বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দেখেন, ৫ম/৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র প্রায় সাবালিকা।তাই তাদের সাথে পর্দা করা ফরয।তারা নিকাব পড়বে।এটাও তাদের জন্য ফরয। আপনার কোচিংয়ে নিকাব পড়ার নির্দেশ দিবেন, এটাও আপনার উপর ফরয।যদি তারা নিকাব না পড়ে আসে, এবং তাদের দিকে আপনি তাকান, তাহলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(২)
সূরায়ে ফাতেহা বা সূরায়ে ফাতেহার কোনো অংশকে ডাবল পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(৩)
তাকবীরে তাহরিমা ব্যতিত অন্যান্য তাকবীর সুন্নত।সুকরাং বাদ পড়লে সাহু সিজদা আসবে না।
(৪)
পরবর্তী রাকাতে একটা সিজদা বেশী দিয়ে দিবেন।এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়ে দিবেন।
(৫)
আর মহিলাদের নামাযের সময় হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।
ﻓﻰ ﺗﻨﻮﻳﺮ ﺍﻷﺑﺼﺎﺭ - ﻭَﺳَﺘْﺮُ ﻋَﻮْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻫِﻲَ ﻟِﻠﺮَّﺟُﻞِ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺳُﺮَّﺗِﻪِ ﺇﻟَﻰ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺭُﻛْﺒَﺘِﻪِ ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦِ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺷﺮﻭﻁ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﻣﻄﻠﺐ ﻓﻰ ﺳﺘﺮ ﺍﻟﻌﻮﺭﺓ - 1/404
মহিলাদের জন্য অন্য সময় গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা, হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন রাস্তায় প্রচন্ড ভীর হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি।
যেহেতু চুল সহ মাথা সতরের অন্তর্ভুক্ত।তাই চুল খুলে গেলে বা মাথা থেকে কাপড় সরে গেলে,সতর খুলে গিয়েছে মনে করা হবে।সতর খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়।সুতরাং কারো নামাযে চুল খুলে গেলে নামাযকে আবার দোহরাতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/975
(৬)
কুরআন হাদীসে চাদ দেখে রোযা রাখতে এবং চাদ দেখে রোযা ভাঙ্গতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সৌদিকে মান্দন্ড রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়নাই।