বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুন্নাহ হল, কোনো ওয়াক্তের সকল প্রকার নাসায তথা সুন্নত,ফরয, নফল নামায পড়ার পর আদায় করা।হ্যা কেউ যদি প্রত্যেকটা নামায তথা ফরযের পর একবার পড়ে,এবং সুন্নতের পর আরেকবার পরে,এবং নফলের পর আরেকবার পড়ে, তাহলে সেটাও প্রশংসনীয় কাজ।
(২)
যদি নামাজে রুকু সিজদার সময় রুকু রুকু সিজদার তাসবীহ এর স্থলে ভূলে অন্য দুয়া পড়া শুরু করার পর মনে আসলে তাসবীহ পড়ে নেয়া হয়৷ তাহলে এ অবস্থায়ও নামাজ হয়ে যাবে। সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। জামাতের মুক্তাদির কোনো ভূল হলে সাহু সিজদা আসে না।
(৩)
https://www.ifatwa.info/3464 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
وإن سبقه الحدث بعد التشهدتوضأ وسلم؛ لأنه لم يبق عليه سوى السلام، وإن تعمد الحدث تمت صلاته؛ لأنه لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة، وقد تعذر البناء لمكان التعمد وإذا لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة تمت صلاته
যদি তাশাহুদ পড়ার অজু চলে যায়,তাহলে সে অজু করে এসে সালাম ফিরিয়ে নেবে।কেননা তার উপর সালাম ব্যতীত নামাযের আর কোনো জরুরী বিষয় বাকী নেই।কিন্তু যদি কেই ইচ্ছাকৃত অজুকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।কেননা তখন তার উপর নামাযের আর কোনো রুকুন অবশিষ্ট নেই।ইচ্ছাকৃত নামায ভঙ্গ করার ধরুণ বিনা তথা পূর্বের নামাযের অবশিষ্ট কিছু অংশকে আবার আদায় করা।সুতরাং যখন কারো উপর নামাযের কোনো রুকুন আর বাকী থাকবে না,তখন নামায সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।(অাল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/৮৯)
সুনানে আবু-দাউদে বর্ণিত রয়েছে,
«إذا قلت هذا أو فعلت فقد تمت صلاتك إن شئت أن تقوم فقم، وإن شئت أن تقعد فاقعد»
যখন তুমি তাশাহুদ পড়ে নিবে,তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।চাইলে তুমি নামাযকে ছেড়ে দিয়ে(তথা ইচ্ছাকৃত নামাযকে ভঙ্গ করে আবার) দাড়াতে পারো।এবং চাইলে তুমি বসে থাকতেও পারো।
সুতরাং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গ দেয়,তাহলে নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।আর অজু করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।
(৪)
সাহু সিজদা দিতে হবে।