আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি যদি শাড়ির ব্যবসা করি,এবং কাপড়টা বেশ পাতলা হয় এবং ক্রেতা চাইলে উক্ত কাপড় শুধু মাহরামের সামনে পড়তে পারে আবার কোনো ক্রেতা একই কাপড় পরিধান করে বাইরে ঘুরবে। শুধু কাপড়ের ব্যবসায়ী হিসেবে এসব কাপড়ের ব্যবসা বানানো/বিক্রয় করা জায়েয হবে কিনা?আমি জানি এসব কাপড় দিয়ে পর্দা হয় না এবং এসব কাপড় কেউ পর্দার পোশাক হিসেবেও ক্রয় করবেনা।

1 Answer

0 votes
by (707,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/242 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
প্রশ্ন হল ক্রেতার ব্যবহার সম্পর্কে বিক্রেতা কিভাবে জানবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,কাপড়ের ধরণ ও ক্রেতা মহিলার চালচলনের মাধ্যমেই উক্ত কাপড়ের ব্যবহার সম্পর্কে বিক্রেতা ধারণা করবে।
কিছু কাপড় এমন রয়েছে যে,মহিলা যতই বেপর্দা হোক না কেন তা উগ্রতার জন্য পরিধান করবে না।
এমনকি এগুলো পরিধান করে পরপুরুষের সামনে বের হবে না এবং হওয়াও সম্ভব না।
আর কিছু কাপড় এমন রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বিক্রেতার ধারণা এমনি ইয়াক্বিন(পূর্ণ বিশ্বাস) পর্যন্ত পৌছে যায় যে,ক্রেতা এগুলাকে হারাম ত্বরিকায়-ই পরিধান করবে।

সুতরাং বিক্রেতার উপর ওয়াজিব যে,সে ক্রেতার অবস্থার প্রতি লক্ষ করে যা জানবে বা যা ধারণা করবে, সে অনুযায়ী আ'মল করবে।
কখনো কাপড় এমন হয় যে,যেগুলোকে হালাল- হারাম উভয় ত্বরিকায় ব্যবহার করা যায়,কিন্ত ক্রেতা মহিলা হিজাবী হওয়া বা রাষ্ট্র কর্তৃক হিজাব বাধ্যতামূলক হওয়া,এ সমস্ত জিনিষ এই কাপড়গুলোকে হারামে ব্যবহৃত হতে বাধাগ্রস্ত করে।তাহলে এমতাবস্থায় এগুলো বিক্রি করতে কোনো অসুবিধা নেই।

তৃতীয় অবস্থা
যদি বিক্রেতা সন্দেহ করে এবং দিধাবোধ করে যে, এই কাপড়গুলো হালালে ব্যবহৃত হবে, না হারামে ব্যবহৃত হবে। এবং কাপড় ও এমন যে, ইহা উভয় ত্বরিকায়ই ব্যবহৃত হয়,এবং হলাল-হারাম পরিধানের কোনো একটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কোনো বিষয়ও আপাতত সামনে নেই,তাহলে এমতাবস্থায় এই কাপড় গুলোকে বিক্রি করতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা ব্যবসা হালাল হওয়াই প্রথম ও মূল মূলনীতি। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন-আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন। (সূরা বাক্বারা-২৭৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/242


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...