আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পরিবারের বলতে গেলে প্রায় সবাই ( যাদের বয়স হয়েছে/হচ্ছে যেমনঃ মা, বাবা, খালা, নানু...) বাংলা উচ্চারণে কুরআন পড়ে থাকেন। উদাহরণঃ আইন এবং আলিফ এর উচ্চারণ একই করে পড়েন,  তিন আলিফের স্থলেও এক আলিফের টান দেন ইত্যাদি। অর্থাৎ আরবিকে বাংলাতে লিখলে যেমন উচ্চারণ হয় তেমন করে উচ্চারণ করেন। তার মানে তারা সালাতেও এভাবেই উচ্চারণ করেন। তাদের এ নিয়ে একবার বলেছিলাম, একজনের উত্তর ছিল যে ছোটবেলায় হুজুর এভাবেই শিখিয়েছে। আরেকজনের উত্তর ছিল যে টিভিতে ইসলামিক অনুষ্ঠানে বলেছে এভাবে উচ্চারণে সমস্যা নেই৷ আরেকজনের বয়স সত্তরের বেশি তাই আমি তাকে এ নিয়ে কিছু বলিনি। এখন তারা কি এ নিয়ে গুনাহগার হবেন? যদি হন, আমি তাদের কিভাবে উপদেশ দিতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড়ে যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)
দেখুন-(মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-১০/১৭৮)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হাদীসের বর্ণনা 'কুরআন পড়তে আটকিয়ে যাওয়া'
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তিটি নিশ্চয় পূর্ণ তাজবিদকে রপ্ত করতে পারেনি কেননা সে তো ঠিকমত পড়তেই পারছেনা বরং পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।এরপরও সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দু'টি সওয়াবের অংশীদার হবে।এত্থেকে বুঝা গেল যে, মুস্তাহাব পর্যায়ের তাজবিদকে ছেড়ে দিয়ে কুরআন পড়তে কোনো অসুবিধে নেই।এবং এতে  কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।হ্যা জরুরী পর্যায়ের তাজবিদ তাকে শিখতে হবে।

বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন,
হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض  ذ .ز  س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য  জানা ও আদায় করা ফরয। তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা, এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
উপরের নয়টি হরফ উচ্ছারণ এবং উচ্ছারণের পার্থক্য জানা ও সেই অনুযায়ী উচ্ছারণ করা, ছোট বড় সবার উপর ওয়াজিব। সুতরাং বয়স্করা কমপক্ষে এই সাতটি হরফের উচ্ছারণ শিখতে হবে।এবং শিখা তাদের উপর ওয়াজিব।

সুতরাং আপনার বর্ণিত ঐ সব ব্যক্তিবর্গ তারা কুরআন তিলাওয়াত তাদের মত করে আপাতত করতে পারবেন, এবং সাথে সাথে সাথে বিশুদ্ধ ত্বরিকায় কুরআন তিলাওয়াত শিখার চেষ্টা করবেন। তাদের কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 220 views
0 votes
1 answer 189 views
...