আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
491 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)

আসসালামু আলাইকুম, 
প্রশ্ন-১ঃ আমাকে একজন বলেছিলেন, 
'"আয়েশা (রাঃ) নামাজ পড়তেছিলেন তখন এক মহিলা নুপুর পায়ে তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।
আয়েশা (রাঃ) নামাজ শেষ করে ওই মহিলাকে বলেছিলেন তুমি জাহান্নামে যাবে"।
এটা কি কোনো হাদিসের কথা নাকি মানুষের বানানো কথা? হাদিসে থাকলে হাদিস নাম্বারসহ রেফারেন্স দিলে উপকৃত হব।

প্রশ্ন-২ঃ মেয়েদের পায়ে শব্দযুক্ত নুপুর পরা কি হারাম নাকি মাকরূহ?
প্রশ্ন-৩ঃ কোনো মেয়ে পায়ে শব্দযুক্ত নুপুর পুরলে কি সে জাহান্নামেই চলে যাবে?
প্রশ্ন-৪ঃ আর শব্দ ছাড়া নুপুর পরা কি মেয়েদের জন্য জায়েজ আছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1265 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ঘন্টা সম্বলিত হাদীস হচ্ছে নিম্নরূপ।
ﺑﺎﺏ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻔﺮ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﻛﻠﺐ ﻭﻻ ﺟﺮﺱ
তরজমাঃহযরত আবু-হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ ঐ দলের সাথে (রহমতের)ফেরেস্তারা সহযাত্রী হন না, যাদের মধ্যে কুকুর বা ঘন্টা বা তার আওয়াজ রয়েছে।(সহীহ মুসলিম-২১১৩)

ঝনঝনিয়ে আওয়াজ হয়, এমন নুপুর পায়ে দেওয়া নাজায়েয ও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5884

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) এরকম বিবরণ সম্পর্কে আমরা জানিনা।

(২)
হারাম।
(৩)
জ্বী, সে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে।

(৪)
জ্বী, শব্দ ছাড়া হলে জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
...