বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/37852 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি জরুরী বা শর্ত নয়।তবে সমতা রক্ষা করতে না পারলে দ্বিতীয় বিবাহ করা জায়েয হবে না।
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً [٤:٣]
সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই [সূরা নিসা-৩]
প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করলে যদিও শরীয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে হয়ে যায়, তথাপি সরকারি নিয়মকে ফলো করে প্রথম স্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে বিয়ে করা উচিৎ।এতেকরে বর্তমান সময়ের অনেক প্রকার ফিতনা ফাসাদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করা যায়।লুকিয়ে বিয়ে করা কখনো কোনো মুসলিম যুবক যুবতির জন্য কাম্য হতে পারে না। বরং প্রকাশ্যে সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করা উত্তম ও মুস্তাহাব। তাছাড়া এক্ষেত্রে প্রথমা স্ত্রী খুশীও হবে।আর স্ত্রীকে খুশী করা অত্যান্ত প্রশংসনীয় কাজ।
وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا، فَإِنَّهُنَّ خُلِقْنَ مِنْ ضِلَعٍ، وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلاَهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ، فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমার নিকট হতে নারীদের সাথে সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তাদেরকে পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হাড়ের মধ্যে সর্বাধিক বাঁকা হাড় হল উপরেরটি। [সেই হাড় হতেই নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে]। অতএব তুমি যদি তা সোজা করতে চাও তবে ভেঙ্গে ফেলবে। আর ঐভাবে ফেলে রাখলে সর্বদা উহা বাঁকাই থাকবে; সুতরাং তোমরা নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। {বুখারী, হাদীস নং-৫১৮৬}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خلقا، وخياركم خياركم لنسائهم”
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুমিনদের মধ্যে পূর্ণতর মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার আচারণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীদের কাছে উত্তম। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪১৭৬}
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا، أَحْسَنَهُمْ خُلُقًا، وَأَلْطَفَهُمْ بِأَهْلِهِ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুমিনদের মাঝে সেই ব্যক্তি অধিকতর পূর্ণ মুমিন, যে ব্যক্তি সদাচারী এবং নিজ পরিবারের জন্য কোমল এবং অনুগ্রহশীল। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪২০৪, তিরমিজী, হাদীস নং-২৬১২}
এসব হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে, দ্বিতীয় বিয়ের সময় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়াটাই উচিত।
(২)
মিথ্যা বলার কারণে স্বামীর অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩)
জ্বী, এদ্বারা প্রথমার হক নষ্ট হয়েছে।