আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। আমার কিছু বিষয়ে জানার ছিল।বিষয় গুলো আমার না। তবু জানার জন্য।ওয়াাওয়াসায় আছে এ বিষয়গুলো নিয়ে।তাই জানার জন্য
১।ধরেন এমন কিছু লোক তারা কেনায়া আর শর্ত যুক্ত করে যে তালাক হয় সেটা জানত না।জানার পর ওরা যদি বুঝতে পারে ওদের মধ্যে এমনটা হয়েছে মানে ওদের তালাক হয়েছে।কিন্তুু আগে কোন তালাক হয়েছে সেটা জানে না মানে কেনায়া নাকি শর্ত যুক্ত তালাক আগে হয়েছে সেটা জানে না।তহ কেনায়া তালাক হলে আবার বিয়ে করা যায় আর বায়েন তালাকের পর আর কোন তালাক দিলেও হয় না বিয়ে যতদিন না করে।তহ ওরা জানে না আগে কোনটা হয়েছে।তহ ওরা কি একটা ধরবে তালাক নাকি ২ টা? আর ওরা কি শুধু কেনায়া ওটাকে ধরে বিয়ে করবে? আর স্বামী কি আর ২ তালাকের মালিক থাকবে?
২।আবার ধরেন কেউ জানে না তাদের কেনায়া তালাক হয়েছে কিনা।সসন্দেহে পড়ে যায়।ওয়াাওয়াসায় ভুগে।তহ মানসিক শান্তির জন্য আবার বিয়ে করলে কি স্বামী ঠিকি ৩ তালাকের মালিক থাকবে? আর বিয়ে করবে যে সেটা সন্দেহের বসে সেখানেও কি ইদ্দত পালন করতে হবে? সন্দেহ নিয়ে? ধরেন স্বামী জানে না স্ত্রীর সন্দেহের বসে আবার বিয়ে করবে বলতেছে।স্বামীকে বুঝানো সম্ভব না হলে ইদ্দত করতে হবে?
৩।আবার কেউ ধরেন সন্দেহ নিয়ে কেনায়া তালাকের আবার বিয়ে করেছে।বিয়ে ওটার পর কেনায়া তালাকের ব্যপারে মনে পড়লে করণীয় কি মানে তালাক হয়েছিল সেটা মনে পড়লে? স্বামী কয় তালাকের মালিক থাকবে?
৪।আর কেনায়া তালাক যদি হয়, তখন কেনায়া তালাক দেওয়ার আগে যদি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার আর শর্ত যুক্ত করে তালাকের কথা বলে থাকে সেটি আবার বিয়ের পর ও বহাল থাকবে? নাকি থাকবে না?
৫।কেউ যদি তার স্ত্রীকে বিয়ের আগে বলে যদি এসময় আমাদের বিয়ে হত তুমার কাজ এটার দ্বারা ছেড়ে দিতাম।তহ বিয়ের পর করলে কি তালাক হবে? দিতাম বললে?
৬।কেউ ধরেন অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বা আচ্ছা বলেছে।মাথায় যদি আগে থেকে তালাকের চিন্তা ঘুরে বা ওয়াসওয়াসা আসে যে ত....... দিচ্ছে স্ত্রীকে।অনিচ্ছা সত্বেও এধরনের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা মাথায় আসলে ।অন্য জনকে হ্যা বলার কারনে কি তালাক হবে মনে এ ধরনের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা আসলে?
৭।কোন স্ত্রী নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীকে তালাক বললে কি তালাক হবে? মানে দিলাম বলে নি স্বামীকে শুধু স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বললে কি তালাক হবে?আরেকটা প্রশ্ন তুমাকে জ্বালাব না আর এটা কি কেনায়া বাক্য?
৮।স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি তহ ভেবেছিলে বা মনে এসেছিল কেমনে থাকব এই ছেলের সাথে সারাজীবন।জায়গা সম্পত্তি কিছু নাই।স্ত্রী ভাবলেও স্বামীকে এসব না বললে আর স্বামীর এই কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?
