আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

কোন স্ত্রী যদি রাগ করে বলে স্বামীকে তুমাকে ছড়ে দিয়ে আরেকটা বিয়ে করব।স্বামী যদি বলে কর গা ।তাহলে কি স্বামীর নিয়ত জিগ্যেস করা হবে? নাকি তালাক হবে? আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।আর  স্বামী যদি ভবিষ্যৎ বাক্য বললে তহ হবে না তাই না?
১।আর করলে কর গা বললে তহ অধিকার  দেয় স্ত্রীকে তাই না?
২।স্ত্রী যদি বলে তুমার সাথে থাকতে পারব না আর।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে থাকতে না পারলে চলে যাও বা থাকিও না।এতেও কি তালাক হয়?

৩।কোন স্ত্রী যদি তালাক  চাওয়ার পর স্বামী যদি কেনায়া তালাক সম্পর্কে না জেনে না বুঝে নিয়ত ছাড়া এমনিতে কথার ছলে বলে তাহলে কি হবে?

আমার কোন ঘটনা নয়। জানার জন্য জিগ্যেস করেছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"স্ত্রী যদি রাগ করে বলে স্বামীকে তুমাকে ছড়ে দিয়ে আরেকটা বিয়ে করব।স্বামী যদি বলে কর গা " এ কথা দ্বারা তালাক হবে না।স্বামীর পক্ষ্য থেকে ধমকি বুঝা যাবে।

(১)
"করলে কর গা " একথা দ্বারা বিরক্তিবোধ বুঝানো হচ্ছে।অর্থাৎ স্বামী এসম্পর্কে কিছুই বলতে চাচ্ছে না।হ্যা, স্বামী যদি বলে যে, এ কথা দ্বারা সে তালাকের অধিকার দেয়ার নিয়তে বলছে, তাহলে এই অধিকার মজলিস খতম হওয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে।মজলিস খতম হওয়ার সাথে সাথে এই অধিকারও চলে যাবে।

(২)
স্ত্রী যদি বলে তুমার সাথে থাকতে পারব না আর।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে, থাকতে না পারলে চলে যাও বা থাকিও না।

একথা দ্বারা মজলিস পর্যন্ত তালাকের অধিকার স্ত্রী পাবে, মজলিস শেষ হওয়ার সাথে সাথে এই অধিকারও শেষ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (30 points)
edited by
মানে শায়েখ কোন স্ত্রী বলে  যদি তালাক  দাও চলে যাব বা তুমাকে তালাক দিয়ে চলে যাব  বা তুমাকে তালাক  বিয়ে করব এমন বলে। স্বামীও যদি বিরক্ত সরূপ বলে যাওগা বা যাও বা যাও যাও, করগা।স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া এমনিতে বিরক্ত সরূপ বা ধমকি সরূপ বা এমনিতে কথার ছলে বললে তালাক হয় না?

আসলে শায়েখ এই ব্যপারটা আমি  এমনিতে জানার জন্য প্রশ্ন করেছিলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...