আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
اسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

উস্তায, অনেকে বাড়ি নির্মাণের সময় মুরগি জবাই করে মুরগির রক্ত পিলারের বেইজে দিয়ে থাকে এবং কিছু হুজুরকে ডেকে এনে পেরেক জাতীয় কিছু দেয় সেখানে।

আমার প্রশ্ন হল, এই জাতীয় কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন?

جزاك الله جيرا

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

মুসলমানদের আকীদা হলো ভালো মন্দ সব কিছু আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত।
সবই তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি সম্পূর্ণভাবে ইসলামী আকীদা বহির্ভুত কাজ।
কুঃসংস্কার।
এহেন কাজ থেকে বিরত থাকতে,এগুলোর কোনো কিছুই ভালো/মন্দ বয়ে আনতে পারেনা।
আল্লাহর আদেশেই সব হয়।
যারা এজাতীয় কাজ করে,তাদেরকে খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসতে হবে।    
 
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

اِنَّمَاۤ اَمۡرُہٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَیۡئًا اَنۡ یَّقُوۡلَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۸۲﴾ 

তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছে করেন, তিনি বলেন, ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।
(সুরা ইয়াসিন ৮২)

اِنَّمَا قَوۡلُنَا لِشَیۡءٍ اِذَاۤ اَرَدۡنٰہُ اَنۡ نَّقُوۡلَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۴۰﴾ 

আমি কোন কিছুর ইচ্ছে করলে সে বিষয়ে আমার কথা তো শুধু এই যে, আমি বলি, হও; ফলে তা হয়ে যায়।
(সুরা নাহল ৪০

اَللّٰهُ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۫ وَّ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ وَّکِیۡلٌ ﴿۶۲﴾

আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক। 
(সুরা যুমার ৩৯)

ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۚ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۶۲﴾

তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে? 
(সুরা মু"মিন ৬২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ، أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ، فَقُلْنَا: لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلَاءِ فِي الْقَدَرِ، فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلًا فِي الْمَسْجِدِ، فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلَامَ إِلَيَّ، فَقُلْتُ: أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لَا قَدَرَ، وَالْأَمْرَ أُنُفٌ، فَقَالَ: إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ، وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي، وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لِأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ، شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ، لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا نَعْرِفُهُ، حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَخْبِرْنِي عَنِ الْإِسْلَامِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلًا» قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِيمَانِ، قَالَ: أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ قَالَ: صَدَقْتَ،

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া‘মার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাসরাতে সর্বপ্রথম তাকদীর সম্বন্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করে মা‘বাদ আল-জুহানী। আমি ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান আল-হিমাইয়ারি হজ (হজ্জ) অথবা উমরা করতে গেলাম। আমরা বললাম, যদি আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে আমরা এসব লোক তাকদীর সম্পর্কে যা বলে, সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করবো। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভে সাহায্য করলেন, যিনি মাসজিদে প্রবেশ করছিলেন। আমিও আমার সাথী তাকে ঘিরে বসলাম। আমি চিন্তা করলাম যে, আমার সাথী কথা বলার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করবেন।

আমি বললাম, হে আব্দুর রাহমানের পিতা! আমাদের এখানে কিছু সংখ্যক লোকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, যারা কুরআন পড়ে, জ্ঞানচর্চা ও বিতর্কও করে এবং মত পোষণ করে যে, তাকদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রতিটি বিষয়ে পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটছে। তিনি বললেন, তুমি ঐসব লোকের সাক্ষাৎ পেলে তাদেরকে সংবাদ দিবে যে, আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন আর তারাও আমার থেকে বিচ্ছিন্ন। বিশেষ করে আব্দুল্লাহ কসম করে বলেন, ‘‘তাদের কারো যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং তা দান করে দেয়, তবুও তাকদীরের উপর ঈমান আনা পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তাদের এ দান কবূল করবেন না।’’

অতঃপর তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত ও মিশমিশে কালো চুলধারী এক ব্যক্তি আমাদের নিকট আসলেন। তার মধ্যে ভ্রমণের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, আবার আমাদের মধ্যকার কেউ তাকে চিনতে পারছে না। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বসলেন। অতঃপর তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’ হাঁটুর সঙ্গে নিজের দু’ হাঁটু মিশিয়ে এবং নিজের দু’ হাত তাঁর দু’ উরূর উপর রেখে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইসলাম হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের সিয়াম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহর হজ (হজ্জ) করবে যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তিনি (উমার) বলেন, তাঁর আচরণে আমরা বিস্মিত হলাম, কারণ তিনি প্রশ্ন করেছেন আবার নিজেই তার সমর্থন করছেন।

পুনরায় তিনি বলেন, আমাকে বলুন ঈমান কি? তিনি বললেন, আপনি আল্লাহর উপর, ফিরিশতাগণ কিতাবসমূহে, তাঁর রাসূলগণ পরকাল ও তাকদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করবেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। 
(মুসলিম,আবু দাউদ ৪৬৯৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...