ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1929 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সালাতুদ-দোহা/ চাশতের নামাযের ফযিলতঃ
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)
সালাতুদ-দোহা/চাশতের নামাযের সময়ঃ
চাশতের নামায যা ফুকাহায়ে কেরামদের নিকট সালাতুয-যুহা নামে পরিচিত, এ নামাযের সময়সূচী সম্পর্কে দুররুল মুখতারে বর্ণিত আছে,
(وَ) نُدِبَ (أَرْبَعٌ فَصَاعِدًا فِي الضُّحَى) عَلَى الصَّحِيحِ مِنْ بَعْدِ الطُّلُوعِ إلَى الزَّوَالِ وَوَقْتُهَا الْمُخْتَارُ بَعْدَ رُبُعِ النَّهَارِ.
وَفِي الْمُنْيَةِ: أَقَلُّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْثَرُهَا اثْنَيْ عَشَرَ، وَأَوْسَطُهَا ثَمَانٍ
ভাবার্থঃ বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী চার রাকাত বা তার চেয়ে বেশী সালাতুয-যুহা (চাশতের নামায)পড়া মুস্তাহাব।সূর্যোদয়ের পর থেকে নিয়ে যাওয়ালে সূর্য বা মাথার উপর থেকে সূর্য পশ্চিমদিকে হেলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সময়ে ভিতর। উত্তম হচ্ছে দিনের এক চতুর্থাংশ চলে যাবার পর পড়া।মুনয়া কিতাবে বর্ণিত আছেসর্বনিম্ন ২রাকাত ও সর্বোচ্ছ ১২ রাকাত এবং মধ্যম হচ্ছে ৮ রাকাত।(দুররুল মুখতার-২/২২) ২থেকে ১২ রাকাত যে কোনোটা পড়া যাবে। (ফাতাওয়া রহিমিয়্যাহ-৪/৮৩, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৬৩)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সালাতুদ দোহা সাধারণ নফল নামাযের মত সূরায়ে ফাতেহার সাথে একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। সালাতুদ দোহার বিশেষ কোনো নিয়ম নাই। বরং সাধারণ নফল নামাযের মতই দোহার নামায পড়তে হবে।