘‘ اہـ۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۵ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এবং হযরত শুরাইহ রাঃ হেবার পূর্ণ হওয়ার ইজাযত দেননা কবজা করার আগ পর্যন্ত।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ যদি আপনার দাদিকে হাদিয়া দেয়,সেটি যদি আপনার দাদির আয়ত্বে চলে আসে,হস্তগত হয়,তাহলে এখন এটির পূর্ণ মালিক হবে আপনার দাদি।
হাদিয়া দাতা আর এটির মালিক থাকবেনা।
সুতরাং এই হাদিয়া আপনার দাদি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতে পারবে,যাকে ইচ্ছা দিয়ে দিতেও পারবে।
এখানে হাদিয়া দাতা বা অন্য কাহারো কথা বলার সুযোগ নেই।
কেননা এখন এটির পূর্ণ মালিক হবে আপনার দাদি।
হাদিয়া দাতা নয়।
★সুতরাং আপনার দাদি সেই হাদিয়া ইচ্ছামতো কাউকে দিলে এটি ভুল হবেনা।
★কাহারো থেকে অনুমতি নিতে হবেনা।
★আপনাদের কাছে কেনো দিচ্ছে?
এমনিতেই আমানত হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য?
নাকি এটি তিনি আপনাদের ব্যবহারের জন্য দিয়ে দিচ্ছে?
যদি আমানত হিসেবে রাখে,তাহলে তাহা ব্যবহার করার জন্য দাদীর অনুমতি লাগবে।
আর যদি একেবারে দিয়েই দেয়,তাহলে তাহা ব্যবহারের জন্য কাহারোই অনুমতি লাগবেনা।