জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হায়েজের সর্বনিম্ন সময় সীমা হলো ৩ তিন ৩ রাত।
আর হায়েজের সর্বোচ্চ সময় সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।
এবং উভয় হায়েজের মাঝে নুন্যতম ১৫ দিন পবিত্রতা থাকবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের যে মাঝে মাঝে ব্লিডিং আসে,এটি ৩ তিন ৩ রাতের কম হলে ইস্তেহাজা ধরে নামাজ রোযা চালিয়ে যাবে।
এটি যদি ৩ তিন ৩ রাত বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে হায়েজ বলে গন্য করবে।
নামাজ রোযা বন্ধ রাখবে।
যেদিন ব্লিডিং আসা বন্ধ হবে,সেদিন থেকে নামাজ রোযা আদায় করবে।
আর যদি এভাবে ব্লিডিং চলতেই থাকে,তাহলে ১০ দিন পর্যন্ত সময়কে হায়েজ ধরবে, নামাজ রোযা বন্ধ রাখবে। ১১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরে নামাজ রোযা শুরু করবে।
এভাবে আবারো হায়েজ আসলে মাঝের ১৫ দিনকে পবিত্রতার দিন হিসেবে গন্য করে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
এরপর ১৬ তম দিন থেকে আবারো উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী চলবে।