ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
যেহেতু নামাজের ওয়াক্ত চলে এসেছে,তাই এখন যেকোনো মসজিদে বা বাসায় আপনি সুন্নাত আদায় করতে পারবেন।
এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
(০২)
এটি ভিত্তিহীন কথা।
(০৩)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে মেশিন টিপা যাবেনা।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَوسِ بنِ أَوسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَومَ الجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ». قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَكَيفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ ؟! قَالَ: يَقُولُ بَلِيتَ . قَالَ: «إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ» . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। সুতরাং ঐ দিন তোমরা আমার উপর অধিকমাত্রায় দরূদ পড়। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।” লোকেরা বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো (মারা যাওয়ার পর) পচে-গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের দরূদ কিভাবে আপনার কাছে পেশ করা হবে?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ পয়গম্বরদের দেহসমূহকে খেয়ে ফেলা মাটির উপর হারাম করে দিয়েছেন।” (বিধায় তাঁদের শরীর আবহমান কাল ধরে অক্ষত থাকবে।) (আবু দাউদ, বিশুদ্ধ সনদ)
আবূ দাউদ ১০৪৭, ১৫৩১, নাসায়ী ১৩৭৪, ইবনু মাজাহ ১৬৩৬, আহমাদ ১৫৭২৯, দারেমী ১৫৭২
وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيداً، وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ» . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না (যেমন কবর পূজারীরা উরস ইত্যাদির মেলা লাগিয়ে করে থাকে)। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পেশ কর। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশ-কৃত দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।” (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে)
আবূ দাউদ ২০৪২, আহমাদ ৭৭৬২, ৮২৩৮, ৮৫৮৬, ৮৬৯৮, ৮৮০৯
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমরা হাদীসে বর্নিত দরুদ ও সালাম পাঠ করবো।
এটিই রাসুল সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরামগন রাঃ দের শিক্ষা।
তবে আপনি যেটি উল্লেখ করেছেন,এটিকেও কিছু ইসলামী স্কলাগন দরুদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
(০৫)
এতে কোনো সমস্যা নেই।
রোযা রেখে কাটা যাবে।
(০৬)
২০ রাকাতই আদায় করতে হবে।
তবে মাঝে মাঝে যদি ওযর বশত কিছু রাকাত কম পড়েন,তাতে সমস্যা নেই।
উক্ত ফজিলত পাবেন,ইনশাআল্লাহ।
তবে একেবারেই কম পড়লে উক্ত ফজিলতের আশা করা যায়না।
(০৭)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৮)
হ্যাঁ নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
এমতাবস্থায় রুমাল দিয়ে সেটি মুছে ফেলা উচিত ছিলো।
নতুবা হাতে বা যেকোনো ভাবে থুথু ফেলা দরকার ছিলো।