বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
black
magic বা জাদু যদি কুফরী কালাম দ্বারা করা হয়, তাহলে এটাই তার ঈমান-আমল বরবাদের যথেষ্ট হয়ে যাবে।
কুফরী কালাম দিয়ে জাদু করা হারাম
এবং তা ঈমান বিধ্বংসী।
যাকে কোরআনের পরিভাষায় কুফর বলা
হয়। এবং উক্ত জাদুকর কাফির হয়ে যাবেন।
এত্থেকে বেচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের
অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তবে প্রয়োজনে বৈধ কাজে বৈধ আ'মলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার কাছে বিভিন প্রকার দু'আ দুরুদ করার অনুমতি
রয়েছে।
জাদুর আছর বুঝার বিভিন্ন পদ্ধতি
রয়েছে।
সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য
মাধ্যম হলো,
জীবনের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত
ঘটলে অতি তারাতারি কোনো বিজ্ঞ মুদাব্বিরের
শরণাপন্ন হওয়া।
*জাদুর ক্রিয়া/প্রভাব নষ্ট করার জন্য সুরা নাস এবং সুরা ফালাক
বেশী বেশী করে পড়তে হবে।
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা
করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ :
( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ :
ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ )
. . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'
এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো
ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
এরপর পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির
মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা
হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু
রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল
প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩) দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময়
এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা
নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত
দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
(এলাজে কুরআনী-০৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, সেটা রমজান মাসেও কার্যকর থাকতে পারে।
২. হ্যাঁ, হতেও পারে।
তবে সব সময় এই বিশ্বাস রাখতে হবে
যে, তার থেকে হেফাজতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।
তাই তাঁর কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা এবং উপরে বর্ণিত আমলগুলো করতে থাকা।