আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
আসসালমুআলাইকুম ।

1.আমার বাসার আশেপাশে বেশ কয়েকটি মসজিদ রয়েছে।এখন একেক মসজিদে একেক সময়ে আজান দেয়।এখন যদি যে কোনো একটা মসজিদে আজান দেয় তাহলে আমি যেকোনো একটা মসজিদে যেয়ে সুন্নত নামাজ আদায় করতে পারবো?(আমি যেই মসজিদে নামাজ পড়ব সেই মসজিদে তখনও আজান দেয় নাই?) নাকি যে মসজিদে যখন আজান দিবে তারপর আজান এর শেষে নামাজ আদায় করব?

2।আমি শুনেছি মসজিদে দুই হাতের পিছনে রেখে হাতে ভর দিয়ে বসে থাকা যাবে না। কতটুকু সত্যি?

3।ফরজ বা সুন্নত নামাজ পড়া কালীন আমি যদি হাতে তাসবিহ গোনার জন্য কাউন্টার মেশিন আছে টা ডান হাতের প্রথম আঙ্গুলে এমনিই লাগিয়ে রাখি  তাহলে কি নামাজে কোনো সমস্যা হবে?

4।মুহাম্মদ (s) এর উপর দরুদ পড়া মানে কি? আমি নবীজীর দিনলিপি বইটা পড়তেছিলাম।লেখক বলেছেন এই বই পড়ে আর যাই হোক দরুদ পড়া হবেই।নবীজী কে নিয়ে কিছু পড়লেই কি দরুদ? বা কিছু প্রশংসা মূলক কিছু পড়লেই দরুদ?
5।রোজা রেখে মোছ কাটা যাবে কি? নাকি ইফতারির পর কাটা লাগবে? নাকি এই রমজানেই মোছ কাটা অনুত্তম? কোনটা উত্তম বা অনুত্তম বা জায়েজ নাজায়েজ টা বলবেন।

6।আমি যদি মনে করি তারাবির নামাজ 20 রাকাতই।তাইলে কি বিদআত হবে? বলা আছে যে ব্যাক্তি রোজা রাখলে আর রাতে তারাবি পড়লো তার সকল গুনাহ মাফ। এখন  আমি যদি রোজা রাখলাম আর তারাবি যেদিন মন চাইলো 20 রাকাত, যেদিন মনে চাইলো 10 রাকাত আবার যেদিন মনে চাইলো 2 রাকাত পড়লাম।তখন কি আমার ওই হাদিস এর উপর আমল হলো,? নাকি ঐ ফলাফল পাওয়ার জন্য 20 রাকাত পড়া লাগবে?


7।আমার এক ছোট ভাই হানাফী  মাযহাব ফলো করে না ।ওর কাছে মাযহাব অপ্রয়োজনীয়।(আমি ইনশা আল্লাহ ওর ভুল ভাঙায় দিবো।কিছুদিন পর অবসর সময় পাবো তখন ইনশা আল্লাহ ভুল ভাঙায় দিবো) এখন আমার প্রশ্ন হলো আমার ওই ভাইয়া নামাজ শেষে সম্মিলিত মোনাজাত পছন্দ করে না।এখন আমাকে কি একটু বলবেন কোনো হাদীসে নামাজ শেষে সম্মিলিত মোনাজাত আছে কিনা,,,?( সম্মিলিত মোনাজাত আছে টা জানি হারুন (a) সম্মিলিত মোনাজাত করেছিলেন। )তবে নামাজ শেষে সম্মিলিত মোনাজাত  এই বেপার ত আছে কিনা?) আমি শুনেছিলাম তিরমিযী তে এই রকম একটা হাদিস আছে নামাজ এর পর সম্মিলিত মোনাজাত এর
8।আমার খুব ঠাণ্ডা সর্দি লাগে।এমন সর্দি লাগে যে নাকের পানি বের হতেই থাকে হতেই থাকে।নামাজ পড়ার সময় রুকুতে গেলে পানি পড়ে।এখন গতকাল হটাত করে দেখি নাকের পানি মুখের ভিতর ঢুকে গেছে।এখন এই পানি খেয়ে ফেললে কি নামাজ ভেঙে যাবে? এমতাবস্থায় করণীয় কি ছিল,,?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
যেহেতু নামাজের ওয়াক্ত চলে এসেছে,তাই এখন যেকোনো মসজিদে বা বাসায় আপনি সুন্নাত আদায় করতে পারবেন।
এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। 


(০২)
এটি ভিত্তিহীন কথা।

(০৩)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে মেশিন টিপা যাবেনা।

(০৪)
 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَوسِ بنِ أَوسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَومَ الجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ». قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَكَيفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ ؟! قَالَ: يَقُولُ بَلِيتَ . قَالَ: «إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ» . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। সুতরাং ঐ দিন তোমরা আমার উপর অধিকমাত্রায় দরূদ পড়। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।” লোকেরা বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো (মারা যাওয়ার পর) পচে-গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের দরূদ কিভাবে আপনার কাছে পেশ করা হবে?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ পয়গম্বরদের দেহসমূহকে খেয়ে ফেলা মাটির উপর হারাম করে দিয়েছেন।” (বিধায় তাঁদের শরীর আবহমান কাল ধরে অক্ষত থাকবে।) (আবু দাউদ, বিশুদ্ধ সনদ) 

 আবূ দাউদ ১০৪৭, ১৫৩১, নাসায়ী ১৩৭৪, ইবনু মাজাহ ১৬৩৬, আহমাদ ১৫৭২৯, দারেমী ১৫৭২

وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيداً، وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ» . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না (যেমন কবর পূজারীরা উরস ইত্যাদির মেলা লাগিয়ে করে থাকে)। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পেশ কর। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশ-কৃত দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।” (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে) 
আবূ দাউদ ২০৪২, আহমাদ ৭৭৬২, ৮২৩৮, ৮৫৮৬, ৮৬৯৮, ৮৮০৯

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমরা হাদীসে বর্নিত দরুদ ও সালাম পাঠ করবো।
এটিই রাসুল সাঃ ও  ছাহাবায়ে কেরামগন রাঃ দের শিক্ষা।

তবে আপনি যেটি উল্লেখ করেছেন,এটিকেও কিছু ইসলামী স্কলাগন দরুদের অন্তর্ভুক্ত করেন।   

(০৫)
এতে কোনো সমস্যা নেই।
রোযা রেখে কাটা যাবে।

(০৬)
২০ রাকাতই আদায় করতে হবে।
তবে মাঝে মাঝে যদি ওযর বশত কিছু রাকাত কম পড়েন,তাতে সমস্যা নেই।
উক্ত ফজিলত পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

তবে একেবারেই কম পড়লে উক্ত ফজিলতের আশা করা যায়না।   

(০৭)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

(০৮)
হ্যাঁ নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
এমতাবস্থায় রুমাল দিয়ে সেটি মুছে ফেলা উচিত ছিলো।
নতুবা হাতে বা যেকোনো ভাবে থুথু ফেলা দরকার ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 196 views
0 votes
1 answer 116 views
...