ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عن ابن عباس
رضي الله عنهما
قال : بت عند
النبي صلى الله
عليه وسلم، فقام
من الليل فصلى
ركعتين، ثم قام
فأوتر فقرأء بفاتحة
الكتاب وسبح اسم
ربك الأعلى ثم ركع وسجد
ثم قام فقرأ
يفاتحة الكتاب وقل
يا أيها الكافرون
ثم ركع وسجد
وقام فقرأ بفاتحة
الكتاب و قل هو الله
أحد ثم قنت
ودعا قبل الركوع.
আবদুল্লাহ ইবনে
আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি একরাতে নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে ছিলাম। তিনি শয্যাত্যাগ করলেন এবং দুই রাকাত নামায পড়লেন। এরপর
উঠে বিতর পড়লেন। প্রথম রাকাতে ফাতিহার পর সূরা আ’লা পাঠ করলেন। এরপর রুকু ও সিজদা করলেন। দ্বিতীয়
রাকাতে ফাতিহা ও কাফিরূন পাঠ করলেন এবং রুকু-সিজদা করলেন। তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা ও ইখলাস
পাঠ করলেন। এরপর রুকুর আগে কুনূত পড়লেন।’ (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২০১;
হিলয়া, আবু নুআইম-নসবুর রায়াহ ২/১২৪)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।
যদি কেহ ভুলক্রমে
বিতর নামাজে দোয়ায়ে কুনুত না পড়ে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/৩৬০)
এটি তৃতীয় রাকাতে
সূরা ফাতিহা ও সাথে সূরা মিলিয়ে তাকবীর বলে হাত বেঁধে পড়তে হয়।
কেহ যদি রুকুর আগে
দোয়ায়ে কুনুত পড়তে ভুলে যায়, রুকুতে গিয়ে স্মরণ আসে বা রুকু থেকে উঠার পর স্মরণ আসে,তাহলে সে আর দোয়ায়ে কুনুত পড়বেনা। তার উপর সেজদায়ে
সাহু ওয়াজিব হবে।
সে যদি রুকু থেকে
উঠে দোয়ায়ে কুনুত পড়েও,তার পরেও তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়ায়ে
দারুল উলুম দেওবন্দ ৪/১২৬)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সূরা মূলকের ১৫ আয়াত করে
দুই রাকাতে মিলিয়ে পড়তে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তেমনীভাবে বড় সূরার কিছুটা জানা
থাকলে সেটা পড়ে অন্য সূরা পরের রাকাতে পড়তে পারবেন। তবে কুরআনুল কারীমের সূরার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখবেন।
অর্থাৎ কুরআনে যেই সূরা আগে আছে তা আগে পড়বেন।
২. হ্যাঁ,
ফিকহে হানাফী মতে বিতর নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে
শুধু তাশাহুদ পড়ে দাড়িয়ে সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সুরা মিলিয়ে পড়ে তাকবীর দিয়ে
হাত বেধে দোয়া কুনুত পড়তে হয়। আর দোয়া কুনুত পড়ার সময় হাত বেধে পড়বেন। বিতির
নামাজ সংক্রান্ত দলিল বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/4372/