বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআনে কারীমের কাব্যানুবাদ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
মাজমাউল আনহুরে আছে-‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কালামকে তার নিজের কথায় ঠাট্টার ছলে ব্যবহার করে, তাকে কাফের সাব্যস্ত করা হবে। অনুরূপ যে ব্যাক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যানুবাদ করে, তাকেও।’ (মাজমাউল আনহুর: ৬৯৩/১)
ফতাওয়ায়ে আলমগীরীতে এসেছে-‘যে ব্যক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যিক অনুবাদ করেছে, তাকে হত্যা করা হবে। কেননা সে কাফের।’ (ফতোয়ায়ে আলমগীরী: ২৬৭/২)।
হজরত থানবী (রহ.)-এর কাছে কুরআনে কারিমের কাব্যানুবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেন।
অন্যদিকে একদল উলামায়ে কেরাম কুরআনে কারীমের কাব্যানুবাদকে জায়েয মনে করেন।তারা বলেন,
কুরআনে কারীমের তরজমা করা জায়েয।এবং কুরআনে কারীমের তরজমাকে কাব্যকারে উচ্ছারণ করা তথা কাব্যানুবাদ করা জায়েয।নাজায়েয হওয়ার কোনো কারণ নেই।তবে শর্ত হলো,কাব্যানুবাদ করতে যেয়ে অর্থের বিকৃতি ঘটানো যাবে না।তবে কুরআনের আরবী শব্দের কোনো আরবী কবিতা করা যাবে না।এটা সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েয।যেহেতু কাব্যতে শব্দ কম থাকে,যার কারণে মানুষের স্বরণে বেশী থাকে,সে হিসেবে অনেক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,কুরআনের তরজমার কাব্যানুবাদ ভালো জিনিষ।কেননা এতে কুরআনের তরজমা মানুষের অন্তরে বেশী স্বরণে থাকবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাব্যানুবাদ উলামাদের মধ্যে বিতর্কিত বিষয়।কেউ বলেন জায়েয, আবার কেউ নাজায়েয। সুতরাং এখানে শীতিলতা চলে আসবে।