আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার দুইটি বিষয় জানার আছে।

1. বড় সূরা নামাজে কিভাবে পড়তে হবে?যেমন আমি যদি সূরা মূলক পড়ার চেষ্টা করি তবে ১৫ আয়াত করে দুই রাকাত মিলায় পড়তে পারবো?বা অন্য একটা বড় সূরা কিছুটা জানলে ওইটা দিয়ে কি নামাজ পড়তে পারবো??

২. ফিকহে হানাফী মতে বিতর নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে শুধু তাশাহুদ পড়ে দাড়ায় সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সুরা মিলায় পড়ে তাকবীর দিয়ে হাত বেধে দোয়া কুনুত পড়তে হয়।এমন কি?এটা কি মাগরিবের অনুরূপ হয়ে যাবে?আর দোয়া কুনুত পড়ার সময় হাত বেধে পড়বো নাকি মোনাজাতের মতো করে দাড়ায় পড়বো?যেহেতু এটা দোয়া।

আমি আসলে এমন শুনেছিলাম।সালাফী দের মতে কি এমন?আমি আসলে দুইটাই জানতে চাচ্ছি ভিন্নতা কি আছে।

জাজাকুমূল্লাহু খায়রান

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

عن ابن عباس رضي الله عنهما قال : بت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فقام من الليل فصلى ركعتين، ثم قام فأوتر فقرأء بفاتحة الكتاب وسبح اسم ربك الأعلى ثم ركع وسجد ثم قام فقرأ يفاتحة الكتاب وقل يا أيها الكافرون ثم ركع وسجد وقام فقرأ بفاتحة الكتاب و قل هو الله أحد ثم قنت ودعا قبل الركوع.

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি একরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে ছিলাম। তিনি  শয্যাত্যাগ করলেন এবং দুই রাকাত নামায পড়লেন। এরপর উঠে বিতর পড়লেন। প্রথম রাকাতে ফাতিহার পর সূরা আলা পাঠ করলেন। এরপর রুকু ও সিজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও কাফিরূন পাঠ করলেন এবং রুকু-সিজদা করলেন। তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা ও ইখলাস পাঠ করলেন। এরপর রুকুর আগে কুনূত পড়লেন।’ (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২০১; হিলয়া, আবু নুআইম-নসবুর রায়াহ ২/১২৪)

 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।

যদি কেহ ভুলক্রমে বিতর নামাজে দোয়ায়ে কুনুত না পড়ে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/৩৬০)

 

এটি তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সাথে সূরা মিলিয়ে তাকবীর বলে হাত বেঁধে পড়তে হয়।

কেহ যদি রুকুর আগে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে ভুলে যায়, রুকুতে গিয়ে স্মরণ আসে বা রুকু থেকে উঠার পর স্মরণ আসে,তাহলে সে আর দোয়ায়ে কুনুত পড়বেনা। তার উপর সেজদায়ে সাহু  ওয়াজিব হবে।

সে যদি রুকু থেকে উঠে দোয়ায়ে কুনুত পড়েও,তার পরেও তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৪/১২৬) 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সূরা মূলকের ১৫ আয়াত করে দুই রাকাতে মিলিয়ে পড়তে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তেমনীভাবে বড় সূরার কিছুটা জানা থাকলে সেটা পড়ে অন্য সূরা পরের রাকাতে পড়তে পারবেন।  তবে কুরআনুল কারীমের সূরার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখবেন। অর্থাৎ কুরআনে যেই সূরা আগে আছে তা আগে পড়বেন।

 

২. হ্যাঁ, ফিকহে হানাফী মতে বিতর নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে শুধু তাশাহুদ পড়ে দাড়িয়ে সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সুরা মিলিয়ে পড়ে তাকবীর দিয়ে হাত বেধে দোয়া কুনুত পড়তে হয়। আর দোয়া কুনুত পড়ার সময় হাত বেধে পড়বেন। বিতির নামাজ সংক্রান্ত দলিল বিস্তারিত জানুনঃ  https://ifatwa.info/4372/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
2 answers 2,591 views
0 votes
1 answer 176 views
...