ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/38791/?show=38791#q38791 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ
হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য
সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল
মুলক। হাসান, তা'লীকুর
রাগীব ২/২২৩, মিশকাত
২১৫৩, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা রহঃ বলেন) হাদীসটি
হাসান।
حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ .
হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম
তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি
না পড়ে ঘুমাতেন না। সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর
রওয ২২৭, মিশকাত
তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. মাগরিবের পর থেকে নিয়ে রাতের
যেকোনো সময় সুরা মুলক পড়লে এই ফজিলত পাওয়া যাবে। তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ যেহেতু
ঘুমানোর আগে পড়তেন,আর তিনি ঈশার নামাজ পর
ঘুমাতেন,তাই ঈশার পর পড়াই উত্তম
সময়।
২. রাতে ঘুমানো ও বিশ্রাম নেওয়া এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ
আমল। কারণ, আল্লাহ তায়ালা রাতকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণ ও ঘুমানোর জন্য। আল্লাহ তায়ালা
বলেন-
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا. وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا. وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি
দূরকারী, রাত্রিকে করেছি
আবরণ। দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়। সূরা নাবা
তাই অন্য কোনো সমস্যা বা কাজ
না থাকলে রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। ওযু করে শয়ন করবেন। এরপরও যদি ঘুম না আসে ভিন্ন
কথা। আশা করি আপনি সওয়াব পেয়ে যাবেন।