৯।আসলে মেয়েটার টিক মনে নেই সেটা।আর কথাটা হচ্ছে ওর আর ওর স্বামীর বিয়ের ও অনেক বছর আগের।মেয়েটার ঘরে ওর দাদি ভান্ডারি বা ওরশ করাত।মেয়টা পছন্দ করত না।তহ ওর স্বামী বিয়ের আগে এটা নিয়ে একটা ওকে কথা বলেছিল ঠিক কি বলেছে স্বামীর ও মনে নেই।মনে হয় এরকম বলেছিল " তুমার মাঝে যদি এসব থেকে থাকে বা দেখি ছেড়ে দিব তখন"।নাকি শর্ত যুক্ত তালাক যা থেকে থাকলে বা মনে থাকলেও তালাক হবে,মনে নেই কারো।আর মেয়েটা এমনিতেও ভান্ডারি এসব পছন্দ করে না।তহ মেয়েটার মনে এ বিষয়ে মানে স্বামী আগে যেটার জন্য বলেছিল সেটা যদি বিন্দু পরিমান ও ভাল লাগা থেকে থাকে তাহলে কি সমস্যা হবে? আসলে কি বলেছিল সেটাও স্পষ্ট মনে ও নেই।আর বিয়ের আগের কথা তহ মাঝে মাঝে মনে হয় যে ওর এমন শর্ত যুক্ত তালাক যা বিয়ের পর হবে।কারো মনে নেই স্পষ্ট।তবে ছেড়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল মানে এরকম দেখলে ছেড়ে দিবে নাকি এতটুকুতে তা..... কি বলেছে মনে নেই।আর মানুষের মনে নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে না চাওয়া সত্বেও । তহ এভাবে মানুষের মনের ভাবনার সাথে কি শর্ত যুক্ত করে তালাক দেওয়া যায় বা হয়?
১০।কোন স্ত্রী যদি বলে মা বাবা মানবে না বিয়ে।মানে ছেলে চাকরী না করলে।বিয়ে ধরেন করে ফেলেছে।বাসায় জানে না।তহ এরপর স্বামী যদি বলে না,মানলে বাবার পছন্দমত করগা বা করিও।আর এসব কথা স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?
১১।কোন বিবাহিত কেউ যদি বলে আমি অবিবাহিত বা এখনো বিয়ে করি নি।তাহলে কি কোন সমস্যা হয়?মানে চুরি করে বিয়ে কাউকে আপাতত না জানাতে চাইলে।পরে জানাবে এমনটা আর কি।
১২।এসব প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে? আমি জানার জন্য করেছি।আর প্রশ্নগুলো করার সময় নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে আমার মনে এতে কি কোন সমস্যা হবে? আমি মনে মনে না না করি। আর ৯ নং প্রশ্নটা আমাদের দিকে ইন্গিত না করে করেছি।এটা আমার প্রশ্ন হলেও মনে নেই আমার স্পষ্ট।এটা নিয়ে প্রশ্ন করায় কি কোন সমস্যা হবে আমাদের বৈবাহিক জীবনে? আমি একজন মেয়ে।
১৩।এটা জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।কোন স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দেয়।স্বামী যদি স্ত্রীর কাছে তালাক চাই বা স্ত্রী যদি দিবে বলে।বা স্ত্রীও যদি চায় তার স্বামীর কাছ থেকে।এরপর স্ত্রী যদি বলে স্বামীকে তুমি মুক্ত বা এ ধরনের কোন কেনায়া বাক্য।বা যদি বলে চলে গেলাম বা যোগাযোগ করব না আর এরকম বলে বা ভুলে যাব এমন বলে । আবার যদি বলে সম্পর্ক নেই বা রাখব না।এতে কি তালাক হয়? নিজেকে না দিয়ে এসব বললে? আর এসব বলার সময় যদি তালাকের নিয়ত না থাকে স্ত্রীর তাহলে কি তালাক হবে? আসলে এমনিতে জানার জন্য করেছি প্রশ্ন।
১৪।আমি সব জানার জন্য প্রশ্ন করেছি। এখানে সব কথা আমার সাথে মিলে না।হয়ত ২ –১ টা মিলে তাও মাঝখানে মাঝখানে কিন্তুু আমি সব জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।এতে কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?এমনকি ১ টা পুরো প্রশ্নও আমার জীবনের নয়।আংশিক আংশিক।আর নিজের দিকেও ইন্গিত করি নি প্রশ্নে।
১৫।ধরেন কোন স্ত্রী সারাদিন কাজ করেছে অসুস্থ তবু।স্বামীর সাথে ফোনে কথা হয় মেসেজে। স্বামী দূরে থাকে।স্বামীর সাথে কথা বলতে একটু দেরি হওয়ায়,সে bye বলে রেখে দিল।স্ত্রীর খুব খারাপ লাগল।কি করবে সে সারাদিন খাটনি।সে রাগ করে যদি বলে আমি মরে গেলে খুশি হবি? বল কি করতাম আমি আর মরে যাব, তুদের জ্বালা আমি আর সইতে পারব না।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে স্ত্রীকে স্বামী তালাকের অধিকার দিলেও? সে নিজেকে তালাক দেই নি।শুধু রাগের কারনে দুঃখের কারনে এসব বললে?আর স্বামীকেও যদি বলে আমি মরি মত দোয়া কর।অন্তত আল্লাহর কাছে গিয়ে হলে একটু সুখে থাকি মত।আর পারতেছি না এত কস্ট নিতে।আসলে সে বিচ্ছেদ চাই না। এসব কথা বলার সময় মনে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসলেও সে মনে মনে না না বলে বলে কথা গুলো স্বামীকে বলেছে।