আসসালামুআলাইকুম,
পুরো বিষয়টি বর্ণনা করতে গিয়ে লেখাটি বড় হয়েছে তাই দুঃখিত।ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ করা হলো।জাযাকাল্লাহ।
আমার জানামতে আমার পিতার আয়ের উৎস হলো-১)কোম্পানিতে চাকরি,২)শেয়ার ব্যবসার লাভের টাকা,৩)সুদের টাকা।এরমধ্যে আমার পিতা সুদের টাকা তেমন একটা তুলেন না কিন্তু ওনার সম্পদে সুদের মিশ্রণ আছে।এখনও ব্যাংকে তার টাকা রাখা আছে।আর শেয়ার ব্যবসায় যেই কারবার গুলি হয় তার তো আনুমানিক ৯০% ই হারামভাবে হয় বর্তমানে।তো শেয়ার ব্যবসা থেকে যে লাভ করে আমার বাবা তা ১০০% হালাল যে এটার গ্যারান্টি ও নেই।হ্যা তবে আমার বাবা কোম্পানি থেকে ভালো বেতন পান পাশাপাশি কোম্পানির প্রজেক্টে তিনি যুক্ত আছেন।যেহেতু তিনি গ্যাস সেক্টরের কোম্পানিতে কর্মরত তাই এই প্রজেক্টগুলো দীর্ঘমেয়াদি ,বলতে গেলে আমার বাবার চাকরি জীবনের ৪০% প্রজেক্ট করে কেটেছে।অর্থাৎ কোম্পানির বেতন ও প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত সম্মানি মিলে ভালো পরিমাণ টাকা পান।কিন্তু এখানেও কথা আছে,প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে আবার জমি অধিগ্রহণ করা লাগে।তো তখন অনেক লোক নিজ জমির ওপর দিয়ে যাতে লাইন না যায় এজন্য ঘুষ দেয় আবার যাদের জমি কাটা পড়ছে তারা তাড়াতাড়ি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেয় আবার অনেকে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় বলে নিজের জমি ইচ্ছাকৃতভাবে লাইনের মধ্যে ফেলার জন্য ঘুষ দেন।অর্থাৎ প্রজেক্ট করে হালালভাবে ও টাকা নেয়া যায় আবার হারামভাবে টাকাও নেয়া যায়।কিন্তু এই হারাম কর্মকান্ডের সাথে আমার পিতা জড়িত কি না তা নিশ্চিত না,তাই নিশ্চিতভাবে প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত টাকাকেও ১০০% হালাল ধরতে পারছি না।কারন আমি শুনছিলাম কয়েকবার যে আমার পিতা আগের প্রজেক্টে ঘুষের ও প্রতারণার কাজের সাথে জড়িত ছিল।কিন্তু তখন তিনি নামাজ পড়তেন না,একেবারে বেদ্বীন ছিলেন।কিন্তু বর্তমানে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,কুরআন তিলাওয়াত করেন ও নফল রোজাও রাখেন।এমতাবস্থায় এই নতুন প্রজেক্টেও তিনি ঘুষের ও প্রতারণার সাথে জড়িত কি না জানি না।তবে যিনি সুদ থেকেই সরেননি তিনি কি প্রতারণা ও ঘুষ থেকে সরেছেন কি না তা জানি না ।তো সবমিলিয়ে অবস্থা এই যে,আমার বাবার সম্পদ আয় করেন- শেয়ার ব্যবসা থেকে,সুদ থেকে,চাকরি থেকে ও প্রজেক্ট থেকে।তো আমি জানিনা যে তার টাকায় হালাল অধিক না হারাম অধিক।এমতাবস্থায় একজন পুরুষ হিসেবে কি আমার পিতার টাকায় নির্ভরশীল হওয়া জায়েজ হচ্ছে? আর আমার পিতা আমাকে এই পর্যন্ত সাইকেল,ফোন ইত্যাদি জিনিস দিয়েছেন তা ভবিষ্যতে ব্যবহার জায়েজ হবে?