ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড়ে যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)
দেখুন-(মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-১০/১৭৮)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হাদীসের বর্ণনা 'কুরআন পড়তে আটকিয়ে যাওয়া'
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তিটি নিশ্চয় পূর্ণ তাজবিদকে রপ্ত করতে পারেনি কেননা সে তো ঠিকমত পড়তেই পারছেনা বরং পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।এরপরও সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দু'টি সওয়াবের অংশীদার হবে।এত্থেকে বুঝা গেল যে, মুস্তাহাব পর্যায়ের তাজবিদকে ছেড়ে দিয়ে কুরআন পড়তে কোনো অসুবিধে নেই।এবং এতে কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।হ্যা জরুরী পর্যায়ের তাজবিদ তাকে শিখতে হবে।
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন,
হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض ذ .ز س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য জানা ও আদায় করা ফরয। তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা, এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
উপরের নয়টি হরফ উচ্ছারণ এবং উচ্ছারণের পার্থক্য জানা ও সেই অনুযায়ী উচ্ছারণ করা, ছোট বড় সবার উপর ওয়াজিব। সুতরাং বয়স্করা কমপক্ষে এই সাতটি হরফের উচ্ছারণ শিখতে হবে।এবং শিখা তাদের উপর ওয়াজিব।
সুতরাং আপনার বর্ণিত ঐ সব ব্যক্তিবর্গ তারা কুরআন তিলাওয়াত তাদের মত করে আপাতত করতে পারবেন, এবং সাথে সাথে সাথে বিশুদ্ধ ত্বরিকায় কুরআন তিলাওয়াত শিখার চেষ্টা করবেন। তাদের কোনো গোনাহ হবে না।