আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
১. আমি একটা কোচিং এ পড়াই, সেখানে মেয়েদের ও পড়ানো হয়, ছেলে - মেয়ে আলাদাই পড়ায়। কিন্তু কথা হলো ৫/৬ এর ক্লাসে মেয়েরা অনেকে পর্দা করেনা, এখন অনেকসময় তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করে, এরজন্য তাকাতে হয়। এতে কি গুনাহ হবে? এটা কি কবিরা গুনাহ?

গুনাহ হলে কি করা যায় এক্ষেত্রে?

২. নামাজে যদি মনে হয় সূরা ফাতিহা না পরেই অন্য সূরা পড়া শুরু করেছি, তখন সূরা ফাতিহা পড়লাম।  কিন্তু আসলে সূরা ফাতিহা পড়েছি, এই যে ফাতিহা ডাবল পড়া হলো, এতে নামাজের ক্ষতি হবে?

৩. দরুদ, তাকবিরে তাহরিমা বাদে বাকি সব তাকবীর কি সুন্নত, মানে বাদ পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবেনা?

৪. নামাজে কোন রাকাতে ভুলে ১ সিজদা দিলাম, পরে সিজদা থেকে পুরোপুরি উঠে দাড়ানোর পরে মনে পড়ল যে সিজদা একটা দিয়েছি, তখন কি করব?

৫. মেয়েদের নামাজের সময় অল্প কয়েকটা চুল যদি ঢাকা না থাকে বা কোনভাবে বের হয়ে যায়, নামাজ ভেঙে যাবে কি?

৬. সৌদি আর বাংলাদেশের সময় পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা হলেও ১ দিন পর রোযা শুরু / ঈদ কি কারণে হয় আসলে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দেখেন, ৫ম/৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র প্রায় সাবালিকা।তাই তাদের সাথে পর্দা করা ফরয।তারা নিকাব পড়বে।এটাও তাদের জন্য ফরয। আপনার কোচিংয়ে নিকাব পড়ার নির্দেশ দিবেন, এটাও আপনার উপর ফরয।যদি তারা নিকাব না পড়ে আসে, এবং তাদের দিকে আপনি তাকান, তাহলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(২)
সূরায়ে ফাতেহা বা সূরায়ে ফাতেহার কোনো অংশকে ডাবল পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(৩)
তাকবীরে তাহরিমা ব্যতিত অন্যান্য তাকবীর সুন্নত।সুকরাং বাদ পড়লে সাহু সিজদা আসবে না।

(৪)
পরবর্তী রাকাতে একটা সিজদা বেশী দিয়ে দিবেন।এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়ে দিবেন।

(৫)
আর মহিলাদের নামাযের সময় হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।
ﻓﻰ ﺗﻨﻮﻳﺮ ﺍﻷﺑﺼﺎﺭ - ﻭَﺳَﺘْﺮُ ﻋَﻮْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻫِﻲَ ﻟِﻠﺮَّﺟُﻞِ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺳُﺮَّﺗِﻪِ ﺇﻟَﻰ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺭُﻛْﺒَﺘِﻪِ ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦِ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺷﺮﻭﻁ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﻣﻄﻠﺐ ﻓﻰ ﺳﺘﺮ ﺍﻟﻌﻮﺭﺓ - 1/404
মহিলাদের জন্য অন্য সময় গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা, হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন রাস্তায় প্রচন্ড ভীর হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি।

যেহেতু চুল সহ মাথা সতরের অন্তর্ভুক্ত।তাই চুল খুলে গেলে বা মাথা থেকে কাপড় সরে গেলে,সতর খুলে গিয়েছে মনে করা হবে।সতর খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়।সুতরাং কারো নামাযে চুল খুলে গেলে নামাযকে আবার দোহরাতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/975

(৬)
কুরআন হাদীসে চাদ দেখে রোযা রাখতে এবং চাদ দেখে রোযা ভাঙ্গতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সৌদিকে মান্দন্ড রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 184 views
...