আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in সালাত(Prayer) by (87 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
আগের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন জ্বীন রা খুব দ্রুত অদৃশ্য হতে সক্ষম এবং আমার বিড়াল এর ব্যপারে বলেছিলেন সে নামাজ পড়তে জায়নামাজ এ আসতে পারে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে

১/ জ্বীন রা কি মানুষ কে ভয় দেখানোর জন্য ভয়ংকর রূপ বা কোনো মৃত ব্যক্তির রূপে আসতে পারে?

২/ জ্বিন রা কি দেয়াল বা প্রাচীর বা দরজা এর মধ্য দিয়ে জাতায়াত করতে সক্ষম?

3/ আমার বিড়াল নামাজ এর সময় মাঝে মাঝে পা কামড়ায়(ছোট তাই) সেক্ষেত্রে হাত দিয়ে সড়াতে পারব নামাজ্রত অবস্থায়?

৪/ আবার মাঝে মাঝে জায়নামাজ এর মাজখানে বসে থাকে কিছু করে না আমি সিজদাহ বা শেষ বৈঠক এ গেলেও থাকে কিন্তু কিছু করে না। সেক্ষেত্রে ক সড়াব নাকি থাকতে দিব?

৫/ মন কে সাধারণত চিন্তা করানো ছাড়া রাখা যায় না। দয়া করে জানাবেন নামাজ এ কোন কোন বিষোয়  নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ আছে যাতে দুনিয়াবি চিন্তা না আসে?

৬/ ইশার সালাত এবং ফযর এর সালাত জামাত এ আদায় করলে সারা রাত নফল নামাজ এর সোয়াব পাওয়া যায়। রমজান এ ইশার সালাত এর ক্ষেত্রে কি শুধু ফরজ টুকু পড়লেই উক্ত ফজিলত পাওয়া যাবে নাকি এর জন্য তারাবি ও বিতির ও জামাত এ পড়তে হবে? জামাত বলতে কি মসজিদ এ জামাত বুঝান হয়েছে নাকি বাসায় দুইজন পড়লেও হবে?


জাজাকাল্লাহু খইরন।।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ পারে। 

(০২)
আমার জানা মতে দেয়ালে বা প্রাচীরে বা দরজায় যদি কোনো ছিদ্র থাকে,তাহলে সেই ছিদ্রের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে তারা সক্ষম। 

(০৩)
আপনি এক্ষেত্রে একবার এক হাত দিয়ে বিড়াল সড়িয়ে দিতে পারবেন।
তবে বিড়ালের শরীরে ভেজা নাপাকি থাকা যাবেনা।
এতে আপনার হাতেও নাপাকি চলে আসবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَلاَ يَمْسَحِ الْحَصَى فَإِنَّ الرَّحْمَةَ تُوَاجِهُهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَيْقِيبٍ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَحُذَيْفَةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَرِهَ الْمَسْحَ فِي الصَّلاَةِ وَقَالَ " إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَمَرَّةً وَاحِدَةً " . كَأَنَّهُ رُوِيَ عَنْهُ رُخْصَةٌ فِي الْمَرَّةِ الْوَاحِدَةِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ .

সাঈদ ইবনু আবদির রহমান আল-মাখযূমী (রহঃ) .... আবূ যর্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াবে, তখন কাঁকর সরাবে না। কারণ তখন তো আল্লাহর রহমত তোমার সামনে। - ইবনু মাজাহ ১০২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে মুআয়কিব, আলী ইবনু আবী তালিব, হুযায়ফা এবং জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ যর্ বর্ণিত হাদীসটি হাসান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সালাতে কিছু মোছা না-পছন্দ করতেন। তিনি বলেছেনঃ যদি কারো তা করতেই হয় তবে মাত্র একবার করবে। এতে বুঝা যায়, একবার করার অবকাশ থাকার বিষয়টিও তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে। আলিমগণ এই হাদীসের মর্মানুসারে আমল গ্রহণ করেছেন।
(তিরমিজি ৩৭৯)

(০৪)
আপনার খুশু খুজুতে সমস্যা হলে একবার এক হাত দিয়ে সড়াতে পারেন।

(০৫)
পঠিত আয়াতের অর্থ নিয়ে চিন্তা করবেন।
ইমামের পিছনে হলে আয়াত মনোযোগ সহকারে শুনবেন।
একাকী নামাজ আদায় কারী হলে আয়াত গুলি এমন আওয়াজে তিলাওয়াত করবেন,যাতে যদি ফ্যান না থাকতো,তাহলে নিজ কানে তিলাওয়াতের  আওয়াজ আসতো ,এমন আওয়াজে তিলাওয়াত করবেন।

(০৬)
রমজানে শুধু ইশা আর ফজর সালাত উদ্দেশ্য। 
তারাবীহ নয়।  

বাসায় জামাত করে পড়লেও ফজিলত পাওয়া যাবে।
তবে বিনা ওযরে মসজিদ কাছে থাকা সত্ত্বেও  এভাবে বাসায় জামাতের  অভ্যাস গড়ে তোলা ফুকাহায়ে কেরামগন কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...